এটি সেচ্ছাসেবামুলক সংগঠন।আমদের কাজ সমাজের উন্নয়ন।।.এবং লেখা কিছু বৈজ্ঞানিক সমাজ গবেষণা।

Latest News:

Thursday, July 2, 2015

পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ উপায়ে পাসপোর্ট করা যায় বাংলাদেশে। লাইন দিতে হবে না। ৫-৬ ঘন্টা লাগবে না।


পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপুন্য বই,যা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অতি প্রোয়জনিয়।কিন্তু এই পাসপোর্ট করতে গেলে যে ভোগান্তি,আর হয়রানি তা অসহ্যনীয়। তাই,


অনলাইনে পাসপোর্ট করলে সময় এবং কস্ট ২টাই বাঁচে। ৩-৪ ঘন্টা লাইন দিতে হয় না। ২০-৩০ মিনিটেই কাজ শেষ। ক্যামনে কি করবেন? সেইটাই বলতেছি ………




এই বিষয়টা নিয়ে আরও আগেই লিখার ইচ্ছা ছিল। সময়েরর অভাবে লিখা হয় নাই। যাই হোক, আমরা অনেকেই হয়ত জানি না যে আমরা যতটা কস্ট সহ্য করে, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে, অনেক সময় নস্ট করে পাসপোর্ট করি, তারচেয়ে অনেক সহজেই অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন করা যায়।

১ম কাজঃ ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া।
২ ধরনের পাসপোর্ট হয়। সাধারন (৩০ দিন) পাসপোর্ট এর জন্য ৩০০০ এবং জরূরী (১৫ দিন) পাসপোর্ট এর জন্য ৬০০০ টাকা দিতে হয়। সরকারী/ কূটনৈতিক এর হিসাব মনে হয় আলাদা। আমি সাধারন মানুষ, সাধারনটাই করছি।
পাসপোর্ট করতে পারবেন যে সকল ব্যাংকে;
শুধুমাত্র সোনালি ব্যাংকের কিছু শাখায় টাকা জমা দেয়া যায়। নিচে এই শাখাগুলার নাম দিলাম


সবগুলাতেই যে দেয়া যাবে এমন কোন কথা নাই। যেমন, আগারগাঁয়ের শাখায় এখন দেয়া যায় না। বিকল্প হিসাবে কলেজগেইট শাখায় দিতে পারেন। আমি বাসার কাছে দিলকুশা কর্পোরেট শাখায় দিছিলাম।
টাকা জমা দিয়া স্লিপ নিয়া বাসায় চইলা আসবেন।

২য় কাজঃ অনলাইনে ফরম পূরন করা।

এইবার লাইনে আইছেন।
এইখানেই সবাই ঘাপলাটা করে। অফলাইনে ফরম পূরন করে। আপনি করবেন অনলাইনে। পরথম যান এই সাইটে,
http://www.passport.gov.bd/Default.aspx
মুটামুটি সবকিছুই সহজ। বলার কিছু নাই। হোম পেইজে কিছু নিয়ম কানুন দেয়া আছে। পেইজের একবারে নিচে চেকবক্সে টিক দিয়া, কন্টিনিউ দেন।
লাল তারা মার্কা ঘরগুলা পুরণ না করলে অইত নো, কাজেই সব ঠিকঠাক পুরন করেন।
মেইল এড্রেস অবশ্যি যেন এক্টিভ এড্রেস হয়। এইবার সেভ এন্ড নেক্সট দেন। আপ্নের এড্রেস এ ১খান মেইল যাওয়ার কথা। সেখানে এ্যাপ্লিকেশন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিবে। এইতা আপনি যদি বাকি ফরম পরে পুরন করতে চান, তাইলে লাগবে।
২য় পেইজে, মোবাইল নং টা ১টু সাবধানে দিয়েন (যারা ডজন খানেক সিম ইউজ করেন)
আর পেমেন্ট এর ইনফো ব্যাংক এর স্লিপ থিকা দিবেন।
লাস্ট পাতায় আইসা পরছেন। এই পাতায় আপ্নের সব ইনফো ঠিক আছে না কি দেইখা লন।
আর ১ বার সব চেক করেন সাবমিট করার আগে। পিছনের পাতা গুলাও দেখেন।
***জরূরী বিষয়টা হইল, এ্যাপয়েন্টমেন্ট এর তারিখটা ঠিক মত দিবেন। অই দিনে আপ্নের নিকটের পাসপোর্ট অফিসে গিয়া বাকি কাজ শেষ করতে হইব।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে, আপ্নের পুরন করা ফরমটার সফট কপি দিয়া দিবে। এইটারে ২কপি প্রিন্ট মারবেন।
ফরমের ২-১ জায়গায় ফাকা থাকার কথা, যেমন বাংলা নাম ইত্যাদি। অইগুলা পুরন করবেন।

