এটি সেচ্ছাসেবামুলক সংগঠন।আমদের কাজ সমাজের উন্নয়ন।।.এবং লেখা কিছু বৈজ্ঞানিক সমাজ গবেষণা।

Latest News:

Saturday, April 18, 2015


প্রেম (ইংরেজি: Romance) হল ভালবাসার রহস্যময় এবং উত্তেজনাপূর্ণ এক প্রকার আবেগ বা অনুভূতি। কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এতে অপর ব্যক্তির প্রতি প্রবল মানসিক বা আবেগীয় আকর্ষণ কাজ করে। রোমান্সের বা রোমান্টিক সম্পর্কে যৌন আকর্ষণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত আবেগ ও অনুভূতি অধিক গুরুত্বের অধিকারী হয়।
প্রায়শ ক্ষেত্রেই সম্পর্কসমূহের সূচনাপর্বে রোমান্টিক অনুভূতি সবচেয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করে। তখন এর সঙ্গে এমন এক অনিশ্চয়তা এবং দুশ্চিন্তা অনুভূত হয়যেন এ ভালোবাসাকে হয়তো আর কখনোই ফিরিয়ে আনা যাবে।প্রেম একটি মানবিক অনূভুতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে প্রেম। তবুও প্রেমকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী প্রেম সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের প্রেম থেকে পৃথক করা যায়না। প্রেম বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম প্রেম, ধর্মীয় প্রেম, আত্মীয়দের প্রতি প্রেম ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে


পারে...এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।




চলতে গেলে অনেকের সঙ্গেই পরিচয় হয়ে যায়। কাউকে হয়তো মনেও ধরে যায়। মনে ধরলেও কিছু করার উপায় থাকে
না। কারণ কিভাবে তাকে নিজের করে পাওয়া যায় তার কোনো বুদ্ধিই মাথায় আসেনা তখন। এক্ষেত্র একটু কৌশলী হউন। কোনো ভাবে তার কাছে যাওয়ার সহজ পথটি খুঁজে নিন। না হয় পাওয়ার আগেই হারিয়ে বসতে পারেন।
এক্ষেত্র নিচের কৌশলগুলো ধারাবাহিকভাবে অবলম্বন করতে পারেন:
১. তার সাথে কথা বলার একটা উপায় বের করা, একেবারে কোন উপায় না পেল শুধু হাই দিয়েই শুরু করা। তাকে বোঝানো আপনি তার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন।
২. তার বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করা। কারণ এর মাধ্যমেই আপনি তার সাথে আরো বেশি করে কথা বলতে পারবেন এবং তাকে দেখতে পারবেন।
৩. আশা করতে পারি, আপনি হয়তো তার বন্ধু কিন্তু শুধুই বন্ধু। আপনার এখন উচিত তার সাথে একটু বেশি কথা বলা এবং তার আশে পাশেই থাকতে চেষ্টা করা।
৪. এখন আপনি হয়তো আগের থেকে একটু বেশি ঘনিষ্ট,আপনার উচিত আপনার ভালবাসাটা তার কাছে প্রকাশ করা। কিন্তু এটাকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে না যাওয়া। সামান্য কিছু করা এবং তার সাথে একা সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করা। যেন সে আপনার দিকে মনযোগ দিতে বাধ্য হয়।
৫. এখন আপনি আপনার ভালবাসাটা তার কাছে লক্ষণীয় করেন। যখন তার সাথে কথা বলবেন অথবা তার সাথে কোথাও খেতে বসবেন,তখন কোন বিষয় নিয়ে নেকামি করবেন না। নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টা নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে কথা বলেন।
৬. এখন সময় এসেছে তার কাছে নিজের ভালবাসার কথার স্বীকার করা। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যেটা দেখে সে আপনাকে তার উপর নির্ভরশীল মনে করে। তার সামনে এভাবে কথা বলতে পারেন, “আমি একটা মেয়েকে কিছুটা ভালবেসে ফেলেছি কিন্তু বুঝতে পারছি না আমাকে সে পছন্দ করে কিনা!” কিন্তু তাকে বলবেন না কে সেই মেয়েটা তা ধারনা করুক।
৭. এখন সময় এসেছে তাকে বলার যে আপনি তাকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এমন ভাবে বলবেন না যে মনে হয় আপনি তাকে শুধুই পছন্দ করেন। তাকে এভাবে বলতে পারেন, “আমি তোমাকে আসলেই পছন্দ কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করব। তুমি আমাকে পাগল করে ফেলছো, আমি যখন তোমার কথা চিন্তা করি, তোমার হাসি মাখা মুখটিই আমার চোখে ভেসে উঠে, তুমি সবক্ষেত্রেই উপযুক্ত”।
৮. আপনি তার কাছে আপনার মনের কথা ব্যক্ত করেছেন। এখন তার কিছু সময় প্রয়োজন কথাগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার। এখন তাকে বিরক্ত করবেননা, তাকে কিছুটা এড়িয়ে চলুন এমনভাবে যেন এটা তার কাছে লক্ষণীয় না হয়। সে যদি আপনার কাছে আসে এবং আপনার সাথে কথা বলতে চায় তার সাথে সাধারনভাবে কথা বলুন। সে যদি তার সিদ্ধান্ত আপনাকে না জানায় আপনি ৩ দিন পর এটা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতে পারেন।
৯. আশা করি, আপনি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন। এটা ভাল ও হতে পারে অথবা মন্দ। উত্তরটা যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে তার সাথে কোন খারাপ আচরণ করবেননা। মনে রাখবেন সবশেষে আপনি একজন ভাল বন্ধু পেয়েছেন।
১০. যদি তাকে আপনি নিজের মতো করে পেতে চান তাহলে তার সাথে এমন কোন আচরণ করবেন না যার জন্য তাকে আবার হারাতে হয়।

