এটি সেচ্ছাসেবামুলক সংগঠন।আমদের কাজ সমাজের উন্নয়ন।।.এবং লেখা কিছু বৈজ্ঞানিক সমাজ গবেষণা।

Latest News:

Wednesday, July 22, 2015

এই আমাদের পৃথিবী

 

পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের   আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব বা "নীলগ্রহ "। লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম ''টেরা terra ।
পৃথিবী হল মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল হল। পৃথিবীই একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদিত।৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে   প্রাণের আর্বিভাব ঘটে। পৃথিবীর জৈবমন্ডলের  এই গ্রহের বায়ূমন্ডল ও অন্যান্য অজৈবিক অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজনস্তর গঠিত হয়েছে। পৃথিবীর চোম্বুক্ষেত্র সঙ্গে একযোগে এই ওজন স্তরই ক্ষতিকর সৌরবিকিরণ গতিরোধ করে গ্রহের বুকে প্রাণের বিকাশ ঘটার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে।পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্ত্বিক  ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে।
পৃথিবীর উপরিতল একাধিক শক্ত স্তরে বিভক্ত। এগুলিকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলি পৃথিবীর উপরিতলে এসে জমা হয়েছে। পৃথিবীতলের প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত। অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে মহাদেশ ও অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে। স্থলভাগেও রয়েছে অজস্র হ্রদ ও জলের অন্যান্য উৎস। এগুলি নিয়েই গঠিত হয়েছে বিশ্বের জলভাগ। জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় তরল জল এই গ্রহের ভূত্বকের কোথাও সমভার অবস্থায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর মেরুদ্বয় সর্বদা কঠিন বরফ আন্টর্কটিক বরফের চাদর  বা সামুন্দ্রিক বরফে (আর্কটিক বরফের টুপি) আবৃত থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সর্বদা ক্রিয়াশীল। এই অংশ গঠিত হয়েছে একটি আপেক্ষিকভাবে শক্ত ম্যান্টেলের  মোটা স্তর, একটি তরল বহিঃকেন্দ্র (যা একটি চৌম্বকক্ষেত্র গঠন করে) এবং একটি শক্ত লৌহ অন্তঃকেন্দ্র  নিয়ে গঠিত।
মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সূর্য ও চাদের  সঙ্গে এই গ্রহের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে সৌরদিনে মোটামুটি ৩৬৫.২৬  বা এক নক্ষত্র বর্ষে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।[পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ২৩.৪ ডিগ্রি কোণে হেলে রয়েছে। এর ফলে এক বিষুবীয় বছর (৩৬৫.২৪ সৌরদিন) সময়কালের মধ্যে এই বিশ্বের বুকে ঋতুপরিবর্তন ঘটে থাকে। পৃথিবীর একমাত্র বিদিত প্রাকৃতিক উপগ্রহ  হল চাঁদ। ৪.৩৫ বিলিয়ন বছর আগে চাঁদ পৃথিবী প্রদক্ষিণ শুরু করেছিল। চাঁদের গতির ফলেই পৃথিবীতে সামুদ্রিক জোয়ারভাঁটা হয় এবং পৃথিবীর কক্ষের ঢাল সুস্থিত থাকে। চাঁদের গতিই ধীরে ধীরে পৃথিবীর গতিকে কমিয়ে আনছে। ৩.৮ বিলিয়ন থেকে ৪.১ বিলিয়ন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে পরবর্তী মহাসংঘর্ষের  সময় একাধিক গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে গ্রহের উপরিতলের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল।
গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের অধিবাসীরা প্রায় ২০০টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে সমগ্র গ্রহটিকে বিভক্ত করে বসবাস করছে। এই সকল রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক কূটনৈতিক, পর্যটন, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। মানব সংস্কৃতি গ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণার জন্মদাতা। এই সব ধারণার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীকে দেবতা রূপে কল্পনা,সমতল বিশ্ব কল্পনা এবংপৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্ররূপে কল্পনা। এছাড়া একটি সুসংহত পরিবেশ রূপে বিশ্বকে কল্পনা করার আধুনিক প্রবণতাও লক্ষিত হয়। এই ধারণাটি বর্তমানে প্রাধান্য অর্জন করেছে।


কিভাবে পৃথিবী তৈরি হল: আমরা সবাই নক্ষত্রকণা দিয়ে তৈরি
আমরা প্রাণের গল্পটা একেবারে প্রথম থেকেই শুরু করছি, যখন পৃথিবী এবং সৌরজগতের সবটুকু তৈরি হল। সৌরজগৎ একটি ঘুরতে থাকা নক্ষত্রকণার মেঘ থেকে তৈরি হয়েছে। তারপর কাছাকাছি একটি তারা বা নক্ষত্র বিস্ফোরিত হল এবং নক্ষত্রকণার মেঘ কে আন্দোলিত করলো এবং তারা ঘ‍্যূর্ণনের গতিকে বাড়িয়ে দিল। ফলে, মেঘটির প্রায় সবটুকু ভর একেবারে ঘূর্ণনের কেন্দ্রে গিয়ে জমা হল এবং সেটাই সূর্যের তৈরি করলো। আবার কিছু ছোট ছোট ভর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছিল, তারা সব গ্রহগুলি তৈরি করলো। আমাদের পৃথিবীও এভাবে তৈরি হল। কিভাবে পৃথিবী তৈরি হল সেটা নিয়ে একটি দারুণ ভিডিও নিচে দেয়া হল। দেখে নাও ঝটপট। ইংরেজী বুঝতে কষ্ট হলে কাউকে জিজ্ঞেস করে নাও যেটা বুঝছোনা সেটার মানে।