৩য় কাজঃ সত্যায়িত করা।
সত্যায়িত কারা করতে পারবেন সেটা ওয়েবসাইটে (হোম্ পেইজে, লিঙ্ক উপ্রে দিছি) দেয়া আছে তাই আর বললাম না।
সত্যায়িত যিনি করবেন, তার ডিটেইলস দিতে হবে। শেষ পাতায় (৪র্থ পাতা) যায়গা আছে। ২টা ফরমেই পাসপোর্ট সাইজ় ছবি লাগানর পর, ছবির উপর সত্যায়িত করতে হবে। সিল-এ সত্যায়নকারীর নাম থাকতে হবে। ভিতরের পাতায় সত্যায়নকারীর ইনফো দিবেন।

৪র্থ কাজঃ ফরম জমা দেয়া (আগারগাঁও শাখা) এবং অন্যান্য।
*(একজন পাঠক বলেছেন, যাত্রাবাড়ি শাখায় নাকি এই সুবিধা নাই। সেক্ষেত্রে ১টু কস্ট করে আগারগাঁও শাখায় দেয়া যায় কিনা দেখেন। অনেক সময় বাঁচবে)
*(অন্য শাখার জন্য নিয়ম ১ই হওয়ার কথা। তবে ঢাকার বাইরে যারা থাকেন, তাদের হয়তো নিয়মে ভিন্নতা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অফিসে জিজ্ঞেস করুন, অনলাইনে পূরন করা ফর্ম কথায় জমা দিব?)

* ফরম জমা দেয়ার সময় আঠা, স্টেপ্লার, কলম ইত্যাদি নিয়ে যাবেন।

* সাদা পোষাক পরে ছবি তোলা যাবে না। অন্য রঙের পোষাক পরে যাবেন।

* জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি।

* বিশেষ ক্ষেত্রে হয়ত আরও কিছু কাগজ লাগতে পারে, যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। এ ব্যাপারে হোমপেইজে (http://www.passport.gov.bd/Default.aspx ) সব বলা আছে।

* এর পরের ধাপের কাজ ২ভাবে বলা যায়,
১টা হইল পাসপোর্ট অফিসের ৮০৩/৮০৪ নং রুমে আবেদন ফর্মটি দেখিয়ে সিরিয়াল নম্বর নিন।
৩০১ নং রুমে গিয়ে ছবি তুলুন।
অথবা,
পাসপোর্ট ফর্ম ভেরিফিকেশন এর জন্য ৩১০ নাম্বার রুমে যেতে হবে। কিন্তু ৩১০ নাম্বার রুমে যাওয়ার পূর্বে আপনি আট তলায় ৮০৪ নাম্বার রুমের থেকে সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে নিবেন।
সোজা বাংলায় ৩১০ নাম্বারে গেলেই যা যা করার লাগব, কয়া দিব।
ভেরি ইজি।
এরপর ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ সব নিবে। ডেলিভারী স্লিপ দিয়া দিবে। বাসায় আইসা নাকে তেল দিয়া ঘুমান এবার

৫ম কাজঃ ডেলিভারি নেয়া।
সাধারনতঃ ৩০ কর্মদিবসের মধ্যেই ডেলিভারী দেওার কথা। যেদিন ডেট দিবে তার পর যে কোন দিন নিয়া আসতে পারেন।
১ম কাজ, লাইন দিয়ে স্লিপ জমা দিতে হবে।
তারপর, অপেক্ষা করবেন......... নাম ডাকলে কাউন্টারের সামনে যাবেন। আবেদন ফর্মের নিচের দিকে স্বাক্ষর ও ফোন নং লিখে, পাসপোর্ট নিয়ে চলে আসবেন।

তবে, পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ব্যাপারে সাবধান। পুরা ব্যাপারটার মধ্যে এইটাই সবচেয়ে ঝামেলা করতে পারে।
বাঘে ছুইলে ১৮ঘা, পুলিশে ছুইলে এইরকম কোনো নির্দিস্ট সংখ্যা নাই।
কাজেই ......... সাবধান।



No comments:

Post a Comment

Copyright © 2014 nayan's foundation jessore All Right Reserved
^