যেভাবে বুঝবেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন

 ( ইন্টারনেট থেকে নেওয়া)

স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে প্রেমের চিরন্তন শিখা চিরদিন জ্বলে এই প্রবাদটি আগেরকার দিনের প্রেমিক-প্রেমিকারা মনে প্রানে বিশ্বাস করলেও বর্তমান যুগের প্রেমিক-প্রেমিকার এটা বিশ্বাস করেইনা বললেই চলে।মোবাইল,ফেসবুক,ইয়াহু,হটমেইল,জিমেইল,স্কাইপের এ যুগে প্রেম মোবাইলের ব্যালেন্সের মত।মোবাইলের ব্যালেন্স যেমন এই আছে এই নেই তেমনি আজকালকার প্রেমও এই আছে এই নেই।আজকালকার প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিয়ে যে ইতিহাসই হউকনা কেন শিরি- ফরহাদ,লাইলী-মজনু টাইপের ইতিহাস যে লেখা যাবেনা তাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।থেরাপীর গত সংখ্যায় ‘যেভাবে বুঝবেন আপনি বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন’ পড়ে থেরাপীর বেশ কয়েকজন পরিচিত পাঠক অনলাইন কনফারেন্সে আমার অভিজ্ঞতার ভান্ডার দেখে বেশ রসিয়ে রসিয়ে জানতে চাইল,আরিফ ভাই,এত কিছু জানেন কি করে? আপনি কয়টা বিয়ে করেছেন সত্যি করে বলেনতো?ওদের প্রশ্ন শুনে হাসব না কাদঁব বুঝে উঠার আগেই আরেকজন বলল,আরিফ ভাই আমাদের তো এখনো বিয়ের বয়স হয়নি।আমাদের এখন প্রেমের বয়স কিভাবে বুঝব প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছি কিনা তা যদি একটু বলতেন তাহলে উপকৃত হতাম।থেরাপীর পাঠক বলে কথা।ভাবলাম,ওদের বলে দেয় কিভাবে বুঝবে প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছে কিনা।কিন্তু থেরাপীর হাজার হাজার পাঠকের কথা মনে পড়তেই ওদের বললাম,শুধু তোমরা উপকৃত হবে তা তো হবেনা তোমাদের মত থেরাপীর সব পাঠকেরও উপকৃত হওয়া উচিত।তাই থেরাপীর সব পাঠকের জন্য এ সপ্তাহের আয়োজন,যেভাবে বুঝবেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন।প্রিয় পাঠক,তো চলুন জেনে নেয় কিভাবে বুঝবেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন ।

