এটি সেচ্ছাসেবামুলক সংগঠন।আমদের কাজ সমাজের উন্নয়ন।।.এবং লেখা কিছু বৈজ্ঞানিক সমাজ গবেষণা।

Latest News:

Monday, August 31, 2015

                                   

                                  মানসিক ব্যাধি! its selfie



নিজস্বী বা সেলফি (সেল্ফি) হলো আত্ম-প্রতিকৃতি আলোকচিত্র বা দল আলোকচিত্র, যা সাধারণত হাতে-ধরা ডিজিটাল ক্যামেরা বা ক্যামেরা ফোন ব্যবহার করে নেয়া হয়. সেলফি প্রায়ই ফেসবুক, গুগল + +, ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টাম্বলার এবং টুইটারে ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করা হয়ে থাকে.
সেলফি শব্দটি প্রথম এসেছে ইংরেজি সেলফিশ থেকে. সেলফি অর্থ প্রতিকৃতি. অক্সফোর্ড অভিধানের মতে, সেলফি হল একটি ছবি (আলোকচিত্র) যা নিজের তোলা নিজের প্রতিকৃতি, যা সাধারণত স্মার্টফোন বা ওয়েবক্যামে ধারণকৃত এবং যে কোনো সামাজিক মাধ্যমে আপলোড (তুলে দেয়া) করা হয়ে থাকে. বেশিরভাগ সেলফি হাত সামনে তুলে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, কখনো-কখনো সেল্ফ টাইমার ব্যবহার করেও নেয়া হয়.

রবার্ট কর্ণিলিয়াস, একজন মার্কিন অগ্রণী আলোকচিত্রী, যিনি 1839 সালে নিজের একটি দাগেররোতীপ্ বা আত্ম-প্রতিকৃতি ক্যামেরায় ধারণ করেন, যা ছিল প্রথম কোন একজন ব্যক্তির আলোকচিত্র.

1900 সালে পোর্টেবল কোডাক ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা বাজারে আসার পর ফোটোগ্রাফিক আত্ম-প্রতিকৃতি তোলা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে. বহনে সহজ এই ক্যামেরার সাহায্যে আয়নার মাধ্যমে সেলফি তোলার প্রচলন শুরু হয় তখন থকেই.

সেলফি শব্দটির প্রাথমিক ব্যবহার ২00২ এর আগে পাওয়া গেলেও, ২00২ সালের 13 ই সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ান এক অনলাইন ফোরামে (এবিসি অনলাইন) প্রথম ব্যাবহৃত হয়. 

ফেসবুক এর আগের সময়টায় মাইস্পেস বেশ জনপ্রিয় ছিল. এবং সে কারনেই সেলফি সর্ব প্রথম জনপ্রিয়তা পায় সেখানেই. তারপর ফেসবুক জনপ্রিয় হওয়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত সেলফি নিম্ন রুচির পরিচায়ক ছিল. [কারন তখন বেশিরভাগ সেলফি গুলো বাথরুমের আয়নার সামনে তোলা হত.] তবে শুরু থেকেই ইমেজ শেয়ারিং সাইট ফ্লিকার এ জনপ্রিয় ছিলো সেলফি. তবে তখনকার দিনের সব সেলফি গুলোই টিন এজ মেয়েরা আপলোড করত. প্রাথমিক অবস্থায় তরুণদের মধ্যে সেলফি অধিক জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে এটি সমাজের সকল স্তরে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে. ২01২ সালের শেষের দিকে টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে 'সেলফি' শব্দটি বছরের আলোচিত সেরা দশ শব্দের অন্যতম শব্দ হিসাবে বিবেচিত হয়. ২013 সালের জরিপ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান মহিলাদের দুই তৃতীয়াংশই (যাদের বয়স 18-35) ফেসবুকে শেয়ারের উদ্দেশে সেলফি তুলেছেন. স্মার্টফোন এবং ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এর জরিপ প্রতিবেদন বলছেঃ 18-২4 বছর বয়েসি মানুষের তোলা ছবির 30% ই সেলফি. ২013 সালে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির অনলাইন ভার্সনে 'সেলফি' শব্দটি নতুন সংযোজিত হয়. স্মার্টফোনের কল্যানে গত এক বছরে বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে সেলফি তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে.


ফেসবুক এবং ফেসবুকের লাইক কমেন্টের জন্য বর্তমানে সেলফি ব্যবহৃত হয়, এটা একটা ব্যাধিতে পরিনত হইয়েছে কারন অনেকে মনে করে ফেসবুকের নিজের সেলফিতে যত লাইক কমেন্ট বেশি হবে তত তার জনপ্রিয়তা বেশি হবে ।অনেকে তার সেলফিতে লাইক না দিলে ফেসবুক ফ্রেন্ডদের আনফ্রেন্ড করে দেয়। এটা অনেক সময় অহংকার ঘৃনিত ও হিন্সাত্তক প্রবৃতি সৃষ্টি করে ,অনেকে এটা অনেক সময় হাস্যকার পরিস্তিতি হয়,যেমন তার সেলফিতে লাইক কমেন্টের জন্য আকুতি মিনতি শুরু করে যা অনেক টা বিভ্রান্তি ছড়ায়।।


"Facebook and the Facebook comment selaphi currently is used for, it becomes a disease that did all this because there are many Facebook likes as his selaphite comment will be higher than the popularity of the Facebook friends anaphrenda People do not like it that his selaphite. It creates a lot of pride ghrnita and hinsattaka prabrti, many hasyakara .Paristitira it is a lot of time, such as the desire for mentioning his selaphite Like many at the start pleaded confusion" ..