প্রথমে, পৃথিবী ছিল গলিত (অনেক গরম ছিল বলে সবকিছুই তাপে তরল হয়ে গেছে। তুমি যদি লোহাকে অনেক তাপ দাও তবে লোহাও গলে তরল হয়ে যাবে) এবং সেখানে কোন জলবায়ু বা সমুদ্র ছিলনা। ধীরে ধীরে পৃথিবী ঠান্ডা হতে থাকে এবং এর বাইরের দিকে শক্ত আবরণ তৈরি হয়। আর জলবায়ুও তৈরি হল ধীরে ধীরে। প্রথম জলবায়ুতে ছিল এমোনিয়া, মিথেন, পানির বাষ্প এবং কার্বন ডাই অক্সাইড। কিন্তু অক্সিজেন ছিল খুবই কম। যখন জলবায়ু ঘণ হতে থাকলো তখন মেঘ তৈরি হল এবং বৃষ্টি পড়লো ভূপৃষ্ঠে। বৃষ্টির পানি (এবং হয়তো উল্কাপাত মিলে) তৈরি করলো সমুদ্র। এই আদিম পৃথিবীর আবহাওয়া এবং সমুদ্র এখনকার বেঁচে থাকা জীবজন্তুর জন্য সম্ভবত বিষাক্ত ছিল, কিন্তু এটা প্রথম জীবের বা প্রাণের উদ্ভবের অনুকূল ছিল






Tuesday, July 21, 2015

     

রহস্যময় বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল

               

 

