এটি সেচ্ছাসেবামুলক সংগঠন।আমদের কাজ সমাজের উন্নয়ন।।.এবং লেখা কিছু বৈজ্ঞানিক সমাজ গবেষণা।

Latest News:

Wednesday, July 22, 2015

এই আমাদের পৃথিবী

 

পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের   আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব বা "নীলগ্রহ "। লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম ''টেরা terra ।
পৃথিবী হল মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল হল। পৃথিবীই একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদিত।৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে   প্রাণের আর্বিভাব ঘটে। পৃথিবীর জৈবমন্ডলের  এই গ্রহের বায়ূমন্ডল ও অন্যান্য অজৈবিক অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজনস্তর গঠিত হয়েছে। পৃথিবীর চোম্বুক্ষেত্র সঙ্গে একযোগে এই ওজন স্তরই ক্ষতিকর সৌরবিকিরণ গতিরোধ করে গ্রহের বুকে প্রাণের বিকাশ ঘটার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে।পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্ত্বিক  ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে।
পৃথিবীর উপরিতল একাধিক শক্ত স্তরে বিভক্ত। এগুলিকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলি পৃথিবীর উপরিতলে এসে জমা হয়েছে। পৃথিবীতলের প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত। অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে মহাদেশ ও অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে। স্থলভাগেও রয়েছে অজস্র হ্রদ ও জলের অন্যান্য উৎস। এগুলি নিয়েই গঠিত হয়েছে বিশ্বের জলভাগ। জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় তরল জল এই গ্রহের ভূত্বকের কোথাও সমভার অবস্থায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর মেরুদ্বয় সর্বদা কঠিন বরফ আন্টর্কটিক বরফের চাদর  বা সামুন্দ্রিক বরফে (আর্কটিক বরফের টুপি) আবৃত থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সর্বদা ক্রিয়াশীল। এই অংশ গঠিত হয়েছে একটি আপেক্ষিকভাবে শক্ত ম্যান্টেলের  মোটা স্তর, একটি তরল বহিঃকেন্দ্র (যা একটি চৌম্বকক্ষেত্র গঠন করে) এবং একটি শক্ত লৌহ অন্তঃকেন্দ্র  নিয়ে গঠিত।
মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সূর্য ও চাদের  সঙ্গে এই গ্রহের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে সৌরদিনে মোটামুটি ৩৬৫.২৬  বা এক নক্ষত্র বর্ষে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।[পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ২৩.৪ ডিগ্রি কোণে হেলে রয়েছে। এর ফলে এক বিষুবীয় বছর (৩৬৫.২৪ সৌরদিন) সময়কালের মধ্যে এই বিশ্বের বুকে ঋতুপরিবর্তন ঘটে থাকে। পৃথিবীর একমাত্র বিদিত প্রাকৃতিক উপগ্রহ  হল চাঁদ। ৪.৩৫ বিলিয়ন বছর আগে চাঁদ পৃথিবী প্রদক্ষিণ শুরু করেছিল। চাঁদের গতির ফলেই পৃথিবীতে সামুদ্রিক জোয়ারভাঁটা হয় এবং পৃথিবীর কক্ষের ঢাল সুস্থিত থাকে। চাঁদের গতিই ধীরে ধীরে পৃথিবীর গতিকে কমিয়ে আনছে। ৩.৮ বিলিয়ন থেকে ৪.১ বিলিয়ন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে পরবর্তী মহাসংঘর্ষের  সময় একাধিক গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে গ্রহের উপরিতলের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল।
গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের অধিবাসীরা প্রায় ২০০টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে সমগ্র গ্রহটিকে বিভক্ত করে বসবাস করছে। এই সকল রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক কূটনৈতিক, পর্যটন, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। মানব সংস্কৃতি গ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণার জন্মদাতা। এই সব ধারণার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীকে দেবতা রূপে কল্পনা,সমতল বিশ্ব কল্পনা এবংপৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্ররূপে কল্পনা। এছাড়া একটি সুসংহত পরিবেশ রূপে বিশ্বকে কল্পনা করার আধুনিক প্রবণতাও লক্ষিত হয়। এই ধারণাটি বর্তমানে প্রাধান্য অর্জন করেছে।


কিভাবে পৃথিবী তৈরি হল: আমরা সবাই নক্ষত্রকণা দিয়ে তৈরি
আমরা প্রাণের গল্পটা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করছি, যখন পৃথিবী এবং সৌরজগতের সবটুকু তৈরি হল। সৌরজগৎ একটি ঘুরতে থাকা নক্ষত্রকণার মেঘ থেকে তৈরি হয়েছে। তারপর কাছাকাছি একটি তারা বা নক্ষত্র বিস্ফোরিত হল এবং নক্ষত্রকণার মেঘ কে আন্দোলিত করলো এবং তারা ঘ‍্যূর্ণনের গতিকে বাড়িয়ে দিল। ফলে, মেঘটির প্রায় সবটুকু ভর একেবারে ঘূর্ণনের কেন্দ্রে গিয়ে জমা হল এবং সেটাই সূর্যের তৈরি করলো। আবার কিছু ছোট ছোট ভর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছিল, তারা সব গ্রহগুলি তৈরি করলো। আমাদের পৃথিবীও এভাবে তৈরি হল। কিভাবে পৃথিবী তৈরি হল সেটা নিয়ে একটি দারুণ ভিডিও নিচে দেয়া হল। দেখে নাও ঝটপট। ইংরেজী বুঝতে কষ্ট হলে কাউকে জিজ্ঞেস করে নাও যেটা বুঝছোনা সেটার মানে।

প্রথমে, পৃথিবী ছিল গলিত (অনেক গরম ছিল বলে সবকিছুই তাপে তরল হয়ে গেছে। তুমি যদি লোহাকে অনেক তাপ দাও তবে লোহাও গলে তরল হয়ে যাবে) এবং সেখানে কোন জলবায়ু বা সমুদ্র ছিলনা। ধীরে ধীরে পৃথিবী ঠান্ডা হতে থাকে এবং এর বাইরের দিকে শক্ত আবরণ তৈরি হয়। আর জলবায়ুও তৈরি হল ধীরে ধীরে। প্রথম জলবায়ুতে ছিল এমোনিয়া, মিথেন, পানির বাষ্প এবং কার্বন ডাই অক্সাইড। কিন্তু অক্সিজেন ছিল খুবই কম। যখন জলবায়ু ঘণ হতে থাকলো তখন মেঘ তৈরি হল এবং বৃষ্টি পড়লো ভূপৃষ্ঠে। বৃষ্টির পানি (এবং হয়তো উল্কাপাত মিলে) তৈরি করলো সমুদ্র। এই আদিম পৃথিবীর আবহাওয়া এবং সমুদ্র এখনকার বেঁচে থাকা জীবজন্তুর জন্য সম্ভবত বিষাক্ত ছিল, কিন্তু এটা প্রথম জীবের বা প্রাণের উদ্ভবের অনুকূল ছিল






No comments:

Post a Comment

Copyright © 2014 nayan's foundation jessore All Right Reserved
^