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে অথচ সেলফি পোস্ট করেন না, তাহলে আপনি ‘খেত’। না, এটা আমার কথা নয়, আজকাল অনেক তরুণ-তরুণীর ধারণা এরকমই। তাই যেখানে যান, যা-ই করেন সঙ্গে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করুন ফেসবুকে।

সেলফি-ম্যানিয়া এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কেউ কেউ তো হাসপাতালের বেডে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেন- ফিলিং পেইনড। সড়ক দুর্ঘটনায় কোনোরকমে বেঁচে গিয়ে ভাঙা গাড়ির সঙ্গে সেলফি তুলে লিখেন- ফিলিং ব্লেজড। পড়তে, লিখতে, হাঁটতে, খেলতে, রান্না করতে, কাজ করতে গিয়ে সেলফি তোলা তো একটা নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল।

অনেকে প্রতিদিন সেলফি আপলোড করে ফেসবুকের সামনে বসে থাকেন কয়জন লাইক এবং কমেন্ট করে তা গুণতে।কে কী কমেন্ট করল তা দেখতে, আর রিপ্লাই দিতে কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কাছের মানুষদের কেউ কমেন্ট না করলে তো তার ওপর অভিমান, এমনকি ঝগড়াও হয়।

অফিসে কাজ ফেলে সেলফি তুলে পোস্ট করতে আর লাইক-কমেন্ট গুণতেও দেখেছি অনেক
        স্মার্টফোনে বার বার নিজের ছবি তুলে দেখেন? গবেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, স্মার্টফোন সেলফি তোলার এই অভ্যাস ভয়ংকর বিপদজনক হতে পারে।
                                                          ( india       speceal selfhi)
মার্কিন গবেষকেরা দাবি করেছেন, অতিরিক্ত সেলফি তোলার অভ্যাসের সঙ্গে মানসিক ব্যাধির সম্পর্ক থাকতে পারে। নিজের চেহারা প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা মানসিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) সম্প্রতি মানসিক ব্যাধির সঙ্গে সেলফি তোলার সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিকাগোতে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় সেলফির সঙ্গে মানসিক ব্যাধির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গবেষকেরা দাবি করেছেন, অতিরিক্ত নিজের ছবি তোলার প্রবণতা এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে দেওয়ার এই মানসিক সমস্যার নাম ‘সেলফিটিস’।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ব্যাধিটির তিনটি স্তর হতে পারে। প্রথম স্তরটি ‘বর্ডার লাইন সেলফিটিস’। মানসিক সমস্যার এই পর্যায়ে দিনে তিনবার নিজের ছবি তুলে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের সাইটে তা পোস্ট না করা। দ্বিতীয় স্তরটি হচ্ছে ‘অ্যাকিউট সেলফিটিস’। এই পর্যায়ে দিনে অন্তত তিনটি নিজের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে তিনটি সেলফিই পোস্ট করা হয়। শেষ স্তরটি হচ্ছে ‘ক্রনিক সেলফিটিস’। এ পর্যায়ে নিজের সেলফি তোলা রোধ করা যায় না। দিনে অন্তত ছয়বার সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে পোস্ট করতে দেখা যায়। এ ছাড়া বারবার নিজের ছবি তোলার প্রবণতা থাকে ক্রনিক সেলফিটিস পর্যায়ে।
গবেষকেরা এই মানসিক সমস্যার আপাতত কোনো সমাধান নেই বলেই জানিয়েছেন। তবে সাময়িক চিকিত্সা হিসেবে কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি (সিবিটি) কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। মানসিক রোগের চিকিত্সকেরা দাবি করছেন, অতিরিক্ত সেলফি তোলার সঙ্গে নার্সিসিজম ও আসক্তিরও সম্পর্ক থাকতে পারে। গবেষক ডেভিড ভিল জানিয়েছেন, বডি ডিসফরমিক ডিজঅর্ডারে ভুক্তভোগী দুই তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রেই সেলফির সম্পর্ক দেখেছেন তিনি।
কিছু শেলফি...
some selfie








Friday, August 7, 2015

সুখ কারে বলে?




সুখ একটি মানবিক অনুভুতি. সুখ মনের একটি অবস্থা বা অনুভূতি যা ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়. [1] জৈবিক, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক, দর্শনভিত্তিক এবং ধার্মিক দিক থেকে সুখের সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং এর উৎস নির্ণয়ের প্রচেষ্টা সাধিত হয়েছে. সঠিকভাবে সুখ পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন. গবেষকেরা [২] একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন যা দিয়ে সুখের পরিমাপ কিছুটা হলেও করা সম্ভব. মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা তাত্ত্বিক মডেলের ভিত্তিতে সুখ পরিমাপ করে থাকেন. এই মডেলে সুখকে ইতিবাচক কর্ম ও আবেগসমূহের সমষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়. এছাড়া এক্ষেত্রে তিনটি বিশেষ অবস্থাকেও বিবেচনা করা হয়: আনন্দ, অঙ্গীকার এবং অর্থ.গবেষকগণ কিছু বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করেছেন যেগুলো সুখের সাথে পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত: বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্ক, বহির্মুখী বা অন্তর্মুখী অবস্থা, বৈবাহিক অবস্থা, স্বাস্থ্য, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা, আশাবাদ, ধর্মীয় সম্পৃক্ততা, আয় এবং অন্যান্য সুখী মানুষের সাথে নৈকট্য.