যেদিন থেকে সুনেছিলাম বারমুডা ট্রাইএংগেল এর কথা সেদিন থেকেই বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল এর প্রতি আমার অন্য রকম একটা আকর্ষণ ছিল। বিষয়টা জানার জন্য অনেক চেষ্টা করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য সংগ্রহ করি। আজ সবার মাঝে শেয়ার করলাম। যারা এই বিষয়ে জানেন আমাকে কমেন্ট করে আরও কিছু জানার সুযোগ করে দিবেন। আপনাদের কাছ থেকে আরও কিছু অজানা তথ্য হয়তও জানতে পারব।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে শয়তানের ত্রিভুজ বলা হয়। এটিকে পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থান বলে মানা হয়। কারণ এপর্যন্ত এখানে যত রহস্যময় ও কারণহীন দুর্ঘটনা ঘটেছিল,অন্য কোথাও এতবেশি দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করা হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা এ অঞ্চলটির নামকরণ করে শয়তান বা পাপাত্মাদের ত্রিভুজ।জাদুকর পিসি সরকারের জাদুর কারিশমায় অনেক কিছু ভ্যানিশ হওয়ার গল্প আমাদের জানা। কিন্তু এই ম্যাজিকে ভ্যানিশহয়ে যাওয়া জিনিস হুবুহু রয়েই যায়। মাঝে কেবল আমাদের বুদ্ধি আর ইন্দে য়গুলোকে বোকা বানানো হয়। কিন্তু কুখ্যাত শয়তানেরদ্বীপ কিংবা বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে কেন্দ্র করে প্রচলিত গল্প কিংবা ঘটনাগুলোর রহস্য আজো উন্মোচিত হয়নি।বারমুডা ট্রাইয়েঙ্গেল রহস্য ( ভিডীও )এলেন অস্টিন ‘ জাহাজটির কথাই ধরা যাক। এ জাহাজের মাঝি-মাল্লারা যেভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন তার হদিসআজো কেউ করতে পারেনি। ফিরে পাওয়া যায়নি তাদের। মধ্য আটলান্টিকে পাড়ি দেওয়ার সময় এলেন অস্টিন জাহাজেরনাবিকরা একটু দূরে একটি খালি জাহাজ ভাসতে দেখে ভীষণ অবাক হন। ঠিক করলেন নিজের জাহাজের মাঝি-মাল্লাদেরপাঠিয়ে একটু দেখে আসা যাক। পাঠালেনও সেই মতো। মাঝিরা জাহাজের কাছাকাছি পেঁৗছতেই ঘনকুয়াশা চারদিকঢেকে গেল। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কি হলো কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে গেল। খালি জাহাজটি দেখা গেল।কিন্তু মাঝি-মাল্লারা গেল কোথায় তারা তো ফিরছে না! ঘটনার রহস্য সমাধান করতে আরও একটি দলকে পাঠানো হলো। ওইদলটিও জাহাজে পোছামাত্র শুরু হলো প্রচণ্ড ঝড়। এবারও কিছুই দেখা গেল না। ঝড় থামার পর দেখা গেল সব ভ্যানিশ। মাঝি-মাল্লাদের আর দেখা গেল না। এমনকি জাহাজটিও কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে! চারদিকে তোলপাড় পড়ে গেল। চলল অনেকখোঁজাখুঁজি। কিন্তু কোথাও এর কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেল না।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বা শয়তানের ত্রিভুজের রহস্য এমনই। এখানে কোনো বিমান কিংবা জাহাজ হারিয়ে গেলে তারধ্বংসাবশেষ কোনো চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে কোনো মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় না। কোনো কিছুরই নিদর্শনখুঁজে পাওয়া যায় না। এই ত্রিভুজ অঞ্চলে এমন অদ্ভুতভাবে হারিয়ে গেছে মানুষ জাহাজ কিংবা উড়োজাহাজ। এরকম অসংখ্যঅন্তর্ধানের গল্প বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে পৃথিবীর সেরা রহস্যাবৃত অঞ্চলে পরিণত করেছে। অনেকে মনে করেন এসব অন্তর্ধানেরকারণ নিছক দুর্ঘটনা যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী অতি-প্রাকৃতিক কোনো শক্তি বা ভিনগ্রহের প্রাণীর উপস্থিতি। জায়গাটির রহস্যময়তা নিয়ে বিস্তরলেখালেখি হয়েছে বানানো হয়েছে অসংখ্য ডকুমেন্টারি। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা শোনা যায়। আবার যেসব দুর্ঘটনার ওপরভিত্তি করে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার বেশ কিছু ভুল আবার অনেক কিছুই লেখক দ্বারা অতিরঞ্জিতবলে মনে করা হয়।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আসলে কি ?ক্যারিবীয় সাগরের এক কল্পিত ত্রিভুজ এলাকা হলো শয়তানের ত্রিভুজ। আটলান্টিক মহাসাগরের তিন প্রান্ত দিয়ে সীমাবদ্ধত্রিভুজাকৃতির একটি বিশেষ এলাকা যেখানে বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হয়। এর মূল নাম বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। তবে এর কুখ্যাতির জন্য একে শয়তানের ত্রিভুজ বলা হয়। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল যে তিনটি প্রান্তদ্বারা সীমাবদ্ধ তার এক প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আরেক প্রান্তে পুয়ের্তো রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত। ত্রিভুজাকার এ অঞ্চলটির মোট আয়তন ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটার বা ৪৪ লাখ বর্গ মাইল। এটি ২৫-৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৫৫-৫৮ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। অবশ্য এই বিন্দু নির্ধারণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।বেশিরভাগ লেখক-গবেষকই এই নির্দিষ্ট অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছেন সীমানা বরাবর মিয়ামি সানজুয়ান পুয়ের্তো রিকো মধ্যআটলান্টিক আর বারমুডা নিয়ে তৈরি একটি ত্রিভুজ বা বলা ভালো একটি ট্রাপিজিয়াম আকৃতির চতুর্ভুজ। তবে বেশিরভাগহারিয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো ঘটেছে দক্ষিণ সীমানায় বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ঘিরে এবং ফ্লোরিডা উপকূলের আশপাশে। কতজাহাজ ও বিমান হারিয়ে গেছে এ এলাকায় যেগুলোর বেশিরভাগেরই কোনো রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি আজও।বিভিন্ন লেখকের বর্ণনায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের বিস্তৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে। এই ত্রিভুজের ওপর দিয়ে মেক্সিকো উপসাগরথেকে উষ্ণ সমুদ্র স্রোত বয়ে গেছে। এখানকার আবহাওয়া এমন যে হঠাৎ ঝড় ওঠে আবার থেমে যায় গ্রীষ্মে ঘূর্ণিঝড় আঘাতহানে। এ অঞ্চল বিশ্বের ভারী বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলকারী পথগুলোর অন্যতম। জাহাজগুলো আমেরিকা ইউরোপ ওক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাতায়াত করে। এছাড়া এটি হলো প্রমোদতরীর বিচরণক্ষেত্র। এ অঞ্চলের আকাশপথে বিভিন্নরুটে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত বিমান চলাচল করে। ত্রিভুজের বিস্তৃতির বর্ণনায় বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউমনে করেন এর আকার ট্রাপিজয়েডের মতো যা ছড়িয়ে আছে স্ট্রেইটস অব ফ্লোরিডা বাহামা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জএবং ইশোর (অুড়ৎবং) পূর্ব দিকের আটলান্টিক অঞ্চলজুড়ে। আবার কেউ কেউ এগুলোর সঙ্গে মেক্সিকো উপসাগরকেও যুক্ত করেন।