এটি সেচ্ছাসেবামুলক সংগঠন।আমদের কাজ সমাজের উন্নয়ন।।.এবং লেখা কিছু বৈজ্ঞানিক সমাজ গবেষণা।

Latest News:

Monday, April 20, 2015

তিব্বত কেন নিষদধ দেশ...

তিব্বত (তিব্বতি ভাষায়: བོད་, আ-ধ্ব-ব: [pʰø̀ʔ] ফ্যো’) বা শিচাং (চৈনিক: 西藏 শিৎসাং) গণচীনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এ অঞ্চলটি তিব্বতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। তিব্বতীয় মালভূমির গড় উচ্চতা ১৬,০০০ ফুট; যার কারণে এই অঞ্চলকে পৃথিবীর ছাদও বলা হয়। প্রবাসী অনেক তিব্বতীয় এই অঞ্চলকে গণচীনের একটি অংশ হিসেবে মানতে সম্মত নন। ১৯৫৯ সালে গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিদের স্বাধীকারের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়। তখন দলাই লামার নেতৃত্বে অসংখ্য তিব্বতি ভারত সরকারের আশ্রয় গ্রহণপূর্বক হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসবাস আরম্ভ করেন। সেখানেই ভূতপূর্ব স্বাধীন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিব্বতের রাজধানীর নাম লাসা। তিব্বতকে নিষিদ্ধ দেশ বলে যেসব কারণে শত শত বছর ধরে হিমালয়ের উত্তর অংশে দাঁড়িয়ে আছে তিব্বত নামের রহস্যময় রাজ্যটি। তিব্বতে যে কী আছে সে ব্যাপারে সবার মনে রয়েছে জিজ্ঞাসা। নিষিদ্ধ দেশ কোনটি প্রশ্ন করলে এক বাক্যে সবাই বলবে তিব্বত। কিন্তু এই নিষিদ্ধের পেছনের রহস্য অনেকেরই অজানা। হিমালয়ের উত্তরে অবস্থিত ছোট একটি দেশ তিব্বত। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ত্রয়োদশ দালাইলামা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গণচীনের একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল তিব্বত। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এই অঞ্চলটি তিব্বতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। এই অঞ্চলটি চীনের অংশ হলেও এখানকার অনেক তিব্বতি এই অঞ্চলকে চীনের অংশ মানতে নারাজ। ১৯৫৯ সালে গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিরা স্বাধিকার আন্দোলন করলে সেটি ব্যর্থ হয়। তখন দালাইলামার নেতৃত্বে অসংখ্য তিব্বতি ভারত সরকারের আশ্রয় গ্রহণপূর্বক হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে স্বাধীন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিব্বতের রহস্যের পেছনে এর প্রকৃতি ও দুর্গম পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রে দায়ী। রাজধানী লাসা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোবি মরুভূমি। মরুভূমির নিষ্ঠুর ও কষ্টদায়ক পরিবেশ এসব এলাকার মানুষকে কাছে আনতে নিরুৎসাহিত করে। তিব্বতের বেশিরভাগ ভূ-ভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০০ ফুটেরও ওপরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে বসবাস করা পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের চেয়ে একটু বেশি কষ্টকর। এই অঞ্চলগুলো এতই উঁচু যে, একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়ে থাকে। তিব্বতের স্থলভাগ বছরের প্রায় আট মাস তুষারে ঢেকে থাকে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই তিব্বতকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে অনেক রহস্য। তিব্বতের রাজধানী লাসা বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল অনেক আগে থেকেই। লাসায় বহির্বিশ্বের কোনো লোকের প্রবেশাধিকার ছিল না। তিব্বত বা লাসায় বাইরের বিশ্ব থেকে কারো প্রবেশ করার আইন না থাকায় এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে সবার কাছে একটি রহস্যময় জগৎ হিসেবে পরিচিত ছিল। কী আছে লাসায়, সেটা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকত সমগ্র বিশ্ব। লাসার জনগোষ্ঠী, শহর, বন্দর, অট্টালিকা সব কিছুই ছিল সবার কাছে একটি রহস্যঘেরা বিষয়। লাসা নগরীতে ছিল বিখ্যাত পোতালা নামক একটি প্রাসাদ। এই প্রাসাদটি প্রথমবারের মতো বহির্বিশ্বের মানুষেরা দেখতে পায় ১৯০৪ সালে। আমেরিকার বিখ্যাত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায় এই বিখ্যাত অট্টালিকার ছবি ছাপা হয়। তিব্বতের চতুর্দিকে বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য পাহাড় ও গুহা। সেই পাহাড়ি গুহাগুলোতে বাস করে বৌদ্ধ পুরোহিত লামারা। তিব্বতিরা অত্যান্ত ধর্মভীরু হওয়ায় ধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তাদের প্রধান ধর্মগুরুর নাম দালাইলামা। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা তিব্বতে লামা নামে পরিচিত। লামা শব্দের অর্থ সর্বপ্রধান, আর দালাই শব্দের অর্থ জ্ঞান সমুদ্র। অর্থাৎ দালাইলামা শব্দের অর্থ হচ্ছে জ্ঞান সমুদ্রের সর্বপ্রধান। ধর্মগুরু বা দালাইলামা বাস করে সোনার চূড়া দেয়া পোতালা প্রাসাদে। ১৩৯১ সালে প্রথম দালাইলামার আবির্ভাব ঘটে। দালাইলামাকে তিব্বতিরা বুদ্ধের অবতার মনে করে থাকে। তিব্বতিদের বিশ্বাস, যখনই কেউ দালাইলামার পদে অভিষিক্ত হয় তখনই ভগবান বুদ্ধের আত্মা তার মধ্যে আবির্ভূত হয়। দালাইলামা নির্বাচনের পদ্ধতিটাও বেশ রহস্যময় এবং রোমাঞ্চকর। তিব্বতিদের দালাইলামা বা নেতা নির্বাচনের পদ্ধতিটি খুবই বিচিত্র। তিব্বতি প্রথা মতে কারো মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তার মরদেহের সৎকার করা হয় না। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, মৃত্যুর পরও আত্মা জাগতিক পরিমণ্ডলে বিচরণ করে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত আত্মা জাগতিক পরিমণ্ডল ত্যাগ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মরদেহটি তাদের বাড়িতে রেখে দেয়। কোনো লামার মৃত্যু হলে লাসার পূর্বে লহামপূর্ণ সরোবরের তীরে লামারা ধ্যান করতে বসে। ধ্যানযোগে লামারা দেখতে পায় সেই সরোবরে স্বচ্ছ পানির ওপর ভেসে উঠছে একটি গুহার প্রতিবিম্ব। যে গুহার পাশে আছে একটি ছোট্ট বাড়ি। প্রধান লামা তার সেই অলৌকিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এঁকে দেবে নতুন দালাইলামার ছবি। তারপর কয়েকজন লামা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তিব্বতের বিভিন্ন স্থানে যায় শিশু অবতারের খোঁজে। তারা তিব্বতের ঘরে ঘরে গিয়ে সেই ছবির হুবহু শিশুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। আর এভাবেই তারা খুঁজে বের করে তাদের নতুন দালাইলামাকে। তিব্বতের লামারাসহ সাধারণ মানুষেরাও প্রেতাত্মাকে খুবই ভয় পায়। অধিকাংশ তিব্বতির ধারণা, মানুষের মৃত্যুর পর দেহের ভেতর থেকে প্রেতাত্মারা মুক্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। ওই প্রেতাত্মার লাশ সৎকার হওয়ার আগ পর্যন্ত সে মানুষের ক্ষতি করার জন্য ঘুরে বেড়ায়। তারা কখনও মানুষের ওপর ভর করে, কখনও পশু-পাখি কিংবা কোনো গাছ অথবা পাথরের ওপরও ভর করে। প্রেতাত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ও প্রেতাত্মাদের খুশি রাখতে তিব্বতিরা পূজা করে থাকে। তিব্বতে সরকারি ভাষা হিসেবে চীনা ভাষার প্রচলন থাকলেও তিব্বতিদের ভাষার রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। তাই চীনের বেশ কিছু প্রদেশ এবং ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানে তিব্বতি ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে। তিব্বতিদের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী আচার হলো মৃতদেহের সৎকার। এদের মৃতদেহ সৎকার পদ্ধতি খুবই অদ্ভুত। কোনো তিব্বতি যদি মারা যায়, তবে ওই মৃতদেহ কাউকে ছুঁতে দেয়া হয় না। ঘরের কোণায় মৃতদেহটি বসিয়ে চাদর অথবা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। মৃতদেহের ঠিক পাশেই জ্বালিয়ে রাখা হয় পাঁচটি প্রদীপ। তারপর পুরোহিত পোবো লামাকে ডাকা হয়। পোবো লামা একাই ঘরে ঢোকে এবং ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে দেয়। এরপর পোবো মন্ত্র পড়ে শরীর থেকে আত্মাকে বের করার চেষ্টা করে। প্রথমে মৃতদেহের মাথা থেকে তিন-চার গোছা চুল টেনে ওপরে আনে। তারপর পাথরের ছুরি দিয়ে মৃতদেহের কপালের খানিকটা কেটে প্রেতাত্মা বের করার রাস্তা করে দেয়া হয়। মৃতদেহকে নিয়ে রাখে একটা বড় পাথরের টুকরোর ওপর। ঘাতক একটি মন্ত্র পড়তে পড়তে মৃতদেহের শরীরে বেশ কয়েকটি দাগ কাটে। দাগ কাটার পর একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেই দাগ ধরে ধরে মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। তারপর পশুপাখি দিয়ে খাওয়ানো হয়। তিব্বতের সামাজিক অবস্থার কথা বলতে গেলে বলতে হয় এমন এক সমাজের কথা, যা গড়ে উঠেছিল আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে। তখন পীত নদীর উপত্যকায় চীনারা জোয়ার ফলাতে শুরু করে। অন্যদিকে আরেকটি দল রয়ে যায় যাযাবর। তাদের মধ্য থেকেই তিব্বতি ও বর্মী সমাজের সূচনা হয়। তাদের খাবার- দাবারে ও রয়েছে ভিন্ন। শুনলে অবাক হবেন উকুন তিব্বতিদের অতি প্রিয় খাবার। ঐতিহ্যগত তিব্বতি সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ যাযাবর বা রাখাল জীবনযাপন। ভেড়া, ছাগল ও ঘোড়া পালন তাদের প্রধান জীবিকা। শুধু চীনের তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ এই যাযাবর রাখাল সম্প্রদায়। এরা কখনও চাষাবাদের কাজ করে না। মোট ভূমির ৬৯ শতাংশ এলাকা চারণ বা তৃণভূমি। চীনা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে তিব্বতিরাও ভীষণ চা প্রিয়। তাদের বিশেষ চায়ে মেশানো হয় মাখন এবং লবণ। তবে তিব্বতিদের প্রধান খাবার হলো চমবা। গম এবং যবকে ভেজে পিষে চমবা তৈরি করা হয়। আধুনিক বিশ্ব দিন দিন আধুনিক হলেও আজও তিব্বত বিশ্বে রহস্যময় একটি জায়গা নামে খ্যাত।