সুখ কি?
সুখ- এর জৈবিক সংজ্ঞা : কোন স্টিমুলাস বা উত্তেজকের প্রতি আমাদের মস্তিষ্কের রাসায়নিক ও স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া যা আমাদের ভেতর সুখের অনুভব তৈরী করে
আবিষ্কৃত রাসায়নিক যৌগ "এন্ডরফিন্স" গুলোকেই এই "সুখের" মূল বলে বিভিন্ন গবেষনায় জানা যায় এখন ঘটনা হইলো, এন্ডো মানে হইলো ভিতরের আর মরফিন মানে বেদনা নাশক তার মানে কি দাড়াইলো ? সুখের রাসায়নিক শরীরের ভিতরের বেদনাকে কিংবা অসুখের অবস্থাকে পরিবর্তন করে সুখের অবস্থায় নিয়ে যায়
ক্ষুধা পেলে সুস্বাদু খাবার আমাকে সুখ দেয়, সুখ দেয় প্রিয় মানুষের চুম্বন। প্রিয় দেশের জয় আমাকে সুখ দেয়, সুখ দেয় পড়ন্ত বিকেলের রোদ। সুখের অনুভবকে বিশ্লেষন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা তাই ইন্দ্রিয়কে অনুসন্ধান করেছেন, মানবের মস্তিষ্ককে কেটে ছিড়ে দেখেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন - সুখের স্টিমুলাস বা উত্তেজক শরীরের বাহির থেকে পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে ভেতরে আসুক, অথবা ভিতরের কোন এক উৎস থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছাক - সুখ আসলে শেষ পর্যন্ত কিছু জৈব রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি ।
জীবণে সবাই সুখী হতে চায়, কিন্তু, কেউ কি একজন সুখী মানুষের ছবি চিএপটে তুলতে পারবেন? না, আমরা কেউ পারব না আশ্চর্য, কি অদ্ভূত অক্ষমতা!!! আসলে সুখ কি? সন্তুষ্টি, আনন্দ, হাসি, তৃপ্তি, সাফল্য, সমৃদ্ধি, সম্মান, স্বীকৃতি, ভালবাসা, যত্ন -এগুলো কি সুখের অবয়ব? কি দিয়ে সুখের ছবি আঁকা যায়? আমি সুখ খুঁজি অনুভূতিতে, ভাবনায়, না পাওয়ার এ পৃথিবীতে কিছু পাওয়ার মাঝে হয়তোবা, অন্যরা ভাববে ভাবুক মানুষ, ভাবনায় সুখ খুঁজে নেন জীবণের চৌহদ্দিতে কোন চমক নেই, কোন অর্জন নেই, তারপরেও ভাবে সুখী এখানেই জীবণের বৈচিএ্য একেক মানুষ একেক ভাবে দেখে
সুখ কি প্রজাপতি, প্রেয়সীর মিস্টি হাসি, ভোর রাতের মিস্টি স্বপ্ন, চায়ের কাপে উষ্ণ চুমুক, কর্মব্যস্ত দিনের শেষে রবীন্দ্রসংগীত, রিমঝিম বৃস্টির শব্দ, তপ্ত সন্ধ্যায় দক্ষিণা বাতাসের আলতো ছোঁয়া, মুঠো ফোনের সেই রিংটোনটি, জোৎস্না রাতে রূপালী আলোর বন্যা, কিন্নরীর সুর, অপেক্ষার অকস্মাৎ অবসান, নিস্পলক দৃস্টি, অপ্রশস্ত বারান্দায় পদচারিতার পদধ্বনি? আসলে কি জানেন, সুখ আপনার খুব কাছাকাছি বসবাস করে, খুঁজে নিতে হয় তাকে, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তাকে লালন করতে হয় সুখ সোনার হরিণ নয় আমি সুখী দু:খ আমায় ছোঁয় না এরকম প্রত্যয়ী ভাবনায় জীবণ সাজাতে পারলেই সুখ নামক পাখিটি বাস করবে প্রতিটি জীবণে আমার আজকের সকালের নিস্তরঙ্গতায় তাই সুখের শান্তিধারা বইছে আসুন, আমরা সুখ পাখিটাকে মনের খাঁচায় বন্দী করে তাকে লালন করি আমৃতু্য
"...আজি বহিতেছে
প্রাণে মোর শান্তিধারা
মনে হইতেছে
সুখ অতি সহজ সরল, কাননের
প্রস্ফুট ফুলের মতো, শিশু-আননের
হাসির মতন, পরিব্যাপ্ত, বিকশিত,
উন্মুখ অধরে ধরি চুম্বন-অমৃত
চেয়ে আছে সকলের পানে বাক্যহীন
শৈশববিশ্বাসে চিররাএি চিরদিন

বিশ্ববীণা হতে উঠি গানের মতন
রেখেছে নিমগ্ন করি নিথর গগন

সে সংগীত কী ছন্দে গাঁথিব! কি করিয়া
শুনাইব, কী সহজ ভাষায় ধরিয়া
দিব তারে উপহার ভালোবাসি যারে,
রেখে দিব ফুটাইয়া কী হাসি-আকারে
নয়নে অধরে, কী প্রেমে জীবনে তারে
করিব বিকাশ! সহজ আনন্দখানি
কেমনে সহজে তারে তুলে ঘরে আনি
প্রফুল্ল সরস! কঠিন-আগ্রহ-ভরে
ধরি তারে প্রাণপণে-মুঠির ভিতরে
টুটি যায়! হেরি তারে তীব্রগতি ধাই_
অন্ধবেগে বহুদূরে লঙ্ঘি চলি যাই,
আর তার না পাই উদ্দেশ\
চারি দিকে
দেখে অজি পূর্ণপ্রাণে মুগ্ধ অনিমিখে
এই স্তব্ধ নীলাম্বর, স্থির শান্ত জল_
মনে হল, সুখ অতি সহজ সরল\

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  1. সুখ সম্পর্কে জ্ঞানিদের কিছু বানি ঃ- মানুষ যতটা সুখী হতে চায়, সে ততটাই হতে পারে। সুখের কোনো পরিসীমা নেই। ইচ্ছে করলেই সুখকে আমরা আকাশ অভিসারী করে তুলতে পারি । আব্রাহাম লিংকন                                              
  1. একটি সুখের সংসার ধ্বংস করার জন্য শয়তান যতগুলো অস্ত্র আবিস্কার করেছে তার মধ্যে মারাত্নক অস্ত্র স্ত্রীর ঘ্যনর ঘ্যানর

    ডেল ক্যার্নেগি      
  2.   
    আমি জ্ঞানী নই, কিন্তু ভাগ্যবান কাজেই আমি সর্বতোভাবে সুখী

    ডব্লিউ জি নেহাম
  3.      একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতোই দুর্লভ

    জুভেনাল
  4.    বৃক্ষের সার্থকতা যেমন ফল ধারণে সেইরকম নৈতিক গুনাবলীর সার্থকতা শান্তি লাভে। চরম ও পরম শান্তি লাভের পথ হচ্ছে ক্রমাগত সৎ জীবনযাপন করা।

    আল ফারাবি
  5.    
    আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়

    উইলিয়াম শেক্সপিয়র
  6.   লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।

    হুমায়ূন আহমেদ
  7. এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 quantummethodঃ- এর মতে সুখ