তবে লিখিত বর্ণনায় যে সাধারণ অঞ্চলের ছবি ফুটে ওঠে তাতে রয়েছে ফ্লোরিডার আটলান্টিক উপকূল সান জুয়ান (ঝধহ ঔঁধহ)পুয়ের্তো রিকো মধ্য আটলান্টিকে বারমুডার দ্বীপপুঞ্জ এবং বাহামা ও ফ্লোরিডা স্টেইটসের দক্ষিণ সীমানা। আর এখানেইঘটেছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এ অঞ্চলের রহস্যময়তার একটি দিক হলো কোনো জাহাজ এ ত্রিভুজ এলাকায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণেরমধ্যেই বেতার তরঙ্গ প্রেরণে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং এর ফলে জাহাজটি উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়। একসময়তা দিক নির্ণয় করতে না পেরে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়।সেই কলম্বাসের সময় থেকে শুরু করে এখনো এখানে ঘটছে একই ব্যাপার। এখানে এখনো হারিয়ে যায় জাহাজ সাবমেরিনকিংবা বিমান। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সবকিছু। এর নামই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের অভ্যন্তরে আছে শ ‘ তিনেককোরাল দ্বীপ। এর বেশির ভাগই জনবসতিহীন। আর এর মধ্যে একটি দ্বীপ হচ্ছে ’ বারমুডা ‘ । দ্বীপটি আবিষ্কৃত হয় ১৫৬৫ সালে। একদুঃসাহসী নাবিক জুয়ান ডি বারমুডেজ দ্বীপের আবিষ্কারক। তার নামানুসারেই এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়। এ এলাকার ধারঘেঁষে গেলেও দেখা যায় অদ্ভুত কিছু কাণ্ড-কারখানা। মাঝে মাঝে নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র বাতিল করে দেয় রেডিও বিকলকরে দেয় কম্পাস ইত্যাদির বারোটা বাজিয়ে দেয়। ক্ষুদ্র আলোক শিখা ধূমকেতুর পুচ্ছ সবুজ রঙের কুয়াশা বিদঘুটে জলস্তম্ভ প্রচণ্ডঘূর্ণিপাক পথ ভুলে যাওয়া হিংস ভাবে জাহাজ গিলতে আসা পাহাড় সমান ঢেউসহ ভয়ঙ্কর সব কাণ্ড-কারখানা। আবার এক মাসআগে যে জাহাজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সে জাহাজকেও ভুতুড়েভাবে ভাসতে দেখা যায় এখানে।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বা শয়তানের দ্বীপকে ঘিরে রহস্যময় ঘটনার কোনো অন্ত নেই। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত দুর্ঘটনা হলো ৫টি টর্পেডো বম্বারের দুর্ঘটনা। ১৯৪৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ওই ত্রিভুজ স্থানে যানগুলো রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। ঘটনাটিকে বলা হয় মেরি সিলেক্ট অব দি স্কাই। মেরি সিলেক্ট জাহাজটির অন্তর্ধান কাহিনীও অদ্ভুত। সেটি অবশ্য সীমানার মধ্যে ঘটেনি তবু এটিকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আকাশে বিমান মহড়া চলছে।এরকম প্রতিদিনই হয়। প্রতিটি বিমানেই পাইলটকে নিয়ে তিনজন ক্রু থাকে। সেদিন ছিল একজন কম। তারিখ ৫ ডিসেম্বর।ফলে আবহাওয়া পরিষ্কার। কন্ট্রোল টাওয়ার বিশেষ জরুরি। ভীত একটি কণ্ঠস্বর। মনে হচ্ছে আমরা পথভ্রষ্ট হয়েছি।আমরা মাটি দেখতে পাচ্ছি না। টাওয়ার জিজ্ঞাসা করল তোমাদের পজিশন জানাও। তাও আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না।মনে হচ্ছে আমরা হারিয়ে গেছি। বিকাল গড়িয়ে গেল। তখনো তারা যেই তিমিরে সেই তিমিরেই। ১৩ জন ক্রু নিয়ে একটি বিরাট মার্টিন মেরিনার ফ্লাইং বোট পাঠানো হলো তাদের উদ্ধার করে আনার জন্য। এ ফ্লাইং বোটটি অশান্ত সমুদ্রেও নামতে পারে এবং এমনভাবে তৈরি যে পানিতে ডুবে না। ফ্লাইট নাইনটির উদ্দেশ্যে কন্ট্রোল টাওয়ার বার্তা প্রেরণ করল-যেখানে আছ সেখানেই থাক। সাহায্য পাঠানো হলো। কিন্তু আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। মেরিনার আকাশে উঠে কোনো বিমান দেখতে পেল না। এটুকু খবর পাওয়ার পরই ব্যস। মেরিনারের সঙ্গেও আর যোগাযোগ করা গেল না।দমকা হাওয়া। কোথায় যে গেল কী যে হলো কিছুই বোঝা গেল না। ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করে তল্লাশি চালিয়ে হইহই ফেলে দিয়েও বিমানের একটি টুকরারও কোনো সন্ধান পাওয়া গেল না। নেভার বোর্ড অব ইনকুয়ারির বৈঠক বসল। তদন্ত হলো। তদন্তের জন্য যারা বিমান নিয়ে গেল তারা কিন্তু বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যে পথভ্রষ্ট হলো না। তার মানে সব বিমান বা জাহাজের ক্ষেত্রেই যে এমনটি ঘটেছে তা নয়।১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারী স্টার এরিয়েল নামের একটি বিমান লন্ডন থেকে জ্যামাইকা যাচ্ছিল। সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে এটি বারমুডার আকাশে উড়ল। তখন আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক ও সুন্দর। আর সমুদ্র ছিল শান্ত। ওড়ার ৫৫ মিনিট পরবিমানটি অদৃশ্য হয়ে গেল। এ নিয়ে অনেক অনুসন্ধান হলো। কিন্তু সমুদ্রের কোথাও বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেল না।বিমানটি অদৃশ্য হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি রাতে। ১৮ তারিখ রাতে এক অনুসন্ধানী দল জানাল সেখানকার সমুদ্রের বিশেষ বিশেষএকটি জায়গা থেকে অদ্ভূত একটি আলোর আভাস দেখা যাচ্ছে। এ ঘটনার এক বছর আগে সেখান থেকে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্যহয়ে গিয়েছিল একটি ডিসি-৩ বিমান। সেটি যাচ্ছিল সানজুয়ান থেকে সিয়ামি। ক্যাপ্টেনের নাম রবার্ট লিংকুইসড। ভোর৪টা ১৩ মিনিটে বিমানটি থেকে শেষ বেতার বার্তা ভেসে এলো আমরা অবতরণ ক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে চলেছি।দক্ষিণে আর মাত্র পঞ্চাশ মাইল দূরে সিয়ামি বিমানবন্দর। আমরা সিয়ামি শহরের আলোকমালা দেখতে পাচ্ছি। সব ঠিক আছে।কোনো গোলমাল নেই। অবতরণের নির্দেশের অপেক্ষায় রইলাম। এই শেষ বার্তা পাঠিয়ে বিমানটি অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর এর আর কোনো হদিস মেলেনি। ১৯৪১ সালে ওই রহস্যময় জায়গাতে অদৃশ্য হয়ে গেল তিনিটি ট্যাঙ্কার একটি চার ইঞ্জিনেরউড়োজাহাজ আর একটি ট্রলার। আরেকটি বিমান যাচ্ছিল নাসাউ থেকে বাহামার গ্রান্ডটার্ক দ্বীপের দিকে। ওই দ্বীপের কাছাকাছি এসে পাইলট বেতার সংকেতে জানালেন , ‘ আমি কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না। দুটি অজানা দ্বীপের চারপাশে চক্কর মারছি। অথচ নিচে কিছুই দেখেতে পাচ্ছি না। এই ফাঁক থেকে বেরিয়ে আসার কোনো উপায় আছে কি যারা এই দুর্ঘটনার সাক্ষী তারা দেখতে পেল ওই হালকা বিমানটি প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দ্বীপের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে মেঘমুক্ত আকাশে হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেল। এইগোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের একটি রহস্যময় অঞ্চল হলো জলীয়কেন্দ্রের একটি বিন্দু। ফ্লোরিয়া থেকে বাহামার মধ্যে একটঅঞ্চলকে বলা হয় রেডিও ডেড স্পট। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো সেখানে কোনো বেতারতরঙ্গ প্রবেশ করতে পারে না এবং বেরহতেও পারে না। এমন একটি বিন্দু আছে যেখানে কম্পাস অচল হয়ে যায়।১৯১৮ সালে সেখানে ইউএস নেভির কয়েকটি জাহাজ নিখোঁজ হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে সাইক্লোপস জাহাজের অদৃশ্য হওয়া। তাতে ছিল ৩০৯ জন যাত্রী। ১৯ হাজার টন ভারী জাহাজটি বারবাডোস থেকে বাল্টিমোরের দিকে যাত্রা করেছিল। এ জাহাজটি সেখানে অদৃশ্য হয়ে যায়।বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের আরেকটি বিখ্যাত ঘটনা হলো ১৯৬২ সালের এপ্রিল মাসে অন্তর্ধান হওয়া ফ্লাইট নাইনটিন। আরএটি নিয়ে আমেরিকান লিজান ম্যাগাজিনে লেখা হয় , ‘ বলা হয়ে থাকে এই ফ্লাইটের দলনেতাকে নাকি বলতে শোনা গিয়েছে _ আমরা কোথায় আছি জানি না সবুজ রঙের পানি কোথাও সাদা কিছু নেই। এতেই প্রথম ফ্লাইট নাইনটিনকে কোনো অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বিষয়ে বিস্তর লেখালেখি ও গবেষণা হয়েছে। এ নিয়ে যারা লিখেছেন তাদের মতে ক্রিস্টোফার কলম্বাস সর্বপ্রথম এই ত্রিভুজ বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা লিখেন। তিনি লিখেছিলেন যে তার জাহাজের নাবিকরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এছাড়া তিনি এখানে কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক- নির্দেশনার কথাও বর্ণনা করেছেন। তিনি ১১ অক্টোবর ১৪৯২ সালে তার লগবুকে এসব কথা লিখে রাখেন। তবে বর্তমান বিশেষজ্ঞরা লগবুক পরীক্ষা করে যে মত দিয়েছেন নাবিকরা যে আলো দেখেছেন তা হলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নৌকায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত আগুন। আর কম্পাসে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে।অন্যদিকে এ বিষয়ে প্রথম খবরের কাগজে রিপোর্ট বেরোয় ১৯৫০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ইভিডবি্লউ জোন্স লিখিত এই খবরপ্রকাশের দু ‘ বছর পর ‘ ফেইট ‘ ম্যাগাজিনে জর্জ এক্স. স্যান্ড ‘ সী মিস্ট্রি এট আওয়ার ব্যাক ডোর ‘ শিরোনামে একটি ছোট্টপ্রবন্ধ লেখেন। এ প্রবন্ধে তিনি ফ্লাইট নাইনটিন (ইউএস নেভীর পাঁচটি টিবিএম অ্যাডভেঞ্চার বিমানের একটি দল যা প্রশিক্ষণমিশনে গিয়ে নিখোঁজ হয়)-এর নিরুদ্দেশের কাহিনী বর্ণনা করেন এবং তিনিই প্রথম এই অপরিচিত ত্রিভুজাকার অঞ্চলেরকথা সবার সামনে তুলে ধরেন। ১৯৬২ সালের এপ্রিল মাসে ফ্লাইট নাইনটিন নিয়ে আমেরিকান লিজান ম্যাগাজিনেও লেখা বেরোয়। এরপর ভিনসেন্ট গডিস ‘ প্রাণঘাতী বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ‘ নামে আরেকটি লেখা লেখেন ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর উপর ভিত্তি করেই তিনি আরও বিস্তর বর্ণনা সহকারে লেখেন ’ ইনভিজিবল হরাইজন ‘ মানে ‘ অদৃশ্য দিগন্ত ‘ নামের বই। জন ওয়ালেস স্পেন্সার লেখেন ‘ লিম্বো অব দ্য লস্ট ‘, মানে ‘ বিস্মৃত অন্তর্ধান ‘, চার্লস বার্লিটজ লেখেন ‘ দি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ‘, রিচার্ড উইনার লেখেন ‘ দ্য ডেভিল ‘ স ট্রায়াঙ্গল ‘ বা ‘ শয়তানের ত্রিভুজ ‘ নামের বই। এছাড়া আরও অনেকেই লিখেছেন।এরা সবাই ঘুরেফিরে একটি বর্ণিত অতিপ্রাকৃত ঘটনাই বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন। লেখকদের এসব রচনাকে অতিরঞ্জনবলা হলেও বারমুডার প্রকৃত রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। আর এই বারমুডার আরেকটি রহস্যের সমাধানও দিতে পারেনি কেউ। আর তা হচ্ছে একটি অদ্ভুত জৈবের রহস্যময় উপস্থিতি। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে গভীর সমুদ্রে যাতায়াত করেছেন টেডি টাকার নামের এক ডুবুরি। কয়েক বছর আগের কথা। একদিন সকালবেলা বারমুডার বেলাভূমিতে টেডি একটি অদ্ভুত বস্তু দেখতে পেলেন। সেটি ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ পাউণ্ড ওজনের উজ্জ্বল সাদা একটি পিণ্ড। স্থানীয় লোকেরা ওই রহস্যময় বস্তুটির নাম দিল বারমুডা ব্লপ।সেটি পরীক্ষা করে টেডি বলেন , ‘ জিনিসটি যে জৈব পদার্থ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এরকম কোনো প্রাণী কখনও দেখা যায়নি। এই পিণ্ডের একটি টুকরা কেটে নিয়ে গবেষণা করা হলো মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। সেখান থেকে তথ্য পাওয়া গেল ওই পিণ্ডটি কোনো প্রাণীদেহেরই অংশ। বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি খুব অদ্ভুত কোনো কোলাজেন টিউমার। আর সেটি অবশ্যই কোনো বড়সড় জলচর প্রাণীর। যেমন তিমি। কিন্তু আরেক দল গবেষক বলেছেন ওটি একটি প্রকাণ্ড অক্টোপাস। রহস্যময় ব্যাপার হলো _ পিণ্ডটি বেলাভূমিতে পড়ে থেকে থেকে শেষ পর্যন্ত ভেঙে টুকরা টকুরা হয়ে যায়। অথচ তাতে এতটুকু পচন ধরেনি। বারমুডার এই নতুন রহস্যের মীমাংসা হয়নি। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় সব অন্তর্ধানের কারণ নিয়ে অনেকগুলো তত্ত্ব দাঁড় করানো হয়েছে। কেউ বলেছেন ওখানকার সমুদ্রে বা আকাশে আস্ত একটা ফাটল আছে। প্রকৃতির সেই রহস্যময় ফাটলে পড়ে বিমান বা জাহাজ হারিয়ে যায় চিরকালের মতো। কেউ বলেন অজানা এক সভ্যতার কথা যেখানে আগুনের গোলা লাফিয়ে ওঠে। বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় সব জাহাজ ও উড়োজাহাজ। কারো মতে ওই অঞ্চলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভূমিকম্পের জন্য বিশাল জলস্তম্ভ জাহাজ উড়োজাহাজ সবকিছুকে নিজের গহবরে টেনে নেয়। কেউ বলেছেন অন্য গ্রহের প্রাণী বা এই জাতীয় কিছু যা আপাতদৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য। কেউ আবার ব্যাখ্যা করেছেন ফোর্থ ডাইমেনশন বা চতুর্থ মাত্রার। তাদের মতে সময়ের একটা অনন্ত ফাটল ওই অঞ্চলে সক্রিয় থাকে। ওইসব জাহাজ ও বিমান সময়ের সেই রহস্যময় ফাটলে পড়ে হারিয়ে যায় বর্তমান কালের কাছ থেকে। তারা চলে যায় সুদূর অতীতের কোনো সময়ে। নয়তো ভবিষ্যতের গর্ভে।কেউ আবার চুম্বকীয় তত্ত্বের মাধ্যমে রহস্যটি মীমাংসা করতে চেয়েছেন। তাদের মতে ওই অঞ্চলে আকাশ ও সমুদ্রের মধ্যে একতড়িতাহত ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে থাকে। সেখানে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র। কারো মতে ওই রহস্যময়অংশে পর্যায়ক্রমে অজানা এই রাসায়নিক যৌগের সৃষ্টি হয়। সেই যৌগ যাবতীয় ইচ্ছাশক্তি ও ইন্দ্রিয়ের অনুভূতিকে অবশকরে দেয়। সমুদ্রের মধ্যে বিভিন্ন বিপাকক্রিয়ার ফলে এক অজানা জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া চলে। এর ফলে সেখানে রহস্যময়ঘটনাগুলো ঘটেছে।বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বা শয়তানের দ্বীপ নিয়ে যতসব রহস্য সব রহস্যেরই একে একে ইতি টেনেছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও লেখক।