১..সহজ-সরল বোকা টাইপের কাউকে দেখলেই আমরা গাধা বলে খোচাঁ দেয়।কিন্তু গাধা টাইপের ছেলেদের মেয়েরা অনেক পছন্দ করে।কারণ,চারপায়ে গাধাকে যেমন ইচ্ছা মত চালানো যায় তেমনি গাধা টাইপের প্রেমিককেও ইচ্ছা মত নাকে দড়িঁ দিয়ে ঘোরানো যায়।আপনি যতই চালাক হননা কেন এই গাধার মত খাটতে গিয়ে যা যা করতে হবেঃ

ক..নিজের পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রেমিকার জন্য বন্ধু,বড় ভাইদের হাত পা ধরে নোট সংগ্রহ করতে হবে।

খ..মাছি আর প্রেমিকারর মধ্যে মিল হচ্ছে মাছি বিরতীহীন ভাবে ভনভন করতে পারে আর প্রেমিকারা বিরতীহীন ভাবে বকবক করতে পারে।গাধা যেমন মনিবকে পিঠে ছড়িয়ে হাটঁতেই থাকে হাটঁতেই থাকে তেমনি ঘন্টার পর ঘন্টা কোনরকম বিরক্তি প্রকাশ না করে প্রেমিকার বকবক শুনে শোনার ধৈর্য্য থাকতে হবে।

গ..মেয়েদের সাজুগুজু করতে যেমন কয়েকঘন্টা লাগে তেমনি চুলের একটি ক্লিপ/লিপষ্টিক/টিপ/নখপালিশ কিনতে গেলেও মেয়েদের কয়েকঘন্টা লাগে।জামার সাথে কালার মিলিয়ে ক্লিপ/লিপষ্টিক/টিপ/নখপালিশ কেনার জন্য শপিংসেন্টারের সব দোকান ঘুরে শেষে দেখা যায় প্রথমে যে দোকানে গেছে সে দোকান থেকেই নিয়েছে।এ নিয়ে প্রেমিকার উপর রাগ দেখানো যাবেনা উল্টো নরম হাসি দিয়ে বলতে হবে,জানু,তোমার মন মত না হলে নিওনা চলো অন্য মার্কেটে দেখি।

ঘ..প্রেমিকের মোবাইল নাম্বার বিজি দেখলে কিংবা ওয়েটিং দেখলে প্রেমিকা যা বলবে তাই বিশ্বাস করতে হবে কোন প্রশ্ন না করে।কিন্তু, আপনার মোবাইল নাম্বার বিজি/ওয়েটিং দেখলে আপনার ১৪গুষ্টির এমনকি আপনার পোষা কোন প্রানী থাকলে সে প্রানীর কসম করে বলতে হবে কার সাথে।

২.. আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে জনপ্রিয় বাংলা ছবি কুলির এই গানটির মত প্রেমিকারাও চাই প্রেমিক তাকে আকাশের চাদেঁর মতই ভাবুক।ভাবছেন শুধু ভাবলেই কাজ শেষ?উহুঁহু।বাবার মানিব্যাগে,মায়ের আলমারিতে মাঝে মাঝে হাত চালাতে হবে কিংবা টিউশনি করে টাকা কামিয়ে যা যা করতে হবেঃ

ক..মাসে কয়েকবার ভাল রেষ্টুরেন্টে খাওয়াতে হবে।

খ.. প্রেমিকার মোবাইলে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে।

গ..জন্মদিন,ঈদ,পূজায়,পহেলা বৈশাখ,ভালবাসা দিবস সহ যত ভালবাসা বিষয়ক দিবস আছে সব দিবসে প্রেমিকাকে গিফট দিতে হবে।

ঘ.. দেখা হলে প্রেমিকার পরনের পোশাক,পোশাকের কালার,ঠোঁেটর লিপস্টিক,কপালের টিপ পছন্দ হউক না হউক উল্লাসিত উচ্ছারনে প্রশংসা করতে হবে কিছুক্ষন পর পর।প্রশংসা হতে পারে এমন,ইস আমার জানটাকে টিপটা কি সুন্দর যে মানিয়েছে/আমার টিয়া পাখিটার চয়েস এত সুন্দর কেন/তোমার ব্যাক্তিত,¡ পোশাক আশাকের রুচিবোধ দেখে আমার বন্ধুরা তাদের প্রেমিকাকে বলে,আমার বন্ধুর প্রেমিকার ১ভাগ গুন পেলেও তোমাকে পূজা করতাম।