সুখ এই কথাটার আসল অর্থ কি? কাকে আমরা সুখ বলে ভাবি? কী সেটা?
রাতদিন আমরা বলে ফিরি, এ জীবনে সুখ পেলাম না, আমার কপালে সুখ নাই, জন্মের পর থেকে সুখের মুখ দেখলাম না, এমন আরও কত কি! কিন্তু আমরা কি জানি সুখ মানে কী বা কোথায় আছে সুখ?
সুখকে আমরা যে যার মতো করে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করি। কেউ ভাবি এটা পেলে সুখী হতাম, কেউ ভাবি ওটা পেলে সুখ পেতাম। একেকজনের ভাবনা একেক রকম।
একজন ব্যবসায়ী কী চায়? টাকা। সে ভাবে যদি এক কোটি টাকার কন্ট্রাক্ট পেতাম বা টেন্ডারটা যদি মিলে যেত, তবে আমার মতো সুখী আসলেই কেউ হতো না। যারা চাকরিজীবি তারা চায় বেতন বাড়ুক বা প্রমোশন হোক।
একজন গৃহিণীর চাওয়া পাওয়ার হিসেবটা আবার অন্যরকম। সে চায় শাড়ি গয়না, নিজের একটা সংসার। কেউ জয়েন্ট ফ্যামিলিতে থাকলে ভাবতে থাকে, কবে হবে নিজের একটা ছোট্ট সংসার। তা না হলে আমার সুখ নাই।
সন্তান চায় স্বাধীনতা। তারা ভাবে আর কতদিন বাবা মায়ের শাসনে থাকতে হবে।
অর্থাৎ আমরা যে যার মতো করে শুধু চেয়েই যাচ্ছি অবিরত। কেউ কেউ সেই চাওয়াগুলোকে হয়তো পাওয়াতেও রূপান্তরিত করতে পারছি। কিন্তু তারপর? তারপর কি হচ্ছে? আমরা কি আসলেই সুখী হতে পারছি?
আমি নিজে আজ পর্যন্ত সুখের কোনো ব্যাখ্যা পেলাম না। ছোটবেলায় পছন্দের জামাটা যতক্ষণ না পাচ্ছি দুঃখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। পেলেই মনটা আনন্দে মেতে উঠত। আবার পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হলেও মনের কোণে একটা সুখ সুখ ভাব হতো। এটার নামই কি তাহলে সুখ?
একটু বুঝতে শেখবার পর থেকে সুখের সংসার গড়বার স্বপ্ন দেখেছি। স্বামী সংসার সন্তান এসবের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেবার নাম কি তবে সুখ? একজন মেয়ে তার সমস্ত সাধ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে সংসারের জন্যে সারাটা জীবন হাসি মুখে কাটিয়ে দেয়। কেউ কেউ হয়ত শাশুড়ি ননদের গঞ্জনা শুনে আবার স্বামীর গালমন্দ শুনেই পার করে সারাটা জীবন। হয়তো বা শুধুই বিছানার সঙ্গী হয়ে কাটিয়ে দেয় অধিকাংশ নারী।
তাদের যদি বলা হয়, কেন তোমরা সহ্য করছো?! মানুষের মত বাঁচো! তারা কি শুনবে? শুনবে না। উল্টো বলবে, তুমি কি আমার সুখের সংসারে আগুন লাগাতে চাও?
এই যে প্রতিবাদ না করা। মুখ বুজে সহ্য করা-এ কি শুধুই সুখের সংসার বাঁচাতে? !! নাকি সমাজের অপবাদের বোঝা যাতে বইতে না হয় সেজন্যে?!
ধর্মতো মেয়েদের বেঁধে রাখে নি? দিয়েছে স্বাধীনতা! কিন্ত তা কি আমরা আক্ষরিক অর্থে পাচ্ছি? এই সমাজ কি আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে?!!
বাবার বাড়িতে মেয়ে হয়ে, স্বামীর সংসারে বউ হয়ে, আর সন্তানের মা হয়ে অনেকেই নিরানন্দ জীবনের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তাদের যাই হোক না কেন। নিজের মেধার বিকাশের সুযোগ সে আর পাচ্ছে না। ফলে স্বামী যদি বলে আমার টাকায় খাচ্ছো-পরছো, যেভাবে বলব সেভাবেই চলতে হবে, সেটা মেনে নেয়া ছাড়া আর কিছু কি করবার আছে? আর বাবার বাড়ি সে-তো বিয়ের পর পরের বাড়ি হয়ে যায়।
মেয়েরা কখনও স্বামীর মন রক্ষার্থে সংসার বাঁচাতে বাবার কাছে সহযোগিতা চায় আবার কখনও স্বামীর কাছে মাথা নত করে বাবার মান বাঁচাতে। অপমানিত লাঞ্ছিত জীবনটাকে কেউ যদি মুখ বুজে সহ্য করে যেতে পারে তবে সে ভূষিত হয় মহান বা আত্মত্যাগী মহিলা রুপে। কিন্ত কেউ যদি নিজের আত্মমর্যাদাবোধকে মুল্য দিয়ে অপমানিত জীবন মেনে নিতে না চায় তবে কি তাকে সমাজ ছেড়ে দেবে? “মুখরা” “কুলটা” অপবাদের বোঝা না দিয়েই?
এখন একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। ধরে নেই, সমাজ সংসার ধর্ম বাদ দিয়ে জঙ্গলকে কেউ বেছে নিল সুখের নিবাস হিসেবে। যেখানে কোনো দায় নেই। তারপরও কি কোনো মানুষ হলফ করে বলতে পারবে, সে ১০০% সুখি? তা যদি নাই হয় তবে সুখটা কথায়????
বাবা মা ভাবে সন্তানকে কষ্ট করে মানুষ করলে বুড়ো বয়সে সুখ মিলবে। কিন্ত সেই সন্তান যখন বড় হয়ে মা-বাবাকে ফেলে নিজের সুখের সংসার গড়তে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তখন?
আমার অনেক স্বপ্নে দেখা সুখের সংসার মাত্র তিন মাসের মাথায় ভেঙে গেল সে কি কেবল আমার দোষে? ছোট ছিলাম তাই বুঝতে পারি নি, অথচ সব দায়ভার আমাকেই নিতে হয়েছিল। কারণ আমি মেয়ে হয়ে সুখের স্বপ্ন দেখেছিলাম।
এরপর থেকে ছেলেদের আমি সহ্য করতে পারতাম না। ওদের কষ্টের মাঝেই আমি সুখ পেতাম। কিন্ত সেটা কি সত্যিকার অর্থে সুখ ছিল?
দ্বিতীয়বার আমার আবার বিয়ে হলো। ভাবলাম হয়ত এবার আমি সুখের সংসার গড়তে পারব। প্রথমবারে ছোট ছিলাম, তাই না বুঝে সব অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেছি। এবার সংসার করব, কিন্ত অন্যায় সহ্য করবো না মুখ বুজে। কিন্তু সুখপাখি কি ধরা দিয়েছিল আমার কাছে? সবাই বললো, বাচ্চা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত বাচ্চা কি সংসার টিকাতে পেরেছিল!
উল্টো সেকেন্ডহ্যান্ড উপাধি নিয়ে সংসার ছাড়তে হলো। যদি সব মেনে নিতাম তাহলে কি সুখী হতাম? প্রথমবারে তো মেনে নিয়েছিলাম সবই। তাহলে কেন সংসার বাঁচাতে পারলাম না? এরপর যখন সংসার ছেড়ে দিলাম, তখনো কেন সুখ পেলাম না। বিয়ে ভাঙা এক অল্পবয়েসী মেয়ের দিকে কী চোখে তাকিয়েছে আমাদের এই সমাজ? এমনকি পরিবার আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব? এরা কি কেউ সহজভাবে নিতে পেরেছে ব্যাপারটা?
আর এখন এই যে আমি অজানা অচেনা এক দেশে বাস করছি। এখন কিভাবে দেখছে এখানকার বাঙালি সমাজ আমাকে? সংসার ছেড়েছি, দুই দুই বার বিয়ে ভেঙেছে, তার জন্যে যেন সবার শ্যেনদৃষ্টির সামনে আমি। যদি নিজেকে ভাসিয়ে দেই, তাহলে ওরা সবাই খুশি হয়ে বাহবা দেবে সামনে আর পেছনে অপবাদ দেবে কুলটা। কিন্ত যদি না দেই? তাহলেও কি ওরা ছেড়ে দেবে? আমার উপর পড়বে পুরুষের ইগো থেকে সৃষ্ট অসংখ্য সব অপবাদ।
এই যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে সুখের পথে সামাজিক মূল্যবোধই কি অন্তরায়? নাকি গোটা পৃথিবীর পুরুষমানুষরাই এর জন্যে দায়ী? নাকি মানুষ জানেই না আসলে সুখ কি জিনিস।
আমি ধার্মিক, খুবই ধার্মিক। আমি প্রকৃতি ভালবাসি। ভালবাসি গাছপালা পশুপাখি। আমি বিশ্বাস করি আমি এক সফরে আছি। এই সফর শেষে যেতে হবে আরেক অনন্ত সফরে। হয়তো সেই জীবনে গিয়ে আমি আমার সুখের সন্ধান পাবো।
আর এই জীবনে! এই জীবনে আমি অনেক সুখী। কারণ আমি স্রষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পিত করেছি। মানুষের কল্যাণের মাঝেই আমি আমার সুখকে খুঁজে নিয়েছি।
একটা জিনিস আমি বুঝেছি, সেটা হলো চাওয়ার মাঝে কিন্তু কোনো সুখ নেই। সুখ আছে দেয়ার মাঝে। তাই আমি শুধুই দিতেই চাই। মন-প্রাণ উজাড় করে শুধুই দিতে চাই। ভালবাসা দিতে চাই অসহায় বঞ্চিতের মাঝে, প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই আমার সমস্ত সত্ত্বা। সৃষ্টির লালনে বিলাতে চাই আমার ছোট এই জীবন।
   