Saturday, April 18, 2015


প্রেম (ইংরেজি: Romance) হল ভালবাসার রহস্যময় এবং উত্তেজনাপূর্ণ এক প্রকার আবেগ বা অনুভূতি। কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এতে অপর ব্যক্তির প্রতি প্রবল মানসিক বা আবেগীয় আকর্ষণ কাজ করে। রোমান্সের বা রোমান্টিক সম্পর্কে যৌন আকর্ষণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত আবেগ ও অনুভূতি অধিক গুরুত্বের অধিকারী হয়।
প্রায়শ ক্ষেত্রেই সম্পর্কসমূহের সূচনাপর্বে রোমান্টিক অনুভূতি সবচেয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করে। তখন এর সঙ্গে এমন এক অনিশ্চয়তা এবং দুশ্চিন্তা অনুভূত হয়যেন এ ভালোবাসাকে হয়তো আর কখনোই ফিরিয়ে আনা যাবে।প্রেম একটি মানবিক অনূভুতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে প্রেম। তবুও প্রেমকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী প্রেম সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের প্রেম থেকে পৃথক করা যায়না। প্রেম বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম প্রেম, ধর্মীয় প্রেম, আত্মীয়দের প্রতি প্রেম ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে


পারে...এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।




চলতে গেলে অনেকের সঙ্গেই পরিচয় হয়ে যায়। কাউকে হয়তো মনেও ধরে যায়। মনে ধরলেও কিছু করার উপায় থাকে
না। কারণ কিভাবে তাকে নিজের করে পাওয়া যায় তার কোনো বুদ্ধিই মাথায় আসেনা তখন। এক্ষেত্র একটু কৌশলী হউন। কোনো ভাবে তার কাছে যাওয়ার সহজ পথটি খুঁজে নিন। না হয় পাওয়ার আগেই হারিয়ে বসতে পারেন।
এক্ষেত্র নিচের কৌশলগুলো ধারাবাহিকভাবে অবলম্বন করতে পারেন:
১. তার সাথে কথা বলার একটা উপায় বের করা, একেবারে কোন উপায় না পেল শুধু হাই দিয়েই শুরু করা। তাকে বোঝানো আপনি তার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন।
২. তার বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করা। কারণ এর মাধ্যমেই আপনি তার সাথে আরো বেশি করে কথা বলতে পারবেন এবং তাকে দেখতে পারবেন।
৩. আশা করতে পারি, আপনি হয়তো তার বন্ধু কিন্তু শুধুই বন্ধু। আপনার এখন উচিত তার সাথে একটু বেশি কথা বলা এবং তার আশে পাশেই থাকতে চেষ্টা করা।
৪. এখন আপনি হয়তো আগের থেকে একটু বেশি ঘনিষ্ট,আপনার উচিত আপনার ভালবাসাটা তার কাছে প্রকাশ করা। কিন্তু এটাকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে না যাওয়া। সামান্য কিছু করা এবং তার সাথে একা সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করা। যেন সে আপনার দিকে মনযোগ দিতে বাধ্য হয়।
৫. এখন আপনি আপনার ভালবাসাটা তার কাছে লক্ষণীয় করেন। যখন তার সাথে কথা বলবেন অথবা তার সাথে কোথাও খেতে বসবেন,তখন কোন বিষয় নিয়ে নেকামি করবেন না। নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টা নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে কথা বলেন।
৬. এখন সময় এসেছে তার কাছে নিজের ভালবাসার কথার স্বীকার করা। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যেটা দেখে সে আপনাকে তার উপর নির্ভরশীল মনে করে। তার সামনে এভাবে কথা বলতে পারেন, “আমি একটা মেয়েকে কিছুটা ভালবেসে ফেলেছি কিন্তু বুঝতে পারছি না আমাকে সে পছন্দ করে কিনা!” কিন্তু তাকে বলবেন না কে সেই মেয়েটা তা ধারনা করুক।
৭. এখন সময় এসেছে তাকে বলার যে আপনি তাকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এমন ভাবে বলবেন না যে মনে হয় আপনি তাকে শুধুই পছন্দ করেন। তাকে এভাবে বলতে পারেন, “আমি তোমাকে আসলেই পছন্দ কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করব। তুমি আমাকে পাগল করে ফেলছো, আমি যখন তোমার কথা চিন্তা করি, তোমার হাসি মাখা মুখটিই আমার চোখে ভেসে উঠে, তুমি সবক্ষেত্রেই উপযুক্ত”।
৮. আপনি তার কাছে আপনার মনের কথা ব্যক্ত করেছেন। এখন তার কিছু সময় প্রয়োজন কথাগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার। এখন তাকে বিরক্ত করবেননা, তাকে কিছুটা এড়িয়ে চলুন এমনভাবে যেন এটা তার কাছে লক্ষণীয় না হয়। সে যদি আপনার কাছে আসে এবং আপনার সাথে কথা বলতে চায় তার সাথে সাধারনভাবে কথা বলুন। সে যদি তার সিদ্ধান্ত আপনাকে না জানায় আপনি ৩ দিন পর এটা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতে পারেন।
৯. আশা করি, আপনি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন। এটা ভাল ও হতে পারে অথবা মন্দ। উত্তরটা যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে তার সাথে কোন খারাপ আচরণ করবেননা। মনে রাখবেন সবশেষে আপনি একজন ভাল বন্ধু পেয়েছেন।
১০. যদি তাকে আপনি নিজের মতো করে পেতে চান তাহলে তার সাথে এমন কোন আচরণ করবেন না যার জন্য তাকে আবার হারাতে হয়।

যেভাবে বুঝবেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন

 ( ইন্টারনেট থেকে নেওয়া)

স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে প্রেমের চিরন্তন শিখা চিরদিন জ্বলে এই প্রবাদটি আগেরকার দিনের প্রেমিক-প্রেমিকারা মনে প্রানে বিশ্বাস করলেও বর্তমান যুগের প্রেমিক-প্রেমিকার এটা বিশ্বাস করেইনা বললেই চলে।মোবাইল,ফেসবুক,ইয়াহু,হটমেইল,জিমেইল,স্কাইপের এ যুগে প্রেম মোবাইলের ব্যালেন্সের মত।মোবাইলের ব্যালেন্স যেমন এই আছে এই নেই তেমনি আজকালকার প্রেমও এই আছে এই নেই।আজকালকার প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিয়ে যে ইতিহাসই হউকনা কেন শিরি- ফরহাদ,লাইলী-মজনু টাইপের ইতিহাস যে লেখা যাবেনা তাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।থেরাপীর গত সংখ্যায় ‘যেভাবে বুঝবেন আপনি বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন’ পড়ে থেরাপীর বেশ কয়েকজন পরিচিত পাঠক অনলাইন কনফারেন্সে আমার অভিজ্ঞতার ভান্ডার দেখে বেশ রসিয়ে রসিয়ে জানতে চাইল,আরিফ ভাই,এত কিছু জানেন কি করে? আপনি কয়টা বিয়ে করেছেন সত্যি করে বলেনতো?ওদের প্রশ্ন শুনে হাসব না কাদঁব বুঝে উঠার আগেই আরেকজন বলল,আরিফ ভাই আমাদের তো এখনো বিয়ের বয়স হয়নি।আমাদের এখন প্রেমের বয়স কিভাবে বুঝব প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছি কিনা তা যদি একটু বলতেন তাহলে উপকৃত হতাম।থেরাপীর পাঠক বলে কথা।ভাবলাম,ওদের বলে দেয় কিভাবে বুঝবে প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছে কিনা।কিন্তু থেরাপীর হাজার হাজার পাঠকের কথা মনে পড়তেই ওদের বললাম,শুধু তোমরা উপকৃত হবে তা তো হবেনা তোমাদের মত থেরাপীর সব পাঠকেরও উপকৃত হওয়া উচিত।তাই থেরাপীর সব পাঠকের জন্য এ সপ্তাহের আয়োজন,যেভাবে বুঝবেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন।প্রিয় পাঠক,তো চলুন জেনে নেয় কিভাবে বুঝবেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন ।