অনেকেই একে অতিরঞ্জিত গালগল্প হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আবার অনেকে একটি সেরা বাণিজ্যিক রহস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রশ্ন আসতে পারে রহস্যের আবার বাণিজ্য কিসের আপাতদৃষ্টিতে রহস্যে কোনো বাণিজ্যিক দিক না থাকলেও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। যেহেতু বছরের পর বছর ধরে এ স্থানের রহস্যময়তা কেবল বেড়েই চলেছে তাই এ সম্পর্কে সব ধরনের গুজবই ডালপালা মেলেছে। আর বিশ্বজুড়ে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পেঁৗছে যায় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। আর এখানেই তৈরি হয় এর বাণিজ্যিক ভিত্তি। কি সংবাদপত্র কি টিভি চ্যানেল অথবা বই-পুস্তক সবখানেই এর জয়জয়কার। আর এ কারণেই এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেয়ে গল্প বলায় আগ্রহী ছিলেন সবাই। এরপরও অনেকে এ বিষয়ে গবেষণার পর কিছু কারণ দেখিয়েছেন। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব না হলেও এ কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে রহস্যের জট ভাঙায় কিছুটা হলেও সহজ হবে। কুসচ এর ব্যাখ্যা : লরেন্স ডেভিড কুসচ হলেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির রিসার্চ লাইব্রেরিয়ান এবং ‘ দ্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মিস্ট্রি : সলভড ‘ এর লেখক। তার গবেষণায় তিনি চার্লস বার্লিটজ-এর বর্ণনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বর্ণনার অসংগতি তুলে ধরেন। কুসচ-এর গবেষণায় যা পাওয়া যায় তা হলো _ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে যত সংখ্যক জাহাজ ও উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হয় তার সংখ্যা বিশ্বের অন্যান্য সমুদ্রের তুলনায় খুব বেশি নয়।এ অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় নিয়মিত আঘাত হানে যা জাহাজ ও উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু বার্লিটজ বা অন্য লেখকরা এ ধরনের ঝড়ের কথা অনেকাংশেই এড়িয়ে গেছেন। অনেক ঘটনার বর্ণনায়ই লেখকরা কল্পনার রং ছড়িয়েছেন। আবার কোনো নৌকা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে বন্দরে ভিড়লে তাকে নিখোঁজ বলে প্রচার করা হয়েছে। আবার কখনোই ঘটেনি এমন অনেক ঘটনার কথা লেখকরা বলেছেন। যেমন _ ১৯৩৭ সালে ফ্লোরিডার ডেটোনা সমুদ্রতীরে একটি বিমান দুর্ঘটনার কথা বলা হয় ; কিন্তু তখনকার খবরের কাগজ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি।সুতরাং কুসচ ‘ র গবেষণার উপসংহারে বলা যায় _ লেখকরা অজ্ঞতার কারণে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বানোয়াট রহস্য তৈরি করেছেন। মিথেন হাইড্রেটস এখানে দেখানো হয়েছে বিশ্বের যেসব স্থানে গ্যাস হাইড্রেটযুক্ত পলি পাওয়া গেছে অথবা আছে বলে অনুমান করা হয়। কন্টিনেন্টাল সেলভে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ মিথেন হাইড্রেট অনেক জাহাজ ডোবার কারণ বলে দেখা গেছে। কম্পাসের ভুল দিক-নির্দেশনা কম্পাসের পাঠ নিয়ে বিভ্রান্তি অনেকাংশে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কাহিনীর সঙ্গে জড়িত। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে কম্পাস থেকে চুম্বক মেরুর দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে এর দিক-নির্দেশনায় বিচ্যুতি আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যুক্তরাষ্ট্রে শুধু উইসকনসিন থেকে মেক্সিকো উপসাগর পর্যন্ত সরলরেখা বরাবর চৌম্বক উত্তর মেরু সঠিকভাবে ভৌগোলিক উত্তর মেরু নির্দেশ করে। ওই ত্রিভুজ এলাকাজুড়ে কম্পাসের এমন বিচ্যুতি সাধারণের কাছে রহস্যময় মনে হয়। কিন্তু এটি খুবই স্বাভাবিকঘটনা।হ্যারিকেনহ্যারিকেন হলো শক্তিশালী ঝড়। ঐতিহাসিকভাবেই জানা যায় আটলান্টিক মহাসাগরে বিষুব রেখার কাছাকাছি অঞ্চলে শক্তিশালী হ্যারিকেনের কারণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে আর ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার। রেকর্ড অনুসারে ১৫০২ সালে স্প্যানিশ নৌবহর ‘ ফ্রান্সিসকো দ্য বোবাডিলা ‘ এমনি একটি বিধ্বংসী হ্যারিকেন ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।গলফ স্ট্রিমগলফ স্ট্রিম হলো মেক্সিকো উপসাগর থেকে স্ট্রেইটস অব ফ্লোরিডা হয়ে উত্তর আটলান্টিকের দিকে প্রবাহিত উষ্ণ সমুদ্র স্রোত। একে বলা যায় মহাসমুদ্রের মাঝে এক নদী। নদীর স্রোতের মতো গলফ স্ট্রিম ভাসমান বস্তুকে স্রোতের দিকে ভাসিয়ে নিতে পারে। যেমনি ঘটেছিল ১৯৬৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ‘ উইচক্রাফট ‘ নামের একটি প্রমোদতরীতে।মিয়ামি তীর থেকে এক মাইল দূরে এর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে কোস্টগার্ডকে জানানোর পরই গলফ স্ট্রিমকবলিত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় জাহাজটি। দৈত্যাকার ঢেউ হঠাৎ করেই সমুদ্রে দৈত্যাকার ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে এমনকি শান্ত সমুদ্রেও এমন ঘটতে পারে। তবে একথা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে এমন ঢেউ নিয়মিত সৃষ্টি হয়।মানবঘটিত দুর্ঘটনা : অনেক জাহাজ এবং বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে এর অধিকাংশই চালকের ভুলের কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। যেমন- কোস্টগার্ড ১৯৭২ সালে ভিএ ফগ-এর নিখোঁজ হওয়ার কারণ হিসেবে বেনজিন-এর পরিত্যক্ত অংশ অপসারণের জন্য দক্ষ শ্রমিকের অভাবকে দায়ী করেছে। তবে রহস্যের কারণ হলো _ অনেক নিখোঁজের ঘটনারইউপসংহারে পেঁৗছানো যায়নি কেননা এর কোনো ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইচ্ছাকৃত ধ্বংসসাধন যুদ্ধের সময় অনেক জাহাজ শত্রুপক্ষের অতর্কিত আক্রমণে ডুবে গেছে বলেও মনে করা হয়। যেমন মনে করা হয় ১৯১৮ সালে ইউএসএস সাইক্লপস এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এর সিস্টার শিপ প্রোটিয়াস এবং নিরিয়াসকে জার্মান ডুবোজাহাজ ডুবিয়ে দেয়। তবে পরবর্তীতে জার্মান রেকর্ড থেকে এর সত্যতা প্রমাণ করা যায়নি।জলদস্যুদের আক্রমণে :আবার ধারণা করা হয় জলদস্যুদের আক্রমণে অনেক জাহাজ নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে। ওই সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরেরপশ্চিমাংশে এবং ভারত মহাসাগরে মালবাহী জাহাজ চুরি খুব সাধারণ ঘটনা ছিল। ১৫৬০ থেকে ১৭৬০ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান অঞ্চলছিল জলদস্যুদের আখড়া।
আরো কিছু জানতে হলে ভিজিট করুন এ সম্পর্কিত পেজ  https://www.facebook.com/btanddazzal
কিছু ছবিঃ 