            

নিচের লেখাটি 

Rabindranath Tagore ব্লগ থেকে নেওয়া...




যাহারা রীতিমতো বাঁচিতে চাহে, মুমূর্ষুভাবে কালযাপন করিতে চাহে না, তাহারা দুঃখ দিয়াও সুখ কেনে। হ্যফ্‌ডিং বলেন ভালোবাসা ইহার একটি দৃষ্টান্তস্থল। ভালোবাসাকে সুখ বলিবে না দুঃখ বলিবে? গ্যেটে তাঁহার কোনো নাটকের নায়িকাকে বলাইয়াছেন যে, ভালোবাসায়

          কভু স্বর্গে তোলে, কভু হানে মৃত্যুবাণ।

অতএব সহজেই মনে হইতে পারে এ ল্যাঠায় আবশ্যক কী? কিন্তু এখনও গানটা শেষ হয় নাই। সুখ দুঃখ সমস্ত হিসাব করিয়া শেষ কথাটা এইরূপ বলা হইয়াছে--

        সেই শুধু সুখী, ভালোবাসে যার প্রাণ।

ইহার মর্ম কথাটা এই যে, ভালোবাসায় হৃদয় মন যে একটা গতি প্রাপ্ত হয় তাহাতেই এমন একটা গভীর এবং উদার পরিতৃপ্তি আছে যে, প্রবল বেগে সুখ-দুঃখের মধ্যে আন্দোলিত হইয়াও মোটের উপর সুখের ভাবই থাকিয়া যায়, এমন-কি, এই আন্দোলনে সুখ বল প্রাপ্ত হয়।

এই সুখের সহিত দুইটি মানসিক কারণ লিপ্ত আছে। প্রথমত, দুঃখ যে পর্যন্ত একটা বিশেষ সীমা না লঙ্ঘন করে সে পর্যন্ত সুখের পশ্চাতে থাকিয়া সুখকে প্রস্ফুটিত করিয়া তোলে। এই কারণে, যাহারা সুখের গাঢ়তাকে প্রার্থনীয় জ্ঞান করে তাহারা অবিমিশ্র সামান্য সুখের অপেক্ষা দুঃখমিশ্রিত গভীর সুখের জন্য অধিকতর সচেষ্ট। দ্বিতীয়ত, দুঃখেরই একটা বিশেষ আকর্ষণ আছে। কারণ, দুঃখের দ্বারা হৃদয়ের মধ্যে যে একটা প্রবল বেগ, সমস্ত প্রকৃতির একটা একাগ্র পরিচালনা উপস্থিত হয় তাহাতেই একটা বিশেষ পরিতৃপ্তি আছে। ক্ষমতার চালনামাত্রই নিতান্ত অপরিমিত না হইলে একটা আনন্দ দান করে। বিখ্যাত দার্শনিক ওগুস্ত্‌ কোঁৎ তাঁহার প্রণয়িনীর মৃত্যুর পরে এই বলিয়া শোক প্রকাশ করিয়াছিলেন, "আমি মরিবার পূর্বে মনুষ্যপ্রকৃতির সর্বোচ্চ মনোভাব যে অনুভব করিতে পরিয়াছি সে কেবল তোমরাই প্রসাদে। এই মনোভাবের সঙ্গে সঙ্গে যত কিছু কঠিনতম যন্ত্রণা ভোগ করিয়াছি সেইসঙ্গে এ কথা সর্বদাই মনে উদয় হইয়াছে যে, হৃদয়কে পরিপূর্ণ করাই সুখের একমাত্র উপায়, তা সে যদি দুঃখ দিয়া তীব্রতম যন্ত্রণা দিয়া হয় সেও স্বীকার।'-- আমরা যদি দুঃখ হইতে সম্পূর্ণ অব্যাহতি পাইতে চাই তবে কিছুতেই ভালোবাসিতে পারি না। কিন্তু ভালোবাসাই যদি সর্বোচ্চ সুখ হয় তবে দুঃখের ভয়ে কে তাহাকে ত্যাগ করিবে! কর্মানুষ্ঠানের প্রবলতা ও জীবনের পরিপূর্ণতার সঙ্গে সঙ্গে বিস্তর ব্যয়, মুহুর্মুহু ঘাত-প্রতিঘাত এবং অবিশ্রাম আন্দোলন আছেই। কিন্তু জীবনের সর্বোচ্চ সম্পদগুলি বিনামূল্যে কে প্রত্যাশা করে!