১..সহজ-সরল বোকা টাইপের কাউকে দেখলেই আমরা গাধা বলে খোচাঁ দেয়।কিন্তু গাধা টাইপের ছেলেদের মেয়েরা অনেক পছন্দ করে।কারণ,চারপায়ে গাধাকে যেমন ইচ্ছা মত চালানো যায় তেমনি গাধা টাইপের প্রেমিককেও ইচ্ছা মত নাকে দড়িঁ দিয়ে ঘোরানো যায়।আপনি যতই চালাক হননা কেন এই গাধার মত খাটতে গিয়ে যা যা করতে হবেঃ

ক..নিজের পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রেমিকার জন্য বন্ধু,বড় ভাইদের হাত পা ধরে নোট সংগ্রহ করতে হবে।

খ..মাছি আর প্রেমিকারর মধ্যে মিল হচ্ছে মাছি বিরতীহীন ভাবে ভনভন করতে পারে আর প্রেমিকারা বিরতীহীন ভাবে বকবক করতে পারে।গাধা যেমন মনিবকে পিঠে ছড়িয়ে হাটঁতেই থাকে হাটঁতেই থাকে তেমনি ঘন্টার পর ঘন্টা কোনরকম বিরক্তি প্রকাশ না করে প্রেমিকার বকবক শুনে শোনার ধৈর্য্য থাকতে হবে।

গ..মেয়েদের সাজুগুজু করতে যেমন কয়েকঘন্টা লাগে তেমনি চুলের একটি ক্লিপ/লিপষ্টিক/টিপ/নখপালিশ কিনতে গেলেও মেয়েদের কয়েকঘন্টা লাগে।জামার সাথে কালার মিলিয়ে ক্লিপ/লিপষ্টিক/টিপ/নখপালিশ কেনার জন্য শপিংসেন্টারের সব দোকান ঘুরে শেষে দেখা যায় প্রথমে যে দোকানে গেছে সে দোকান থেকেই নিয়েছে।এ নিয়ে প্রেমিকার উপর রাগ দেখানো যাবেনা উল্টো নরম হাসি দিয়ে বলতে হবে,জানু,তোমার মন মত না হলে নিওনা চলো অন্য মার্কেটে দেখি।

ঘ..প্রেমিকের মোবাইল নাম্বার বিজি দেখলে কিংবা ওয়েটিং দেখলে প্রেমিকা যা বলবে তাই বিশ্বাস করতে হবে কোন প্রশ্ন না করে।কিন্তু, আপনার মোবাইল নাম্বার বিজি/ওয়েটিং দেখলে আপনার ১৪গুষ্টির এমনকি আপনার পোষা কোন প্রানী থাকলে সে প্রানীর কসম করে বলতে হবে কার সাথে।

২.. আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে জনপ্রিয় বাংলা ছবি কুলির এই গানটির মত প্রেমিকারাও চাই প্রেমিক তাকে আকাশের চাদেঁর মতই ভাবুক।ভাবছেন শুধু ভাবলেই কাজ শেষ?উহুঁহু।বাবার মানিব্যাগে,মায়ের আলমারিতে মাঝে মাঝে হাত চালাতে হবে কিংবা টিউশনি করে টাকা কামিয়ে যা যা করতে হবেঃ

ক..মাসে কয়েকবার ভাল রেষ্টুরেন্টে খাওয়াতে হবে।

খ.. প্রেমিকার মোবাইলে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে।

গ..জন্মদিন,ঈদ,পূজায়,পহেলা বৈশাখ,ভালবাসা দিবস সহ যত ভালবাসা বিষয়ক দিবস আছে সব দিবসে প্রেমিকাকে গিফট দিতে হবে।

ঘ.. দেখা হলে প্রেমিকার পরনের পোশাক,পোশাকের কালার,ঠোঁেটর লিপস্টিক,কপালের টিপ পছন্দ হউক না হউক উল্লাসিত উচ্ছারনে প্রশংসা করতে হবে কিছুক্ষন পর পর।প্রশংসা হতে পারে এমন,ইস আমার জানটাকে টিপটা কি সুন্দর যে মানিয়েছে/আমার টিয়া পাখিটার চয়েস এত সুন্দর কেন/তোমার ব্যাক্তিত,¡ পোশাক আশাকের রুচিবোধ দেখে আমার বন্ধুরা তাদের প্রেমিকাকে বলে,আমার বন্ধুর প্রেমিকার ১ভাগ গুন পেলেও তোমাকে পূজা করতাম।

৩ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইটে কয়েকমাস আগে একটি ফিচারে দেখা গেছে প্রেমের সর্ম্পকের কারণে কাছের বন্ধুদের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি হয় এবং বন্ধুদের সাথে সম্পর্কও নষ্ট হয়।শুধুই কি বন্ধুদের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি কিংবা বন্ধুত্ব নষ্ট হয়?আরো অনেক কিছুই নষ্ট হয়।যেমনঃ

ক..প্রেমিকার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা পার্কে দাড়িঁয়ে থাকতে হয়।

খ..রাত জেগে প্রেমিকার ১৪গুষ্টি থেকে প্রেমিকাদের বাসায় কোনদিন ইদুঁর দেখা গেছে কিংবা প্রেমিকাদের বাসার বেড়ালটা প্রেমিকাকে কতটা পছন্দ করে কিংবা প্রেমিকার কোন বান্ধবীটা কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি যত সব আজাইরা প্যাচাঁল আছে সব শুনতে হবে ঘুমের তেরটা বাজিয়ে।

গ.. প্রেমিকার সাথে ঝগড়ার কারণে মেজাজ চরম খারাপ থাকার কারণে বাসায় ভাই-বোনের সাথে ঝগড়া হতে পারে।

ঘ.. পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হতে পারে।

প্রিয় পাঠক,উপরোক্ত পয়েন্টগুলো পড়ে কি বুঝলেন ?যদি বুঝে থাকেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন তাহলে আপনাকে যা না বললেই নয় তা হচ্ছে,এত কিছু করে যে প্রেমিকার জন্য করবেন সে যে কোনদিন বিনা নোটির্শে আপনাকে মূলা দেখিয়ে অন্যের সাথে কবুল বলতে পারে।



মানুষের জীবনে প্রেমের অবদান কতখানি তা বলে দেয়া মুশকিল। তবে এটা বলা যায় কেউ তার জীবন চিন্তা করতে পারেন না প্রেম ছাড়া। প্রেমের বিস্তর উদাহরণ আছে, লাইলি মজনু, শিরি ফরহাদ এসব আদি যুগের প্রেম। কয়েকযুগ আগের প্রেম বলতে চিঠি পত্র কিংবা সিনেমায় দেখা কালজয়ী প্রেম বেঁদের মেয়ে জ্যোৎস্না এসব। আরো কিছু আছে যা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।
চলে আসি আধুনিক যুগের এই ২০১৫ সালের প্রেম পরিস্থিতিতে। পুরনো দিনের ভাল মন্দ আজ আবার নতুন দিনে ঠিক কী রূপ নিয়েছে তা জানা আছে সকলের-ই। তবু আজ প্রেম যে কেমন অস্বাভাবিক রূপ পেয়েছে তা বিজ্ঞরাই ভাল বলতে পারেন। আমি শুধু বলতে পারি স্বাভাবিক ভাবে একজন তরুণ একজন তরুণীর সাথে –  কিভাবে প্রেম করবেনঃএই বিষয়ে।
প্রেম এমন এক বিশাল ব্যপার যেটা টেকনোলজি দিয়ে করে ফেলা যায় না। কোন দিন কোন একটি টেকনিক কাজ করলেও অন্যদিন তা নাও করতে পারে। তবে ভাল প্ল্যান আর পরিশ্রম করলে এই বিষয়ে কিছুটা সহজ হয়।
প্রেম কি করতেই হবে? 
এই প্রশ্ন জরুরী। আপনি প্রেম কেন করবেন? প্রেম না করে আপনার চলে কি না সেটা দেখতে হবে। যদি ব্যক্তি জীবনে প্রচণ্ড অস্থির লাগে তবে প্রেম করাই ভাল, কিন্তু দেখবেন যদি আপনি ভাল কিছু কাজে সময় ব্যয় করতে চান, তবে ওসবে গা না ভাসালেও চলবে। তবে প্রেম করে লাভ যেমন ক্ষতিও তেমনি। বুঝে শুনে প্রেম করুন। ক্ষতির দিকটা ভাবুন।
ভেবে বের করুন আপনার ভাল লাগে কাকে? 
প্রেম করার জন্য ভাল লাগাটা জরুরী। কাকে ভাল লাগে? সে কে? যে কোন মানুষের আশে পাশে অনেক মানুষ থাকে। আত্মীয় বন্ধু বান্ধব এছাড়াও কলেজে জুনিয়র সিনিয়র কত মানুষ। এর মধ্যে কে একজন অবশ্যই আছে যাকে অন্য সবার কাছ থেকে ভিন্ন মনে হয়। খুঁজে বের করতে হবে কে সে? যদি এমন হয় যে যাকে ভাল লাগছে সে আরো একজনের সাথে প্রেম করেই যাচ্ছে তাহলে এখানেই শেষ করে ফেলা উচিত।
পছন্দের কারন বের করুন- যার সাথে প্রেম করবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন তাকে কেন আপনি পছন্দ করলেন তার কারন বের করুন। সে কেন আপনাকে এত আকর্ষন করে? শারীরিক কাঠামো কিংবা সৌন্দর্য? যদি শুধু তাই হয় তবে আরেকবার ভাবুন এই প্রেমের বাস্তবিকতা পুর্ন হবে কিনা। সে কি জীবনে খাপ খেয়ে যাবে না কি আরো বেশি যন্ত্রণাদায়ক হবে।
তাকে ফলো করুন  – একজন মানুষকে জানার জন্য তার সাথে কিছু সময় দিতে হয়। যদি বোঝা যায় সে আপনাকে নয় অন্য কোন কারণে খুব বেশি ব্যস্ত তবে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন। প্রেম করবেন আর এই সুবিধাটা নিবেন না? তাই খুব চিন্তা ভাবনা করে বের করুন  কিভাবে আপনি তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। না জানলে পরে পস্তাবেন।
রেস্পেক্ট- প্রেমের জন্য নয় জীবনের জন্যই যদি কোন বন্ধুও দরকার হয় তবে মনে রাখবেন যার সাথে সম্পর্ক হচ্ছে সে আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি না। কিভাবে প্রেম করবেন তা জানার আগেই জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন তিনি আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি-না
Love sceene
প্রস্তাবনাঃ প্রেম করার ক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে আগে এগিয়ে আসতে হয়। দুজনেই যদি লজ্জা পেয়ে বসে থাকেন তবে কোন দিন প্রেম হবেই না। কেউ কেউ মনে করেন মেয়েরা প্রস্তাব দিলে জাত যায়। আজকাল অনেকই জাত পাত সবই হারাচ্ছেন অযথাই। তাই মেয়েরা কিছুটা টেকনিক অনুসরণ করে ছেলেদের দিয়েই প্রস্তাব করাতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশি বেশি বন্ধুত্বপুর্ন আচরণ কিংবা হেল্প কিংবা ব্যক্তিগত বিষয়ে জানাশোনা। এসব কিছুই হতে পারে হাত্যার। তবে সাবধান। কখনো ছেলেদের কঠিন চরম দাবি মানতে যাবেন না। সতর্ক থাকুন এটা ২০১৫ সালে কেউ অত বোকা নেই।
ছেলেরা অবশ্যই মেয়েদের আগে থেকে প্রস্তাব দিতে পারেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন আজকাল অনেক মেয়েই আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মী। তাই যত পারেন বাজিয়ে নিন। প্রেম করুন কিন্তু না জেনে একটুও এগোবেন না। আজকাল অনেক ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে টাকা আত্মসাৎ সহ অনেক কিছু।