৩ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইটে কয়েকমাস আগে একটি ফিচারে দেখা গেছে প্রেমের সর্ম্পকের কারণে কাছের বন্ধুদের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি হয় এবং বন্ধুদের সাথে সম্পর্কও নষ্ট হয়।শুধুই কি বন্ধুদের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি কিংবা বন্ধুত্ব নষ্ট হয়?আরো অনেক কিছুই নষ্ট হয়।যেমনঃ

ক..প্রেমিকার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা পার্কে দাড়িঁয়ে থাকতে হয়।

খ..রাত জেগে প্রেমিকার ১৪গুষ্টি থেকে প্রেমিকাদের বাসায় কোনদিন ইদুঁর দেখা গেছে কিংবা প্রেমিকাদের বাসার বেড়ালটা প্রেমিকাকে কতটা পছন্দ করে কিংবা প্রেমিকার কোন বান্ধবীটা কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি যত সব আজাইরা প্যাচাঁল আছে সব শুনতে হবে ঘুমের তেরটা বাজিয়ে।

গ.. প্রেমিকার সাথে ঝগড়ার কারণে মেজাজ চরম খারাপ থাকার কারণে বাসায় ভাই-বোনের সাথে ঝগড়া হতে পারে।

ঘ.. পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হতে পারে।

প্রিয় পাঠক,উপরোক্ত পয়েন্টগুলো পড়ে কি বুঝলেন ?যদি বুঝে থাকেন আপনি প্রেম করার উপযুক্ত হয়েছেন তাহলে আপনাকে যা না বললেই নয় তা হচ্ছে,এত কিছু করে যে প্রেমিকার জন্য করবেন সে যে কোনদিন বিনা নোটির্শে আপনাকে মূলা দেখিয়ে অন্যের সাথে কবুল বলতে পারে।