মনস্তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতের কথা উপরে প্রকাশিত হইল এখন কবি চণ্ডীদাসের দুটি কথা উদ্ধৃত করিয়া শেষ করি। রাধিকা যখন অসহ্য বেদনায় বলিতেছেন--

          "বিধি যদি শুনিত, মরণ হইত,
          ঘুচিত সকল দুখ'


তখন--

          চণ্ডীদাস কয় "এমতি হইলে
          পিরীতির কিবা সুখ!'


দুঃখই যদি গেল তবে সুখ কিসের!

   

 
সুখ সুখ করি আমি সুখ কি আমার রবে চিরদিন

কালে কালে সুখ হবে কালেতে বিলীন

  সুখ অর্জনের প্রচেষ্টা সবাই করে। মানুষ জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুঃখ মুক্তির আন্দোলনে ব্যস্ত থাকে। দুঃখজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে মানুষ দুঃখের কারণ অনুসন্ধান করে এবং দুঃখ অপনোদনের প্রয়াস করে। মানুষ দুঃখ কিছুতেই চায় না, চায় সুখ, সুখের অনুভূতি। প্রতিদিন পাগলের মতো আমরা সুখের পশ্চাতে ধাবিত হই। সুখের নাগাল পাওয়ার পূর্বেই দেখি সুখ কালেতে বিলীন হয়েছে। সুখ ধরে রাখা যায় না। আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে যেমন পানি পড়ে যায় তেমনি হারিয়ে যায় সুখ। তবুও আমরা উন্মত্তভাবে সুখ সুখ করি। কত মোহান্ধ ও নির্বোধ আমরা!
ক্ষুধার্ত মানুষ সুখ চায় না। ক্ষুধার্ত মানুষ চায় খাদ্যবস্তু। খাদ্য গ্রহণ করার সময় মানুষ যে তৃপ্তি পায় তাকে সুখ বলা চলে। অর্থাৎ সুখ হলো কাম্য বস্তু ভোগের অনুভূতি। অর্থাৎ বাস্তবে মানুষ কামনা করে বস্তু। কারণ কোনরূপ বিচার বিবেচনা ব্যতীত যে কর্ম অধিকতর সুখ প্রদান করে তা-ই যদি মানুষ করতে থাকে তবে পরিণামে মানুষ দুঃখই প্রাপ্ত হবে। যেমন, ভোজনে যে সুখ আমরা পাই তা যদি বিচার বিবেচনা না করে বাড়াতে থাকি তবে অচিরেই তা অসুখ সৃষ্টি করবে। তাই সুখের ঊর্ধ্বে বিচার বিবেচনার স্থান।
সুখ বা দুঃখ আমরা অনুভব করি। ইন্দ্রিয় অনুভূতি তীব্র তাই ইন্দ্রিয় সুখও তীব্র। কবিতা পাঠের চেয়ে সুস্বাদু ভোজন তীব্র ইন্দ্রিয় সুখানুভূতি দেয়। আমরা সুখ সুখ করি কিন্তু সুখই যদি লক্ষ্য হয় তবে তুলনামূলকভাবে যে সুখ তীব্র তা-ই কাম্য হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে মানুষ যদি ইন্দ্রিয় সুখকেই সর্বদা প্রাধান্য দেয় তবে তা অতি দুঃখের কারণ হবে। অন্যদিকে, ইন্দ্রিয়ের পরিতৃপ্তিতে যে সুখ হয় তার প্রবলতা ক্রমশঃ বিলুপ্ত হয়। যে জীবনে কোনদিন আপেল খায় নাই সে প্রথম আপেলটির জন্য যে মূল্য দিতে প্রস্তুত দ্বিতীয় আপেলের জন্য তার চেয়ে কম মূল্য দেবে। অর্থনীতিতে একে বলা হয় ক্রমহ্রাসমান উপযোগ বিধি। বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে ইন্দ্রিয় সুখে অভ্যস্থ হয়ে গেলে তা শিথিল হয়ে যায়।
দৈনন্দিন জীবনে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেই হয় যখন একা কোন সুখ ভোগ করলে অনেকের দুঃখ হয়। সে ক্ষেত্রে কেবল নিজের সুখ ভোগ করলে পরিণামে দুঃখের অনুভূতি হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে এক ব্যক্তিকে কষ্ট দিলে অনেক লোকের সুখের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে সুখই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে বিত্তবানের বিত্ত বলপূর্বক অধিগ্রহণ করে গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা ন্যায় বিবেচিত হবে। কিন্তু বাস্তবে এমনটি করা অপরাধ। এসব ত্রুটির কারণে সুখ জীবনের লক্ষ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। সুখ-দুঃখ, ভালো লাগা-খারাপ লাগা এসব আবেগাত্মক বিষয়কে ধর্ম অধর্মের মানদণ্ড করা যায় না।
ধর্মীয় বিবেচনায় সুখের অনুভূতিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া যায় না। কারণ সুখের পরিমাণগত এবং গুণগত পার্থক্য আছে। কবিতা পাঠের সুখ আর ভোজনের সুখ এক নয়। জ্ঞানীর সুখ আর মূর্খের সুখ এক নয়। কখন কোন্‌ বস্তু কাকে কতটা সুখ দেবে তা পরিমাপ করা যায় না। চিন্তার বিকৃতিও মানুষের মধ্যে সুখ উৎপন্ন করতে পারে। অন্যকে কষ্ট দিয়ে, অন্যের উপর অত্যাচার করেও অনেকে সুখ পায়। হিংসা, ঈর্ষা, পরনিন্দাও মানুষকে সুখ দেয়। এ জাতীয় সুখ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অকল্যাণকর। কোন বস্তুর স্বাদ যেমন নির্ণয় করে না যে বস্তুটি স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভালো ঠিক তেমনি সুখের অনুভূতিও প্রমাণ করে না যে কাজটি বিচার-বিবেচনায় ভালো।
এ জগতে সুখী মানুষের সংখ্যা খুব কম। প্রত্যেকেরই কোন না কোন দুঃখ রয়েছে। কোন ব্যক্তি হয়তো খুব বিত্তবান, প্রচুর সুস্বাদু খাদ্য তার কাছে মজুদ আছে কিন্তু সে খেতে পারে না, ডায়াবেটিস কিংবা পরিপাক যন্ত্রের ত্রুটির কারণে। অন্যজন সম্পূর্ণ সুস্থ, পরিপাক যন্ত্রও উত্তম কার্য করে কিন্তু তার হয়তো মুখে দেয়ার মতো খাবার জোটে না। কারো অনেক সন্তান। সন্তানদের কি খাওয়াবে, কি পড়াবে, এ নিয়ে তার দুঃখের শেষ নেই। অন্যজনের অনেক বিত্ত কিন্তু নিঃসন্তান।
সুখ-দুঃখ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দুঃখ ব্যতীত সুখ এবং সুখ ব্যতীত দুঃখকে গ্রহণ করা যায় না। দুঃখ চাওয়া যেমন মর্যাদার নয় তেমনি সুখ চাওয়াতে কোন মর্যাদা নেই। যাদের সম্যক বিচারবুদ্ধি আছে তারা সুখের পশ্চাতে যেমন ছুটবে না তেমনি ছুটবে না দুঃখের পশ্চাতেও। যে সত্যকে নিয়ে আছে সে তো কেবল সত্যকে নিয়েই থাকবে। সুখ কিংবা দুঃখ যে কোন পরিস্থিতিতে সে সাম্যে স্থিত, পরিতৃপ্ত শুধু এই কারণেই যে সে সত্যের সঙ্গে আছে। যে সত্যের সঙ্গে আছে, সত্যও যার সঙ্গে আছে তার চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোন কারণই নেই। তাই সুখ বা দুঃখ নয়, সত্যকে নিয়ে থাকাই হলো মানুষের জীবনে মূল কাজ।
যে মানুষ সত্য নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে স্থূল সুখ প্রাপ্তির তাগিদ থাকে না, থাকে আনন্দ সমপ্রাপ্তির এষণা। সুখ ও আনন্দ এক নয়। কুকুর হাড় চিবোতে থাকে, তাতেই তার সুখ, কিন্তু মানুষ হাড় চিবোবার আগে ভাববে, চিবোনোটা উচিত কিনা; সে ভেবে দেখে ওটা তার ক্ষুধা নিবারণ করবে কি-না। মানুষ বিচার করে কাজ করবে, কারণ মানুষের লক্ষ্য আনন্দ প্রাপ্তি, সুখ প্রাপ্তি নয়। মানুষ যদি সুখের পেছনে দৌড়োতে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে সে পশুর দশা প্রাপ্ত হবে। পশুর জীবন নিছক ইন্দ্রিয় সুখ ভোগের জন্য আর মানুষের জীবন আধ্যাত্মিক আনন্দানুভূতির জন্য।
সুখ একটি অনুভূতি।  অনুভূতি চেতনার একটি অবস্থা মাত্র। চেতনার রূপান্তর মানুষের আয়ত্বে। ইন্দ্রিয় সুখের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যই শ্রেয়। বিলোপে ও সংযমে অনেক প্রভেদ। ইন্দ্রিয়ের বিলোপ ধর্ম নয়। ইন্দ্রিয় ও ইন্দ্রের সামঞ্জস্যই ধর্ম।
             