আজকাল বেশিরভাগ দেখা যায় পরকীয়া হচ্ছে। ব্যপারটা খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস আর মূল্যবোধ কিছুই থাকছে না। তাই এই বিষয়ে আরো সতর্ক থাকা জরুরী।
 সংগৃহীত।
লেখা ইন্টানেটের প্রেম বিশেসজ্ঞ।।


বিঃদ্রঃ এখান সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে নেওয়া, তবুও এই লেখায় ভুল বা কারও ক্ষতি হয় ।তাহ্লে ক্ষ্মা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।।

Friday, April 17, 2015

nayan's foundation jessore: আশ্চর্যময় বিজ্ঞান টেলিপ্যাথিপ্যারাসাইকোলজি  মনোবিজ...

nayan's foundation jessore: আশ্চর্যময় বিজ্ঞান টেলিপ্যাথিপ্যারাসাইকোলজি  মনোবিজ...: আশ্চর্যময় বিজ্ঞান টেলিপ্যাথি প্যারাসাইকোলজি   মনোবিজ্ঞানের, এমন একটি শাখা, যা আপাত অব্যাখ্যাত মানসিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। প্যারা...

Thursday, April 16, 2015

আশ্চর্যময় বিজ্ঞান টেলিপ্যাথি

প্যারাসাইকোলজি  মনোবিজ্ঞানের, এমন একটি শাখা, যা আপাত অব্যাখ্যাত মানসিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। প্যারাসাইকোলজি বিজ্ঞানের এমন এক শাখা যা অন্য সকল শাখার সমন্বয়ে কিছু তথ্য দেয়। প্যারাসাইকোলজিকে সাইকোফিনোমিনাও বলা হয়ে থাকে।
প্যারাসাইকোলজির অসংখ্য আলোচ্য বিষয়বস্তুর মাঝে উল্লেখ্যযোগ্য হলো :

  • টেলিপ্যাথি
  • অতি-প্রাকৃত ক্ষমতা ,
  • মৃত্যু-সন্ধিক্ষণের অভিজ্ঞতা,
  • হেলুসিনেশন,

টেলিপ্যাথি (টেলি যার অর্থ "দূরবর্তী" প্রাচীন গ্রিক τῆλε থেকে এবং πάθος, উদ্দীপনা বা -apatheia অর্থ "অনুভূতি, উপলব্ধি, আবেগ, দু: খ, অভিজ্ঞতা") [3] [4] এক ব্যক্তি থেকে তথ্য এর purported সংক্রমণ অন্য করা হয় আমাদের পরিচিত সংজ্ঞাবহ চ্যানেল বা শারীরিক কোনো যোগাযোগ না ব্যবহার না করে. শব্দ শাস্ত্রীয় পণ্ডিত ফ্রেডেরিক ডব্লু ম্যাইইয়ার্স, আধ্যাত্মিক রিসার্চ সোসাইটি [1] একটি প্রতিষ্ঠাতা, দ্বারা 1882 সালে সৃষ্টি করেন [2] এবং তার আগে অভিব্যক্তি চিন্তা-স্থানান্তরণ চেয়ে বেশি জনপ্রিয় রয়ে গেছে. [2] [5]
মন জানাজানি একটি বাস্তব ঘটনা যে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই. মন জানাজানি সনাক্ত, বুঝতে, এবং ব্যবহার করতে চাইছেন অনেক গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে, কিন্তু ভাল-নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় থেকে কোন অনুকৃতিযোগ্য ফলাফল বিদ্যমান. [6] [7] [8] [9]
টেলিপ্যাথি মন জানাজানিমূলক ক্ষমতা থাকার অনেক extraterrestrials, সুপারহিরোদের এবং সুপারভিলেন সঙ্গে আধুনিক কথাসাহিত্য এবং বিজ্ঞান কথাসাহিত্য মধ্যে একটি সাধারণ থিম.


টেলিপ্যাথির ইতিবৃত্তঃ শীতল যুদ্ধ শুরু হবার বহু আগে এমন কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও পূর্বে অন্যদের মনো জগতে ভ্রমন করতে পারে এমন লোকদের নিয়ে কিছু পরীক্ষা চালিয়েছিল তিন মহারথী (দ্যা গ্রেট সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং ব্রিটেন) এবং তার ফলাফলও ছিল চমকপ্রদ। সে সময় টেলিপ্যাথি মিলেটারি ইন্টিলিজেন্সে একটি বিশেষ আসন করে নিয়েছিল এবং এর ধারকদের বলা হত 'সাই এজেন্ট (Psi Agent)'। বর্তমানে টেলিপ্যাথিকে বিজ্ঞানীরা রিমোট সেন্সিং বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সে যায় হোক, এই এজেন্টরা তাদের মনটাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এবং বস্তু সম্পর্কে তথ্য দিতেন।
সময়টা ১৯৪০ সাল, এরকমই এক ক্ষমতাধর টেলিপ্যাথ উলফ ম্যাসিং  জোসেফ স্ট্যালিনের সুনজরে পড়লেন।

উলফ ম্যাসিং এর ঘটনাটাকেই মূলত টেলিপ্যাথির প্রতি সরকারী আকর্ষণের সূত্রপাত ধরা হয়।পশ্চিমা বিশ্বও টেলিপ্যাথি নিয়ে নাড়াচাড়াই পিছিয়ে ছিল না। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে এস, জি, সোয়াল (১৮৮৯-১৯৭৯) নামের ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের এক গণিতের প্রফেসর ১ লক্ষ মানুষের মধ্য থেকে ১৬০ জনকে নিয়ে টেলিপ্যাথি টেস্ট করেন। একইভাবে প্যারাসাইকোলজিস্ট বাসিল সাকলেটন এবং রিটা এলিয়ট কিছু ফলাফল পেতে সক্ষম হন যেটাকে কোনভাবেই কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

কেন একজন অন্যের মনোজগতে অবাধ বিচরণ করতে পারছে, অন্যের চিন্তা চেতনাকে আচ্ছন্ন পারছে সেটা আজও অজানা। অনেক বিজ্ঞানীই মনে করেন যে, প্রত্যেকটি মানুষেরই একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এই ক্ষমতাটা আছে আর এই ক্ষমতাটাকে কাজে লাগাবার জন্য দরকার সুতীক্ষ্ণ মনোসংযোগ।