মানুষের জীবনে প্রেমের অবদান কতখানি তা বলে দেয়া মুশকিল। তবে এটা বলা যায় কেউ তার জীবন চিন্তা করতে পারেন না প্রেম ছাড়া। প্রেমের বিস্তর উদাহরণ আছে, লাইলি মজনু, শিরি ফরহাদ এসব আদি যুগের প্রেম। কয়েকযুগ আগের প্রেম বলতে চিঠি পত্র কিংবা সিনেমায় দেখা কালজয়ী প্রেম বেঁদের মেয়ে জ্যোৎস্না এসব। আরো কিছু আছে যা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।
চলে আসি আধুনিক যুগের এই ২০১৫ সালের প্রেম পরিস্থিতিতে। পুরনো দিনের ভাল মন্দ আজ আবার নতুন দিনে ঠিক কী রূপ নিয়েছে তা জানা আছে সকলের-ই। তবু আজ প্রেম যে কেমন অস্বাভাবিক রূপ পেয়েছে তা বিজ্ঞরাই ভাল বলতে পারেন। আমি শুধু বলতে পারি স্বাভাবিক ভাবে একজন তরুণ একজন তরুণীর সাথে –  কিভাবে প্রেম করবেনঃএই বিষয়ে।
প্রেম এমন এক বিশাল ব্যপার যেটা টেকনোলজি দিয়ে করে ফেলা যায় না। কোন দিন কোন একটি টেকনিক কাজ করলেও অন্যদিন তা নাও করতে পারে। তবে ভাল প্ল্যান আর পরিশ্রম করলে এই বিষয়ে কিছুটা সহজ হয়।
প্রেম কি করতেই হবে? 
এই প্রশ্ন জরুরী। আপনি প্রেম কেন করবেন? প্রেম না করে আপনার চলে কি না সেটা দেখতে হবে। যদি ব্যক্তি জীবনে প্রচণ্ড অস্থির লাগে তবে প্রেম করাই ভাল, কিন্তু দেখবেন যদি আপনি ভাল কিছু কাজে সময় ব্যয় করতে চান, তবে ওসবে গা না ভাসালেও চলবে। তবে প্রেম করে লাভ যেমন ক্ষতিও তেমনি। বুঝে শুনে প্রেম করুন। ক্ষতির দিকটা ভাবুন।
ভেবে বের করুন আপনার ভাল লাগে কাকে? 
প্রেম করার জন্য ভাল লাগাটা জরুরী। কাকে ভাল লাগে? সে কে? যে কোন মানুষের আশে পাশে অনেক মানুষ থাকে। আত্মীয় বন্ধু বান্ধব এছাড়াও কলেজে জুনিয়র সিনিয়র কত মানুষ। এর মধ্যে কে একজন অবশ্যই আছে যাকে অন্য সবার কাছ থেকে ভিন্ন মনে হয়। খুঁজে বের করতে হবে কে সে? যদি এমন হয় যে যাকে ভাল লাগছে সে আরো একজনের সাথে প্রেম করেই যাচ্ছে তাহলে এখানেই শেষ করে ফেলা উচিত।
পছন্দের কারন বের করুন- যার সাথে প্রেম করবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন তাকে কেন আপনি পছন্দ করলেন তার কারন বের করুন। সে কেন আপনাকে এত আকর্ষন করে? শারীরিক কাঠামো কিংবা সৌন্দর্য? যদি শুধু তাই হয় তবে আরেকবার ভাবুন এই প্রেমের বাস্তবিকতা পুর্ন হবে কিনা। সে কি জীবনে খাপ খেয়ে যাবে না কি আরো বেশি যন্ত্রণাদায়ক হবে।
তাকে ফলো করুন  – একজন মানুষকে জানার জন্য তার সাথে কিছু সময় দিতে হয়। যদি বোঝা যায় সে আপনাকে নয় অন্য কোন কারণে খুব বেশি ব্যস্ত তবে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন। প্রেম করবেন আর এই সুবিধাটা নিবেন না? তাই খুব চিন্তা ভাবনা করে বের করুন  কিভাবে আপনি তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। না জানলে পরে পস্তাবেন।
রেস্পেক্ট- প্রেমের জন্য নয় জীবনের জন্যই যদি কোন বন্ধুও দরকার হয় তবে মনে রাখবেন যার সাথে সম্পর্ক হচ্ছে সে আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি না। কিভাবে প্রেম করবেন তা জানার আগেই জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন তিনি আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি-না
Love sceene
প্রস্তাবনাঃ প্রেম করার ক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে আগে এগিয়ে আসতে হয়। দুজনেই যদি লজ্জা পেয়ে বসে থাকেন তবে কোন দিন প্রেম হবেই না। কেউ কেউ মনে করেন মেয়েরা প্রস্তাব দিলে জাত যায়। আজকাল অনেকই জাত পাত সবই হারাচ্ছেন অযথাই। তাই মেয়েরা কিছুটা টেকনিক অনুসরণ করে ছেলেদের দিয়েই প্রস্তাব করাতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশি বেশি বন্ধুত্বপুর্ন আচরণ কিংবা হেল্প কিংবা ব্যক্তিগত বিষয়ে জানাশোনা। এসব কিছুই হতে পারে হাত্যার। তবে সাবধান। কখনো ছেলেদের কঠিন চরম দাবি মানতে যাবেন না। সতর্ক থাকুন এটা ২০১৫ সালে কেউ অত বোকা নেই।
ছেলেরা অবশ্যই মেয়েদের আগে থেকে প্রস্তাব দিতে পারেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন আজকাল অনেক মেয়েই আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মী। তাই যত পারেন বাজিয়ে নিন। প্রেম করুন কিন্তু না জেনে একটুও এগোবেন না। আজকাল অনেক ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে টাকা আত্মসাৎ সহ অনেক কিছু।

আজকাল বেশিরভাগ দেখা যায় পরকীয়া হচ্ছে। ব্যপারটা খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস আর মূল্যবোধ কিছুই থাকছে না। তাই এই বিষয়ে আরো সতর্ক থাকা জরুরী।
 সংগৃহীত।
লেখা ইন্টানেটের প্রেম বিশেসজ্ঞ।।


বিঃদ্রঃ এখান সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে নেওয়া, তবুও এই লেখায় ভুল বা কারও ক্ষতি হয় ।তাহ্লে ক্ষ্মা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।।

No comments:

Post a Comment

Copyright © 2014 nayan's foundation jessore All Right Reserved
^