সুখ তুমি কি, বড় জানতে ইচ্ছে করে

 

 আপনি কি সুখি জানতে চান তাহলে ভিজিট করুনঃ-http://www.pursuit-of-happiness.org/happiness-quiz-happy2/

যারা নিজেকে সবসময় অসুখী মনে করেন তাদের অনেকেই মানসিক ডাক্তার ও মনস্তত্ত্ববিদের কাছে যান সাহায্যের জন্য৷ এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, কারা তাদের কাছে আসেন এবং তাদের সমস্যা কি?
ড্যুসেলডর্ফের মনস্তত্ত্ববিদ আন্ড্রেয়াস সোলইয়ানের কাছে এমন সব মানুষই আসেন যারা কোনো কিছু হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করছেন৷ ‘‘যেমন কোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলে,বিবাহ বিচ্ছেদ বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে৷’’

সুখের প্রাচুর্যও অসুখী করে তোলে!
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো সুখের প্রাচুর্যও অনেককে অসুখী করে তোলে৷ অল্প সময়ের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ অনেক কিছু ঘটে গেলে মানসিক দিক দিয়ে অনেকে তাল সামলাতে পারে না৷ ভাল একটি কাজ পাওয়া, নতুন জীবনসঙ্গী পাওয়া, বিয়ে হওয়া, সুলভ মূল্যে একটি বাড়ি কেনার সুযোগ হওয়া – এসব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটে গেলে বিহ্বল হয়ে যেতে পারে মানুষ, জেগে উঠতে পারে একটা মনমরাভাব৷
স্টেফান লেরমারের মতে, বলা যায়, অন্যের সঙ্গে তুলনা করা সুখকে ধ্বংস করতে পারে
ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মনস্তাত্ত্বিক সোলইয়ান চিত্তাকর্ষক দুটি দৃষ্টান্তের কথা উল্লেখ করেন৷ দুই জনের দুই রকম ভাগ্যলিপি৷ একজন, বিনা দোষে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত পক্ষাঘাতে আক্রান্ত এক তরুণ৷ এই তরুণ হাসিমুখেই থেরাপিস্টের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন৷ পরে সুখ সম্পর্কে তাঁর অনুভূতির কথা জিজ্ঞেস করা হয়৷ প্রশ্ন করা হয় একদম অসুখী থেকে বেশ সুখী, অর্থাৎ ০ থেকে ৬ পর্যন্ত সুখের স্কেলে নিজেকে তিনি কোথায় দেখেন৷ তাঁর উত্তর ছিল ৪.১৷ অন্যদিকে দ্বিতীয়জন লটারিতে পাঁচ লাখ ইউরো পেয়েও তাঁর উত্তর ছিল ৪.২৷ এতে বোঝা যায় একেক জনের সুখ ও দুঃখের অনুভূতি একেক রকম৷