টেলিপ্যাথি পরীক্ষার একটা খুবই সহজ প্যাটার্ন আছে। এই ক্ষেত্রে সাবজেক্ট এবং পরীক্ষক মুখোমুখি বসেন আর পরীক্ষকের সামনে থাকে একটা মনিটর যেখানে রেনডমলি ছবি অথবা সিম্বল জেনারেট হতে থাকে। পরীক্ষকের সামনে যে ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে টেলিপ্যাথকে (সাবজেক্ট) সেটা বলতে বা এঁকে দেখাতে হয়। টেলিপ্যাথিক সাবজেক্ট আসলে পরীক্ষকের মস্তিষ্কে যে ইমেজটা পড়ছে সেটা পড়তে পারে এবং তার উপর ভিত্তি করেই ছবি আঁকে। বছরের পর বছর এই পদ্ধতীতে খুবই আশ্চর্যজনক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।
মরফোজেনেটিক ফিল্ডঃ ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী রুপার্ট শেল্ডরেক এই মরফোজেনাটিক ফিল্ডের সূত্র আবিষ্কার করেন। এই সূত্রানুযায়ী প্রকৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে, যা পরবর্তী প্রয়োজনানুসারে অন্যদের কাছে পৌঁছে যায়। তাঁর বিখ্যাত উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, ব্রিটিশ বংশীয় চিকাডি (Parus caeruleus) নামক পাখির দুধ চুরি কৌশল। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী কিছু পাখি যখন দুধের বোতলের এ্যালুমিনিয়ামের ঢাকনি খুলে দুধ চুরি করা শিখেছিল সেই কৌশলটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ঐ প্রজাতির পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, খুবই দ্রুত ইউরোপ মহাদেশীয় অন্যান্য পাখিরাও একই কৌশলে দুধ চুরি করা শুরু করে দেয়। এটা সম্ভব হয়েছিল মরফোজেনেটিক ফিল্ডের বদৌলতে। কারণ টেলিপ্যাথি বাঁধনহীন, এটা মানুষ এবং পশু উভয়ের সাথেই সমানভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
এটা ছাড়াও বিবিসি মানুষ এবং পশুর উপর পরীক্ষার কিছু নমুনা নিয়ে ডকুমেন্টারি করেছে। এরকমই একটা ডকুমেন্টারিতে কিছু কুকুরকে দেখানো হয়েছে যেখানে কুকুরগুলোর মালিকেরা ঐগুলোকে বাসায় রেখে বাইরে চলে যান (কোন নির্দিষ্ট গন্তব্যে না)। একটা নির্দিষ্ট সময় পর মালিকেরা বাসায় তাদের কুকুরের কাছে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ডকুমেন্টারি টিম রেকর্ড করেছে যে, ঠিক যে মুহুর্তে মালিকেরা বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখনই কুকুর গুলো উঠে দরজার কাছে চলে গেছে এবং মালিকের জন্য অপেক্ষা করছে। অগণিতবার এই পরীক্ষাটা চালানো হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্তে উপণিত হয়েছে যে এটা কোন কো ইনসিডেন্স না। কারণ ফলাফল প্রতিবারই একই।
টেলিপ্যাথি ঠিক কিভাবে কাজ করে সেটা এখনো ধোঁয়াশা। সে যায় হোক, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষার মাধ্যমেই এর কার্যকারণ নির্ধারণ করা যাবে। কিন্তু তবুও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কেন এই ক্ষমতাটা বিদ্যমান, আর যদিওবা বিদ্যমান কেনই বা গুটি কয়েকজনই এর প্রয়োগ করতে পারে?! অন্যদের কমতিটা কোথায়?!

 

সত্যি কি টেলিপ্যাথি বলে কিছু আছে এ দুনিয়ায়?

আমাদের সবার জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে টেলিপ্যাথি নেই এমনটা ভাবা যায়না. যেমন হয়তো কখনও অনেক অনেক মিস করছে অপু তানভীরভাইয়া তার টিয়াপাখিকে আর ঠিক সাথে সাথে তখুনি টিয়াপাখিটা কল করে বসলো বা চেয়ারম্যানভাইয়ার খুব খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো গমের আটার রুটি খেতে অমনি সেদিনই রাতে দেখলো মা গরম গরম রুটি আর গরুর মাংস ভুনা করেছেন. এসব আমরা খুব সহজেই কাকতালীয় ঘটনা বলে ফেলতে পারি কিন্তু আমরা জানিই না যে এটা আমাদের মস্তিষ্কের এক অতীন্দ্রিয় সংবেদনশীলতা যেখানে আমাদের অবাধ প্রবেশাধিকার নেই.টেলিপ্যাথি 3 রকমের হয়. যেমন -1. ফিজিক্যাল টেলিপ্যাথি,২. ইমোশনাল টেলিপ্যাথি এবং3. মেন্টাল টেলিপ্যাথি.
মেন্টাল টেলিপ্যাথিঃ কোন কথা-বার্তা, ইশারা ইঙ্গিত বা দেখা সাক্ষাৎ ছাড়াই দূরবর্তী দু'জন মানুষের যোগাযোগ করার ক্ষমতা. দূরত্ব এক রুম থেকে অন্য রুমের হতে পারে আবার পৃথিবীর একপ্রান্ত হতে অপর প্রান্তেও হতে পারে. অনেকেই মেন্টাল টেলিপ্যাথির অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে না কিন্তু এরকম উদাহরণ দিতে পারবে যা মেন্টাল টেলিপ্যাথির সংগার সাথে মিলে যায়.
 
মেন্টাল টেলিপ্যাথিতে ইমোশন বা আবেগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে. একজন মা তার বাচ্চা ব্যথা পেলে টের পান, মা-বাবা মারা গেলে সন্তান টের পেয়ে যায়. বেশির ভাগ কেইসগুলা তে দেখা গেছে - মেন্টাল টেলিপ্যাথি শুধু মাত্র ঘনিস্ঠ বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের মধ্যে কাজ করছে. ইশ আমি যদি টেলিপ্যাথি দিয়ে কোনো শত্রুর গলাটা চেপে ধরতে পারতাম. :(যাইহোক গবেষকরা অপরিচিত মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করে যে ফলাফল পেয়েছেন তার থেকে অধিক বেশি শক্তিশালী ফলাফল ছিল আত্মীয় কিংবা রক্ত ​​সম্পর্কীয় ২ জন মানুষের মধ্যেকার টেলিপ্যাথিতে.

কিভাবে করে এই মেন্টাল টেলিপ্যাথি ??মেন্টাল টেলিপ্যাথি দু'রকমের. একটাতে দু'জন মানুষের দূরত্ব থাকে পৃথিবী ব্যাপি. কেউ কাউকে না দেখেই এবং কথা না বলেই তথ্য পাঠাবে. আরেকটাতে দু'জন মানুষ দু'জন কে দেখবে কিন্তু কোন কথা না বলে শুধু মাত্র যুক্তি সংগত চিন্তা করে তথ্য পাঠাবে. এভাবে যোগাযোগের যত বেশী চেষ্টা মানে প্র্যাকটিস করা হবে তত বেশি এই যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে. প্রথমেই এমন কাউকে নিতে হবে যাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা হয় এবং যে এই ব্যাপারে আগ্রহী. দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মন খুলে অন্যজনের কাছে তথ্য পাঠানোর জন্য বসতে হবে. একজন কে সেন্ডার হতে হবে অন্যজন কে রিসিভার হতে হবে. প্রথমে ছোট ছোট ব্যাপার শেয়ার করতে হবে - যেমন কোন নাম কিংবা রং. পরে যত বেশী পারফেক্ট টেলিপ্যাথার হতে থাকবে তত তথ্য গুলো ও বড় হতে থাকবে.
টেলিপ্যাথি পরীক্ষার একটা খুবই সহজ প্যাটার্ন-এখানে সাবজেক্ট এবং পরীক্ষক মুখোমুখি বসতে হবে আর পরীক্ষকের সামনে থাকবে একটা মনিটর যেখানে ক্রমাগত ছবি বা সিম্বল জেনারেট হতে থাকবে. পরীক্ষকের সামনে যে ছবি দেখানো হবে, টেলিপ্যাথকে সেটা বলতে হবে বা এঁকে দেখাতে হয়. টেলিপ্যাথিক সাবজেক্ট আসলে পরীক্ষকের মস্তিষ্কে যে ইমেজটা পড়ছে সেটা পড়তে পারে এবং তার উপর ভিত্তি করেই ছবি আঁকে. বছরের পর বছর এই পদ্ধতিতে খুবই আশ্চর্যজনক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে.স্যার রিচার্ড বার্টন, ডিউক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জে. বি. রাইন বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করার জন্য অতীন্দ্রিয় উপলব্ধিকে ব্যবহার করেন. বিজ্ঞানীরা সাধারণত অতীন্দ্রিয় উপলব্ধিকে অগ্রাহ্য করেন, কারণ এক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য নেই. এছাড়া পরীক্ষামূলক পদ্ধতি না থাকায় এ পদ্ধতির কোন সুস্পষ্ট নির্ভরযোগ্যতা পাওয়া যায়না.
টেলিপ্যাথি নিয়ে আরও ধারনা ঃ
আমাদের অনেকেরই হয়তো এমন অভিজ্ঞতা আছে যে আমরা একজন মানুষকে মনে মনে ভাবছি আর তখনই সেই লোকটি টেলিফোন করেছে অথবা তার সাথে দেখা হয়েছে। এমন অনেক যমজ ভাই বোন পাবেন যারা একে অপরের মনকে পড়তে পারে। এমনকি যমজ এক ভাই যদি অনেক দূরে কোন বিপদের সম্মুখীন হয় সেক্ষেত্রে অন্য ভাই, কাছে না থাকেও সাথে সাথে তার ভাইয়ের বিপদের ব্যাপারে অনুধাবন করে পারে। অনেক এক্সপার্ট এই ক্ষমতাকে টেলিপ্যাথি বলে থাকে।  টেলিপ্যাথি হচ্ছে এমন একটি অভিজ্ঞতা যা কাজে লাগিয়ে আমারা অন্য মানুষের মনের ভাবনা বুঝতে পারি।   Socity forPsychical reserchএর প্রতিষ্ঠাতাWH Myears টেলিপ্যাথি শব্দটি প্রথম ব্যাবহার করেন। যদিও এই বিষয়ের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও শক্তভাবে তৈরি হয়নি কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে। এখন দেখা যাক এই বিষয়টির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কেমন হতে পারে?
বিজ্ঞানীরা দুইটি ভিন্ন তত্ত্বের মাধ্যমে টেলিপ্যাথিকে ব্যাখ্যার চেষ্টা করেন। প্রথমটি হল- Radio Wave Theory. এই থেওরি অনুযায়ী চিন্তার কারনে মানুষের মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের Radio wave বের হয়, যে wave অন্য কেউ গ্রহন করতে পারলে, সে প্রথম বাক্তির চিন্তা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এই তত্ত্ব যদি সত্য হয় তাহলে মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গ অনেক দূর থেকেও পরিমাপ করতে পারার কথা ছিল, কিন্তু কোন যন্ত্রের মাধ্যমেই মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গ স্কাল থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দুরেই আর ডিটেক্ট করা যায় না। তাই অনেক বিজ্ঞানীরা এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ।
টেলিপ্যাথি আর একটা তত্ত্ব হচ্ছে, Timeless/ Spaceless Psychic Field theory. এই তত্ত্ব অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনা গুলো একটি Psychic Field এ জমা থকে। যাদের টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা আছে তারা ওই Psychic Field থেকে প্রয়োজন মত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু এ ধরনের কোন Psychic Field এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাছাড়াও মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে বিভিন্ন মানুষের চিন্তাকে পৃথক করতে পারে সে বিষয়েও কোন ব্যাখ্যা নেই।
উপড়ের দুটি তত্ত্ব ছাড়াও কোয়ান্টাম তত্ত্বের মাধ্যমেও টেলিপ্যাথির ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী দুইটি একে অপেরের সাথে সম্পৃক্ত মৌলিক কণিকাকে যদি অনেক দূরত্বেও স্থাপন করা হয় তাহলেও তাদের behavior একে অপরের উপর নির্ভর করে। একটি কণিকা অন্য কনিকার behavior তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী behave করে। তাই ধারণা করা হয় কণিকা দুটো নন-লোকাল কোন ডোমেইনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে, যা কিনা স্থান এবং সময়ের উরধে। ঠিক একইভাবে আমারা সবাই একে অপরের সাথে নন-লোকাল কোন ডোমেইনের মাধ্যমে যুক্ত। যে কারনে দুইজন মানুষকে যদি পৃথিবীর দুই প্রান্তেও নিয়ে যাওয়া হয় তাহলেও তারা একে অপরের মনের অবস্থা বুঝতে পারার কথা। একজন যদি একটা ছবি দেখে অন্যজন কোন প্রকার হিন্ট ছাড়াই ওই ছবি সম্পর্কে ধারণা করতে পারবে। University of Mexico এর neurophysiologist Jacob Grinberg-Zylberbaum এর একটি পরীক্ষা দুইজন মানুষ যে নন-লোকাল কোন ডোমেইনের মাধমে যুক্ত থাকে তার একটি প্রমান বহন করে। এই পরিক্ষায় দুইজন মানুষকে প্রথমে ৩০ মিনিট একসাথে মেডিটেশন করানো হয় তারপর তাদেরকে দুইটি ভিন্ন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একজনকে একের পর এক কিছু লাইট ফ্ল্যাশ দেখানো হয় এবং তার মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক একটিভিটি পরিমাপ করা হয়। একইসাথে অন্য রুম যে আছে তার মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক একটিভিটি পরিমাপ করা হয় কিন্তু তাকে কোন লাইট ফ্ল্যাশ দেখান হয় না  এবং দেখা যায় যে তার মস্তিষ্কের একটিভিটি প্রতি ৪ বারে একবার তার পার্টনারের ব্রাইন একটিভিটির মত। অন্যদিকে যে মানুষদেরকে মেডিটেশনের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়নি তাদের এক জনের ব্রেইন একটিভিটী অন্যের সাথে কোন মিল নেই।