 

Thursday, July 2, 2015

পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ উপায়ে পাসপোর্ট করা যায় বাংলাদেশে। লাইন দিতে হবে না। ৫-৬ ঘন্টা লাগবে না।


পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপুন্য বই,যা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অতি প্রোয়জনিয়।কিন্তু এই পাসপোর্ট করতে গেলে যে ভোগান্তি,আর হয়রানি তা অসহ্যনীয়। তাই,


অনলাইনে পাসপোর্ট করলে সময় এবং কস্ট ২টাই বাঁচে। ৩-৪ ঘন্টা লাইন দিতে হয় না। ২০-৩০ মিনিটেই কাজ শেষ। ক্যামনে কি করবেন? সেইটাই বলতেছি ………




এই বিষয়টা নিয়ে আরও আগেই লিখার ইচ্ছা ছিল। সময়েরর অভাবে লিখা হয় নাই। যাই হোক, আমরা অনেকেই হয়ত জানি না যে আমরা যতটা কস্ট সহ্য করে, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে, অনেক সময় নস্ট করে পাসপোর্ট করি, তারচেয়ে অনেক সহজেই অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন করা যায়।

১ম কাজঃ ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া।
২ ধরনের পাসপোর্ট হয়। সাধারন (৩০ দিন) পাসপোর্ট এর জন্য ৩০০০ এবং জরূরী (১৫ দিন) পাসপোর্ট এর জন্য ৬০০০ টাকা দিতে হয়। সরকারী/ কূটনৈতিক এর হিসাব মনে হয় আলাদা। আমি সাধারন মানুষ, সাধারনটাই করছি।
পাসপোর্ট করতে পারবেন যে সকল ব্যাংকে;
শুধুমাত্র সোনালি ব্যাংকের কিছু শাখায় টাকা জমা দেয়া যায়। নিচে এই শাখাগুলার নাম দিলাম


সবগুলাতেই যে দেয়া যাবে এমন কোন কথা নাই। যেমন, আগারগাঁয়ের শাখায় এখন দেয়া যায় না। বিকল্প হিসাবে কলেজগেইট শাখায় দিতে পারেন। আমি বাসার কাছে দিলকুশা কর্পোরেট শাখায় দিছিলাম।
টাকা জমা দিয়া স্লিপ নিয়া বাসায় চইলা আসবেন।