কারণের ওপর মানুষের হাত নেই
মনোরোগ চিকিৎসক রোলান্ড উরবান মনে করেন, দুঃখের অনুভূতির ব্যাপারে একটা মিল দেখা যায় সব ক্ষেত্রে৷ আর সেটা হলো এর কারণটার ওপর মানুষের হাত নেই৷
মানুষ এটিকে প্রভাবিত করতে পারে না৷ যেমন অসুস্থতা, আপনজনের মৃত্যু কিংবা অন্য কোনো ক্ষতি হওয়া৷ তবে মানুষের ভেতরের একটা নিরাময় ক্ষমতা দুঃখবোধকে কমিয়ে দিতে পারে৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই চিকিত্সক বলেন, ভুক্তভোগী যদি এমন কিছু খুঁজে পান যা তার জীবনে একটা পরিবর্তন আনতে পারে, তাহলে দুঃখবোধটাও অনেক কমে যায়৷ এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেন তিনি৷ এক মহিলা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর শোকাভিভূত হয়ে পড়েন৷ কিন্তু যখন থেকে তিনি পাশের বাড়ির এক অসহায় মহিলাকে সাহায্য করতে শুরু করেন, তখন থেকে নিজের দুঃখবোধও অনেকটা কমে যায়৷ সামাজিক কাজকর্ম, অন্যের প্রতি ভালবাসা, দায়িত্ববোধ এসব মনটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়৷ নিজের ক্ষতিকে ঘিরে থাকে না আর৷
মানসিক অসুস্থতা নয়
এই মনস্তাত্ত্বিক সতর্ক করে বলেন, দুঃখবোধকে মানসিক বৈকল্য বা অসুস্থতার সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘অসুখী বোধ করা একটি গভীর যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি৷ এটা কোনো অসুস্থতা নয়৷ অনেককে বলতে শোনা যায় তারা অসুখী এবং ডিপ্রেশনে ভুগছেন৷ শোক অনুভব করা সুস্থ মানুষের নিতান্তই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া৷''
মিউনিখের সাইকোথেরাপিস্ট ও কোচ স্টেফান লেরমার মনে করেন শোক ও ‘অসুখ' মানুষের জীবনেরই অঙ্গ৷ আলো ও ছায়ার মতো৷ সুখ খুঁজতে হলে প্রয়োজন আত্মআবিষ্কার৷ ‘‘মানুষের নিজের চাহিদাটা জানতে হবে৷ জানতে হবে আমি কী চাই? আমার কাছে কী গুরুত্বপূর্ণ? ভোগ মানুষকে সুখী করতে পারে না৷ এটা বলা যায়, অন্যের সঙ্গে তুলনা করা সুখকে ধ্বংস করতে পারে৷ অন্যকে সুখী করতে পারলে নিজেও সুখ পাওয়া যায়৷''
মনস্তত্ত্ববিদ লেরমার বলেন, আগে অনেকে পরকালে সুখ পাওয়ার আশা করতেন৷ আজ এই মনোভাব পালটে গেছে৷
সুখ হলো বেতার তরঙ্গের মতো৷ এটা সবসময় থাকে৷ একে শুধু বের করে আনতে হয়৷ বলেন শ্টেফান লেরমার৷





  • প্রত্যেক মানুষ শান্তি খুঁজে, কিন্তু কোথায় সুখ-শান্তির পথ?!

     

সকলেই একই লক্ষ্য উদ্দেশ্যে ঐক্যমত


বিনিময়ে সৌভাগ্য
“কখনো তুমি এমন কিছু করবে যা তোমার কোন সৌভাগ্য বয়ে আনবেনা, তবে কোনকিছু করা ছাড়া সৌভাগ্য আসেনা। “
পৃথিবীর বুকে প্রত্যেক মানুষই সুখ-শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের মতবাদ, জাতি, বর্ণ, উৎপত্তি, লক্ষ্য- উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন সবাই একটি উদ্দেশ্যে একমত, তা হলো সুখ ও প্রশান্তি তালাশ করা।
যদি কোন লোককে জিজ্ঞেস করঃ তুমি এ কাজটি কেন কর? উহা কি কারণে করবে? সে বলবেঃ সুখ-শান্তির জন্য!! চাই তা শব্দগতভাবে বলুক বা অর্থগতভাবে বলুক। শান্তির প্রকৃত বা রূপক যেকোন অর্থেই হোক।

সুখ-শান্তি কি?

তাহলে সুখ-শান্তি কি? কিভাবে ইহা পাওয়া যায়?

সৌভাগ্য হল আমাদের সব চেয়ে নিকটে
“অনেক সময় আমরা সৌভাগ্য খুঁজি অথচ সৌভাগ্য আমাদের কাছেই থাকে, যেমন আমরা চোখের উপর চশমা রেখে অনেক সময় চশমা খুঁজি।”
সুখ হলো আনন্দ, প্রশান্তি, ঔদার্য ও প্রফুল্লতার ধারাবাহিক অনুভূতি। এ সুখানুভূতি তিনটি জিনিসের স্থায়ী অনুভূতির ফলে আসে, তা হলোঃ আত্মার উৎকৃষ্টতা, জীবনের উৎকৃষ্টতা ও শেষ পরিণতির উৎকৃষ্টতা।
মানুষ নিজেকে এ তিনটি বিষয়ের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন করে। সে যত বড় হয় তার প্রশ্নগুলো ততই বাড়তে থাকে। তার মনের মধ্যে ঘুর্ণায়মান এসব প্রশ্নের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত সে সুখ-শান্তি লাভ করতে পারেনা। সেগুলো হলোঃ
-কে এ মহাবিশ্বের মালিক? কে ইহা পরিচালনা করেন?
-কে আমাকে সৃষ্টি করেছেন? কে আমার চারপাশের এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন?
-আমি কে? কোথা থেকে এসেছি? কেন আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আমি কোথায় যাব?

পথ বিভিন্ন তবে আল্লাহ এক
“কোথায় যাচ্ছ যদি না জান, তবে সব পথই তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে।”
যখনই মানুষের নিজের ও জীবনের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় তখনই এ সব প্রশ্নগুলো তার চিন্তা ভাবনার মাঝে বার বার ঘুরতে থাকে। যতক্ষণ না এ সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পাওয়া না যায় ততক্ষণ সে প্রশান্তি লাভ করতে পারেনা।



  


Copyright © 2014 nayan's foundation jessore All Right Reserved
^