তবে যাই হোক মৌলিক কনিকার মত দুইজন মানুকেও একটা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে হয়, এক্ষেত্রে মেডিটেশন সম্পর্কযুক্ত করতে সাহায্য করে। কোন ধরনের টেলিপ্যাথিক যোগাযোগের জন্য দুইজন মানুষের মধ্যে সচেতন অভিপ্রায় এবং মতৈক্য প্রয়োজন। কিন্তু egotic অভিপ্রায়, শুধুমাত্র চিন্তা বা মনের ইচ্ছা এই কাজের জন্য পর্যাপ্ত না। দুইজন যদি চেতনার এমন পর্যায়ে যেতে পারে যেখানে কোন ego থাকে না শুধুমাত্র তখনি তাদের মধ্যে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ সম্ভব

অনেকের ধারণা

টেলিপ্যাথিবিজ্ঞানের নামে প্রতারণা(এই তথ্য টি wikimedia থেকে নেওয়া হয়েছে)

 

এক বন্ধুকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে বসেছি। খাওয়া-ধাওয়া আর গল্প-সল্প সবই হচ্ছিল। হঠাৎ বিষম লাগলো আমার। রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গেলাম। হাঁচির দমকে টেবিল ফেলে দেবার দশা আর পাশে বসে দিব্যি হাসছে আমার প্রিয় বন্ধুটি। কৌতুহলে তাকাতেই- “তোমার কথা মনে করছে, কেউ” হাসতে হাসতে বললো। আমার এই বন্ধুটি যা বলেছে, ঠিক সেই কথাগুলো আমরা হরহামেশা শুনি; যখনই খেতে বসে কারো বিষম লাগে, তখনই। কনক্লুসন হলো- কেউ যদি কাউকে স্মরণ করে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি যদি তখন খাবার টেবিলে থাকে তখনই বিষম লাগতে পারে। লাগবেই, এটা জোর দিয়ে বলা যায় না। কারণ এই ঘটনা নির্ভর করছে স্মরণকারী ও যাকে স্মরণ করা হচ্ছে এই ব্যক্তির সম্পর্কের মধ্যে। এই ছোট্ট ঘটনার তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো- এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করতে চাচ্ছি একজনের ‘ভাবনা’ আর একজনের কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করতে পারে। অর্থাৎ কোনো ক্ষেত্রে ‘ভাবনা’ বা চিন্তার সাহায্যে অপর কোনো ব্যক্তিকে প্রভাবিত করা যায়। অথবা নিজের ভাবনা তার মধ্যে সঞ্চারিত করা সম্ভব।
যেমন এই গল্পটির কথা ভাবুন- কোনো ধনীর দুলালীর সন্তান হলো, যা ঐ মেয়ের অভিভাবকদের অনাকাংক্ষিত। বাবা-মা প্ল্যান করে মেয়েকে বোঝালো সে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেছে। আসলে, সুস্থ সন্তানটিকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হলো। কিছুদিন পর দেখা গেলো ঐ ধনীর দুলালী সব সময় কানের কাছে ‘মা’ ডাক শুনতে পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেখা গেল দিনের পর দিন ঐ ডাক স্পষ্ট ও জোরালো হয়ে উঠছে। স্বভাবতই এরপর গল্পে একজন সৌম্য, দাড়িওয়ালা মনোবিজ্ঞানীর আবির্ভাব ঘটে। মনোবিজ্ঞানীর আবির্ভাব ঘটে। মনোবিজ্ঞানী আবার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং লজিক ছাড়া এন্টিলজিকের ধারে-কাছেও যান না। মনোবিজ্ঞানী ঘোষণা করলেন-ঐ মেয়ের হারিয়ে যাওয়া সন্তান দূরে কোথাও থেকে টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে এবং সফল হচ্ছে। বলার ভঙ্গিমার কারণে এই ধরনের গল্প প্রায়শ: বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে এবং পাঠকদের বিশাল অংশই ‘টেলিপ্যাথি’ নামক কারো কারো একটি বিশেষ ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান।
বেশ, টেলিপ্যাথি কি? সংক্ষেপে, এ হলো কোনো রকম মাধ্যম ছাড়া দূরবর্তী কোনো স্থান থেকে চিন্তার ট্রান্সমিশন। আর ‘টেলিপ্যাথির মূল অর্থ হলো- চাপাবাজি ও প্রতারণা। টেলিপ্যাথিকে গুরুত্ব দেন মনোবিদদের একটি বিশেষ দল। এনারা নিজেদের বলেন, পরামনোবিদ (প্যারা সাইকোলজিষ্ট)। আসলে হলেন বিশুদ্ধ চাপাবাজ (অথবা বোকা)। এই পরামনোবিদ্যা (প্যারা সাইকোলজিষ্ট) অনুসারে টেলিপ্যাথি হলো এক প্রকার অতীন্দ্রিয় অনুভূতি, একস্ট্রা সেনসরি পারসেপশন বা সংক্ষেপে ইএপসি (ঊঝচ)। অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার মানে হলো প্রকৃতির সঙ্গে বোঝাপড়া করার মানুষের যে পাঁচ ইন্দ্রিয় আছে, তার বাইরের কোনো ব্যাপার- স্পাই থ্রিলারের স্পাইদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়। ব্রিটিশ জেমস বন্ড কিংবা আমাদের মাসুদ রানা, এদের সবারই ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়’ খুব শার্প। নতুবা ঠ্যালা সামলানো খুবই কঠিন হবে যে!
ইএসপি বোঝানোর খুব সহজ ব্যাপার আছে। ধরুন, আপনি কোনো পরিসংখ্যান অফিসে চাকুরী করেন। আপনার কাজ হলো মানুষের বাসায় টেলিফোন করে ঐ বাসায় একটি বিশেষ সাবান ব্যবহৃত হয় কি না তা খোঁজ নেয়া। আপনি টেলিফোন ডাইরেক্টরী থেকে দশটি নম্বর বাছাই করলেন এবং আশ্চর্য হয়ে জানলেন ঐ দশটি বাসাতেই আপনার কাংক্ষিত সাবানটি ব্যবহার হচ্ছে। আপনি খুব অবাক হতে পারেন, আবার নাও হতে পারেন কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেই বুঝতে পারবো আপনার ‘ইএসপি অসাধারণ’। পরামনোবিদদের ভাষায় চিন্তা হলো তরঙ্গ। যখনই কেউ চিন্তা করে তখন সে আসলে ‘তরঙ্গ’ তৈরি করে। মানুষ ঐ তরঙ্গের গ্রাহকযন্ত্র (রিসিভার) হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। কাজেই, ফ্রিকুয়েন্সি মিললে একজনের ভাবনা আর একজনের কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বলা বাহুল্য যে, এই ধরনের চিন্তা তরঙ্গের কোনো অস্তিত্ব আজ পর্যন্ত আবি®কৃত হয়নি। হওয়ার কথাও নয়। আর মানুষের মাথা যে রিসিভার নয়, তার বড় প্রমাণ আপনি নিজে। কারণ, প্রতি মুহূর্তে আপনার চারপাশে বিস্তর তথ্য এদিক-সেদিক হচ্ছে, মাইক্রোওয়েভে বা বেতার তরঙ্গে। এ সবের কিছুই আপনার এন্টেনা ধরতে পারছে না।
ইএসপি ও টেলিপ্যাথিকে পুঁজি করে এই জগতে প্রচুর প্রতারকের আবির্ভাব ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবেও যদি না সমাজ থেকে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে ঝেটিয়ে দূর করা যায়। টেলিপ্যাথি সম্রাট নামে বিখ্যাত এই ধরনের একজন ধুরন্ধর প্রতারকের নাম ইউরি গেলার। দীর্ঘ সময় ধরে, প্রচুর বোকা মানুষকে মোহিত করে ভদ্রলোকে অনেক টাকা কামিয়েছেন। জারিজুরি ফাঁস হবার পর ভদ্রলোকের ইদানিং ব্যবসা মন্দা। তবে, তাকে নিয়ে গালগল্প ফাঁদবারতো লোকের অভাব নেই এদেশে। বিশেষ করে হাটখোলার সাপ্তাহিক ও সেগুনবাগিচার মাসিক পত্রিকাতো পাল্লা দিয়ে লিখেই চলছে।
আপনার আশপাশে যে সব টেলিপ্যাথিক ক্ষমতার অধিকারী পীর, ফকির ও সাধুবাজীরা আছেন তাদেরকে দুটো পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। প্রথমতঃ পকেট থেকে একটি টাকার নোট বের করে সেদিকে তাকিয়ে থাকুন। খেয়াল রাখবেন টেলিপ্যাথিক বাবা যেন সেটি দেখতে না পায়। এবার বাবাজীকে নোটের নম্বর জিজ্ঞেস করুন। অথবা বাবাজির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বাবাজীকে একটি কষে গালি দিন। তারপরে জিজ্ঞেস করুন আপনার ভাবনা বাবাজী ধরতে পেরেছে কি না।
পুনশ্চঃ যে বিষম খাওয়া নিয়ে এই লেখার শুরু সেই বিষম খাওয়ার মূল ব্যাপারটি, পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। খাদ্য বা পানি উদরে যাবার সময় অন্ননালীর পরিবর্তে যদি শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে তাহলে শ্বাস রোধকারী একটা অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবর্তী ক্রিয়া হিসেবে হিক্কা, হাঁচির মাধ্যমে দুরবস্থার নিরসন হয়।
টেলিপ্যথির কিছু ছবিঃ