২য় কাজঃ অনলাইনে ফরম পূরন করা।

এইবার লাইনে আইছেন।
এইখানেই সবাই ঘাপলাটা করে। অফলাইনে ফরম পূরন করে। আপনি করবেন অনলাইনে। পরথম যান এই সাইটে,
http://www.passport.gov.bd/Default.aspx
মুটামুটি সবকিছুই সহজ। বলার কিছু নাই। হোম পেইজে কিছু নিয়ম কানুন দেয়া আছে। পেইজের একবারে নিচে চেকবক্সে টিক দিয়া, কন্টিনিউ দেন।
লাল তারা মার্কা ঘরগুলা পুরণ না করলে অইত নো, কাজেই সব ঠিকঠাক পুরন করেন।
মেইল এড্রেস অবশ্যি যেন এক্টিভ এড্রেস হয়। এইবার সেভ এন্ড নেক্সট দেন। আপ্নের এড্রেস এ ১খান মেইল যাওয়ার কথা। সেখানে এ্যাপ্লিকেশন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিবে। এইতা আপনি যদি বাকি ফরম পরে পুরন করতে চান, তাইলে লাগবে।
২য় পেইজে, মোবাইল নং টা ১টু সাবধানে দিয়েন (যারা ডজন খানেক সিম ইউজ করেন)
আর পেমেন্ট এর ইনফো ব্যাংক এর স্লিপ থিকা দিবেন।
লাস্ট পাতায় আইসা পরছেন। এই পাতায় আপ্নের সব ইনফো ঠিক আছে না কি দেইখা লন।
আর ১ বার সব চেক করেন সাবমিট করার আগে। পিছনের পাতা গুলাও দেখেন।
***জরূরী বিষয়টা হইল, এ্যাপয়েন্টমেন্ট এর তারিখটা ঠিক মত দিবেন। অই দিনে আপ্নের নিকটের পাসপোর্ট অফিসে গিয়া বাকি কাজ শেষ করতে হইব।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে, আপ্নের পুরন করা ফরমটার সফট কপি দিয়া দিবে। এইটারে ২কপি প্রিন্ট মারবেন।
ফরমের ২-১ জায়গায় ফাকা থাকার কথা, যেমন বাংলা নাম ইত্যাদি। অইগুলা পুরন করবেন।

৩য় কাজঃ সত্যায়িত করা।
সত্যায়িত কারা করতে পারবেন সেটা ওয়েবসাইটে (হোম্ পেইজে, লিঙ্ক উপ্রে দিছি) দেয়া আছে তাই আর বললাম না।
সত্যায়িত যিনি করবেন, তার ডিটেইলস দিতে হবে। শেষ পাতায় (৪র্থ পাতা) যায়গা আছে। ২টা ফরমেই পাসপোর্ট সাইজ় ছবি লাগানর পর, ছবির উপর সত্যায়িত করতে হবে। সিল-এ সত্যায়নকারীর নাম থাকতে হবে। ভিতরের পাতায় সত্যায়নকারীর ইনফো দিবেন।

৪র্থ কাজঃ ফরম জমা দেয়া (আগারগাঁও শাখা) এবং অন্যান্য।
*(একজন পাঠক বলেছেন, যাত্রাবাড়ি শাখায় নাকি এই সুবিধা নাই। সেক্ষেত্রে ১টু কস্ট করে আগারগাঁও শাখায় দেয়া যায় কিনা দেখেন। অনেক সময় বাঁচবে)
*(অন্য শাখার জন্য নিয়ম ১ই হওয়ার কথা। তবে ঢাকার বাইরে যারা থাকেন, তাদের হয়তো নিয়মে ভিন্নতা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অফিসে জিজ্ঞেস করুন, অনলাইনে পূরন করা ফর্ম কথায় জমা দিব?)

* ফরম জমা দেয়ার সময় আঠা, স্টেপ্লার, কলম ইত্যাদি নিয়ে যাবেন।

* সাদা পোষাক পরে ছবি তোলা যাবে না। অন্য রঙের পোষাক পরে যাবেন।

* জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি।

* বিশেষ ক্ষেত্রে হয়ত আরও কিছু কাগজ লাগতে পারে, যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। এ ব্যাপারে হোমপেইজে (http://www.passport.gov.bd/Default.aspx ) সব বলা আছে।

* এর পরের ধাপের কাজ ২ভাবে বলা যায়,
১টা হইল পাসপোর্ট অফিসের ৮০৩/৮০৪ নং রুমে আবেদন ফর্মটি দেখিয়ে সিরিয়াল নম্বর নিন।
৩০১ নং রুমে গিয়ে ছবি তুলুন।
অথবা,
পাসপোর্ট ফর্ম ভেরিফিকেশন এর জন্য ৩১০ নাম্বার রুমে যেতে হবে। কিন্তু ৩১০ নাম্বার রুমে যাওয়ার পূর্বে আপনি আট তলায় ৮০৪ নাম্বার রুমের থেকে সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে নিবেন।
সোজা বাংলায় ৩১০ নাম্বারে গেলেই যা যা করার লাগব, কয়া দিব।
ভেরি ইজি।
এরপর ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ সব নিবে। ডেলিভারী স্লিপ দিয়া দিবে। বাসায় আইসা নাকে তেল দিয়া ঘুমান এবার

৫ম কাজঃ ডেলিভারি নেয়া।
সাধারনতঃ ৩০ কর্মদিবসের মধ্যেই ডেলিভারী দেওার কথা। যেদিন ডেট দিবে তার পর যে কোন দিন নিয়া আসতে পারেন।
১ম কাজ, লাইন দিয়ে স্লিপ জমা দিতে হবে।
তারপর, অপেক্ষা করবেন......... নাম ডাকলে কাউন্টারের সামনে যাবেন। আবেদন ফর্মের নিচের দিকে স্বাক্ষর ও ফোন নং লিখে, পাসপোর্ট নিয়ে চলে আসবেন।

তবে, পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ব্যাপারে সাবধান। পুরা ব্যাপারটার মধ্যে এইটাই সবচেয়ে ঝামেলা করতে পারে।
বাঘে ছুইলে ১৮ঘা, পুলিশে ছুইলে এইরকম কোনো নির্দিস্ট সংখ্যা নাই।
কাজেই ......... সাবধান।



Copyright © 2014 nayan's foundation jessore All Right Reserved
^