 আপনাদের পড়ার জণ্য বিভিন্ন পেজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে,ভালো লাগলে কমেন্টে প্লিজ বলবেন।।
 

Wednesday, April 15, 2015

nayan's foundation jessore: স্বপ্ন (ইংরেজি: Dream) মানুষের একটি মানসিক অবস্...

nayan's foundation jessore:


স্বপ্ন (ইংরেজি: Dream) মানুষের একটি মানসিক অবস্...
: স্বপ্ন (ইংরেজি: Dream ) মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘট...



স্বপ্ন (ইংরেজি: Dream) মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘটনাগুলি কাল্পনিক হলেও স্বপ্ন দেখার সময় সত্যি বলে মনে হয়। অধিকাংশ সময় দ্রষ্টা নিজে সেই ঘটনায় অংশগ্রহণ করছে বলে মনে করতে থাকে। অনেক সময়ই পুরনো অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো স্মৃতি কল্পনায় বিভিন্নভাবে জুড়ে ও পরিবর্তিত হয়ে সম্ভব অসম্ভব সব ঘটনার রূপ নেয়। স্বপ্ন সম্বন্ধে অনেক দর্শন বিজ্ঞান, কাহিনী ইত্যাদি আছে। 
স্বপ্ন  বিজ্ঞানের ইংরেজি নাম Oneirology। কিছু স্বপ্নবিজ্ঞানীর মতে নিদ্রার যে পর্যায়ে কেবল আক্ষিগোলক দ্রুত নড়াচড়া করে কিন্তু বাকি শরীর শিথিল (সাময়িকভাবে প্রায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত) হয়ে যায় সেই REM (Rapid eye movement, দ্রুত চক্ষু আন্দোলন) দশায় স্বপ্ন মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।
স্বপ্ন হল ধারাবাহিক কতগুলো ছবি ও আবেগের সমষ্টি যা ঘুমের সময় মানুষের মনের মধ্যে আসে। এগুলো কল্পনা হতে পারে, অবচেতন মনের কথা হতে পারে, বা অন্য কিছুও হতে পারে, শ্রেণীবিন্যাস করা বেশ কষ্টকর। সাধারনত মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখে, তবে সবগুলো মনে রাখতে পারে না।





 স্বপ্ন নিয়ে গবেষণায় ব্যবহৃত উদ্ভাবিত যন্ত্র

১৯৪০-এর দশক থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ক্যাল্ভিন এস হল পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি স্বপ্ন সম্বন্ধীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োতে অবস্থিত কেইস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটিতে পেশ করেন। ১৯৬৬ সালে হল এবং ভ্যান দ্য ক্যাসল দ্য কন্টেন্ট এনালাইসিস অফ ড্রিমস নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। গ্রন্থে তাঁরা কোডিং পদ্ধতির মাধ্যমে এক হাজার কলেজ ছাত্রের স্বপ্নের প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন। সেখানে তাঁরা দেখিয়েছেন যে, সমগ্র বিশ্বের জনগণ সাধারণত একই ধরনের বিষয় নিয়ে স্বপ্ন দেখে। হলের পূর্ণাঙ্গ স্বপ্ন সম্বলিত প্রতিবেদন ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময়ে তার উত্তরসূরী উইলিয়াম ডোমহফ কর্তৃক জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। সেখানে আরও ভিন্ন বিশ্লেষণ দেখা যায়। স্বপ্নে মানুষ অধিকাংশ সময়ই গত দিন বা গত সপ্তাহের বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কিত কিছু দেখে।

স্বপ্নে ভবিষ্যতের বার্তাঃ

স্বপ্ন ভবিষ্যতের বার্তা বহন করতে পারে। পতঙ্গের গুরুমস্তিষ্ক থাকে না কিন্তু পতঙ্গেরা নার্ভক্রিয়ার সাহায্যে ভূমিকম্প, সূর্যগ্রহণ, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুযোর্গের পূর্বাভাস পেয়ে থাকে। যন্ত্রের যন্ত্রনায় মানুষের মধ্যে ভবিষ্যতের পূর্বভাস পাবার শক্তিগুলো নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ঘুমের সময় গুরু মস্তিষ্কের কর্মকান্ড স্তিমিত হয়ে গেলে স্বতন্ত্র নার্ভক্রিয়া সক্রিয় হয়ে ভবিষ্যৎ বাণী পাঠায়। “বিভূতিযোগ” চর্চা করে যোগীরা স্বতন্ত্র নার্ভক্রিয়াকে সক্রিয় করতে পারেন।


দিবাস্বপ্নঃ



ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষের কল্পনা ও আকাঙ্খাকে দিবাস্বপ্ন বলা হয়। দিবাস্বপ্ন বস্তুগত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। বস্তুজীবনে সঠিক ব্যবহারে দিবাস্বপ্ন অতীতের পরিসমাপ্তি ঘটায়, বর্তমানকে সুগঠিত করে এবং ভবিষ্যৎ জীবনের নতুন পথের সন্ধান দেয়। দিবাস্বপ্ন ভবিষ্যতের ছবি দেখিয়ে ব্যক্তিকে শক্তি ও সাহস যোগাতে পারে। সঠিক ব্যবহার জানলে দিবাস্বপ্ন শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত ও নব নব আবিষ্কারের দ্বার উন্মোচন করে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই দিবাস্বপ্নকে সৃষ্টিশীলতায় ব্যবহার করে না অথচ প্রায় সারাক্ষণই তাৎপর্যহীন দিবাস্বপ্ন দেখে। দিবাস্বপ্নকে দিবাস্বপ্ন বলা হয় কারণ, সাধারণ মানুষের কাছে দিবাস্বপ্নের বিষয়বস্তুও বাস্তবের মতো বাস্তব নয়। আধ্যাত্মিক সাধনায় দিবাস্বপ্ন সহায়ক। মুর্শিদ স্মরণ, নিজেকে জানা এবং আমি'র মধ্যে থাকতে দিবাস্বপ্ন বাধা দেয় না। দিবাস্বপ্ন সাধারণ মানুষকে বর্তমানে থাকতে দেয় না। এজন্যই সাধকেরা সিদ্ধি লাভকে জীবনের স্বপ্ন থেকে জাগরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মানুষ সজাগ থাকলে স্বপ্ন দেখে না। একজন সিদ্ধ পুঁরুষ ঘুমন্ত অবস্থায়ও সজাগ থাকেন অথবা যিনি সব সময় সজাগ থাকেন তাঁকেই সিদ্ধ পুঁরুষ বলা হয়। তাই সিদ্ধ পুঁরুষদের স্বপ্ন দেখার কথা নয়।

ইসলামে স্বপ্নের ব্যাখ্যাঃ


মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে, তবে দুঃস্বপ্ন নয়। স্বপ্ন দেখা বা না দেখার বিষয়টি অবশ্য মানুষের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার একেবারেই বাইরে। স্বপ্ন দেখার পুরো বিষয়টিই নির্ভর করে মস্তিষ্কের উপর। আর তাই ঘুমিয়ে গেলে কেমন স্বপ্ন দেখবো সেটা আগে থেকে ধারণা করা বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আর তাই চিরকালই স্বপ্ন একটি রহস্যময় বিষয় হিসেবেই মানুষের মাঝে ঘুরপাক খেয়েছে। নানান রকমের কুসংস্কারও তৈরি হয়েছে রহস্যময় এই স্বপ্নকে ঘিরে। স্বপ্ন সম্পর্কে আছে নানান রকমের মজার অজানা তথ্য। জেনে নিন তেমনই কিছু মজার অজানা তথ্য সম্পর্কে।
১) শিশুরা স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে সবচাইতে এগিয়ে আছে। দিনের ৭০% সময় শিশুরা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। আর এই সময়ের ৫০% সময়েই শিশুরা স্বপ্ন দেখে কাটায়। আর এসব স্বপ্ন শিশুদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
২) ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সবাই জানতো যে পৃথিবীর সব মানুষই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন ছাড়া মানুষ হতেই পারে না বলেই ধারণা করতেন সব গবেষকরা। কিন্তু খুব অদ্ভুত একটি বিষয় ঘটে ১৯৮২ তে। ইউভাল নামের এক ব্যক্তি যুদ্ধে মাথায় ব্যাথা পান। এরপর ডাক্তারের কাছে মস্তিষ্ক পরীক্ষা করান। গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে ইউভাল ঘুমের সময় স্বপ্ন দেখেন না। এভাবে দিনের পর দিন তার ঘুম পরীক্ষা করে কোনো স্বপ্নের হদিস পান নি গবেষকরা। তখন তারা বলেন যে স্বপ্ন না দেখলে ইউভালের স্মৃতিশক্তির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটবে। কিন্তু তখন থেকে আজ অবধি ইউভাল বেশ ভালোই আছেন। তিনি একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবি, একজন চিত্রকর এবং সুখী মানুষ।
৩) আমাদের জীবনের তিনভাগের একভাগ সময় আমরা ঘুমিয়ে কাটাই। আর প্রতিদিন এর ঘুমের মাঝে আমরা গড়ে ৫টি স্বপ্ন দেখি। প্রতিদিন ঘুমানোর সময়ে আমরা মোট ৯০ মিনিট স্বপ্ন দেখেই কাটিয়ে দেই।
৪) ঘুমানোর সময়ে আমাদের শরীরের সকল কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়। আমাদের মস্তিষ্ক একদমই ধীর গতিতে কাজ করে, মাংসপেশি শিথিল হয়ে বিশ্বাম গ্রহণ করে, শ্বাস প্রশ্বাস ধীর হয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্ন দেখার সময়ে শরীরের কার্যপ্রক্রিয়া প্রায় জেগে থাকার মতই সচল থাকে। বিশেষ করে মস্তিষ্ক ও শ্বাসপ্রশ্বাস জেগে থাকার মতোই স্বাভাবিক থাকে স্বপ্ন দেখার সময়।
৫) গবেষকদের মতে স্বপ্ন হলো স্মৃতির সব কিছুকে একটি টেবিলে ওলট পালট করে ঢেলে নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার মতো একটি বিষয়। সারাদিন যা কিছু ঘটে তার মাঝে থেকে বিশেষ কিছু স্মৃতিকে গুছিয়ে রাখতে সহায়তা করে স্বপ্ন। আর তাই যারা বেশি স্বপ্ন দেখেন তাদের স্মৃতিশক্তিও অপেক্ষাকৃত ভালো থাকে অন্যদের চাইতে।
৬) পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যেই স্বপ্নটি সবচাইতে বেশি দেখে থাকেন তা হলো হঠাৎ পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন। এমন স্বপ্ন দেখে নিশ্চয়ই আপনিও চমকে ঘুম থেকে উঠে গেছেন অনেকবার? এছাড়াও আরো কিছু সাধারণ স্বপ্ন আছে যেগুলো প্রায় সব মানুষই বিভিন্ন সময় দেখে থাকেন। এক নজরে দেখে নিন তালিকাটি।




                                                       ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন


স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله .
(رواه البخاري في التعبير)
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারী)
ইসলামে স্বপ্নের একটি গুরুত্ব আছে। নি:সন্দেহে এটা ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক চোখা বস্তুবাদীরা বলে থাকে, ‍‍‍‍‍‍মানুষ যখন ঘুমায়, তখন তার মস্তিস্ক তার স্মৃতিগুলো নাড়াচাড়া করে। যাচাই-বাছাই করে, কিছু পুনর্বিন্যাস করে। তারপর স্মৃতির ফাইলে যত্ন করে রেখে দেয়। এই কাজটা সে করে মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন। মস্তিস্কের এই কাজ-কর্মই আমাদের কাছে ধরা দেয় স্বপ্ন হিসেবে।‌‌” কথাটা শুনতে মন্দ নয়। তবে এটি স্বপ্নের একটি প্রকার মাত্র। বাকী দু প্রকার কি আপনাদের মস্তিস্কে ধরা পড়ে? ইসলাম তো বলে স্বপ্ন তিন প্রকার।
হাদীসে দেখা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজের পর মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বসতেন। প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, গত রাতে তোমাদের কেউ কি কোনো স্বপ্ন দেখেছ? আল-কোরআনে নবী ইবরাহীম আলাইহিস সালামের স্বপ্ন, ইউসুফ আলাইহিস সালামের স্বপ্নের কথা উল্লেখ আছে। ইউসূফ আলাইহিস সালামের সময়ে মিশরের বাদশার স্বপ্ন, তাঁর জেলখানার সঙ্গীদের স্বপ্ন ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বপ্ন নিয়ে তো আল কোরআনে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
মিশরের বাদশা তার সভাসদের স্বপ্ন বিশেষজ্ঞদেরকে নিজ স্বপ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। জানতে চেয়েছিল, সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা। তারা বলেছিল, এটা এলোমেলো অলীক স্বপ্ন। তারা এর ব্যাখ্যা দিতে পারল না। নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর সুন্দর ব্যাখ্যা দিলেন। নিজের পক্ষ থেকে নয়। আল্লাহ তাআলার শিখানো ইলম থেকে। (সূরা ইউসূফের ৩৬ থেকে ৪৯ আয়াত দ্রষ্টব্য)
স্বপ্ন দ্রষ্টার অবস্থা ভেদে একই স্বপ্নের ব্যাখ্যা বিভিন্ন রকম হতে পারে। স্বপ্ন তিন প্রকার: এক. মনে মনে যা সারাদিন কল্পনা করে তার প্রভাবে ঘুমের মধ্যে ভাল-মন্দ কিছু দেখা। এগুলো আরবীতে আদগাছু আহলাম বা অলীক স্বপ্ন বলে। দুই. শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাবে স্বপ্ন দেখা। সাধারণত এ সকল স্বপ্ন ভীতিকর হয়ে থাকে। তিন. আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইশারা, ইঙ্গিত হিসাবে স্বপ্ন দেখা। বিষয়টি উপরে বর্ণিত হাদীসেও উল্লেখ হয়েছে।

হাদিসে এসেছে


عن أبي قتادة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “الرؤيا الصالحة من الله، والحلم من الشيطان، فإذا رأى أحدكم ما يحب فلا يحدث به إلا من يحب. وإذا رأى ما يكره فليتعوذ بالله من الشيطان، ولينفث عن شماله ثلاثاً، ولا يحدث بها أحداً فإنها لن تضره” متفق عليه.

আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ভাল ও সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। যদি কেউ ভাল স্বপ্ন দেখে তাহলে তা শুধু তাকেই বলবে যে তাকে ভালোবাসে। অন্য কাউকে বলবে না। আর যদি স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখে তাহলে শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। ( বলবে, আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম) এবং বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে। আর কারো কাছে স্বপ্নের কথা বলবে না। মনে রাখবে এ স্বপ্ন তার ক্ষতি করতে পারবে না। (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)

এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম :
এক. ভাল স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
দুই. খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে এসে থাকে।
তিন. খারাপ স্বপ্ন দেখলে সাথে সাথে তিনবার বাম দিকে থুথু ফেলে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম বলতে হবে। তবে সত্যিকার থুথু ফেলবে না। মানে মুখ থেকে পানি নির্গত হবে না। শুধু আওয়ায করবে। কেননা হাদীসে নাফাস শব্দ এসেছে। যার অর্থ এমন হাল্কা থুথু যাতে পানি বা শ্লেষ্মা নেই।
চার. এই আমলটুকু করলে খারাপ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।
পাঁচ. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে তা বর্ণনা করবে না।
ছয়. ভাল স্বপ্ন দেখলে তার কাছেই বর্ণনা করবে যে তাকে ভালোবাসে। শত্রু ভাবাপন্ন বা হিংসুক ধরনের কারো কাছে ভাল স্বপ্নও বর্ণনা করতে নেই। কারণ, হতে পারে ভাল স্বপ্নটির একটি খারাপ ব্যাখ্যা সে শুনিয়ে দেবে। ফলে অস্থিরতা, দু:চিন্তা ও উদ্বেগ বেড়ে যাবে।

আব্দুল্লাহ শহীদ আ: রহমান










 স্বপ্ন সম্পর্কে সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত।।
ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।।

Monday, April 13, 2015

                                    পহেলা বৈশাখ জানুন

পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার) প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালীরা একটি সর্বজনীন উৎসব। সারা বিশ্বের বাঙালিরা এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগীয় পঞ্জিকার অনুসারে ১৪ এপ্রিল অথবা ১৫এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা নতুন তারিখের শুরু ধরা হয় সূর্যোদয় থেকে।

হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুরি, ্নেপাল, উরিষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নারু এবং ত্রিপুরা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।
ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা নব্বর্ষ প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ নভেম্বর ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে তো চৈত্র  মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।
উপরের সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত...




Copyright © 2014 nayan's foundation jessore All Right Reserved
^